`সুশান্ত মামলার সঙ্গে অবসর নেওয়ার সম্পর্ক নেই`, জানালেন বিহার পুলিসের প্রাক্তন DGP
সামনেই বিহার ভোট থাকায় গুপ্তেশ্বর পান্ডের অবসর নিয়ে জল্পনা চলছেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মঙ্গলবার সন্ধেয় অবসর ঘোষণা করেন বিহার পুলিসের DGP। তাঁর অবসর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। তবে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে গুপ্তেশ্বর পান্ডে জানিয়ে দিলেন, তাঁর অবসর নেওয়ার সঙ্গে সুশান্ত মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও সামনেই বিহার ভোট থাকায় গুপ্তেশ্বর পান্ডের অবসর নিয়ে জল্পনা চলছেই।
রাজনৈতিক মহলের ধারনা বিহার নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হতে পারেন গুপ্তেশ্বর পান্ডে। তবে বুধবার গুপ্তেশ্বর পান্ডে লেন, ''আমি কোনও রাজনৈতির দলে যোগদান করিনি। এবিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তও নিইনি। আমি যদি সামাজিক কাজ করতে চাই, তাহলে সেটা রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও করতে পারি।''
গুপ্তেশ্বর পান্ডে আরও বলেন, ''আমি অবসর নেওয়ার পর থেকেই, অবসরের কারণ জানতে চেয়ে অনেকেই আমায় ফোন করছেন। আমি ক্লান্ত।'' গুপ্তেশ্বর পান্ডের কথায়, সুশান্ত মামলায় বিহার পুলিসের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে মুম্বই পুলিস। আর সেকারণেই তিনি বিহারের সুনাম বজায় রাখতে লড়াই করেছেন। তিনি আরও জানান, ''আমার অবসর নেওয়ার সঙ্গে সুশান্ত মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। অনেকেই আমার অবসরের সঙ্গে সুশান্ত মামলার সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করছেন, তবে সেটা ঠিক নয়। আমি শুধু সুশান্তের বৃদ্ধ, অসুস্থ বাবাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সুপ্রিম কোর্টও বিহার পুলিসকে সমর্থন করেছে।''
পান্ডের কথায়, তিনি তাঁর দীর্ঘ ৩৪ বছরের কর্মজীবনে কখনও কোনও অপরাধীর সঙ্গে আপোস করেননি। আমি ৫০-এরও বেশি এনকাউন্টারের সঙ্গে যুক্ত। এর আগে সুশান্ত মামলায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে নিয়ে রিয়ার চক্রবর্তীর মন্তব্যেরও প্রতিবাদ করেছিলেন গুপ্তেশ্বর পান্ডে। তিনি বিহার ক্যাডারের ১৯৮৭ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালেও বক্সার লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার জন্য স্বেচ্ছা অবসর নিতে চেয়েছিলেন গুপ্তেশ্বর পান্ডে। তবে তাঁর অবসরের আবেদন সেসময় বিহার সরকার প্রত্যাখ্যান করে। নীতীশ কুমারের হস্তক্ষেপে তিনি চাকরিতে ফিরে আসেন।