পর্যালোচনায় ফিল্ম সমালোচক শর্মিলা মাইতি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


বলিউডের ২০১৬: বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী


বাণিজ্যের দিক থেকে এ বছরটা নেহাত খারাপ ছিল না। প্রতি বছরের মতোই সলমন খানই প্রযোজকের মধ্যমণি। কুস্তিগীরের জীবনী আধারিত ছবি সুলতান গুঁড়িয়ে দিয়েছে সব রেকর্ড। ৫০ কোটি টাকা বাজেটের ছবি সারা দেশে ৩০০.৪৫ কোটি টাকার ব্যবসা দিয়ে সর্বকালের সেরা ব্লকবাস্টার ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তবে সলমনকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে এক অ্যানিমেশন চরিত্র। দ্য জাঙ্গল বুক-এর চাড্ডিপরা মোগলিও শার্টলেস খানের মতোই অলটাইম ব্লকবাস্টার ছবির নায়ক হয়েছে এ বছর। দ্বিতীয় স্থানে অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের জীবনী যে সারা দেশে এমন আলোড়ন তুলবে, তা আন্দাজ করাই হয়েছিল। বাস্তবের রিপোর্ট ছাপিয়ে গিয়েছে অনুমানকেও। নামভূমিকায় সুশান্ত সিং রাজপুতের কেরিয়ারের পালেও বাতাস লাগল এই ছবির পর। বলিউড আকাশে দিশা পাটানিও দেখালেন দিশা। ১৩২.৮৫ কোটি টাকা ব্যবসা দিয়ে এই ছবি ২য় স্থানে।



এয়ারলিফ্ট ও রুস্তম, অক্ষয়কুমারের দুটো ছবিই নজর কেড়েছে দর্শকের। এয়ারলিফট ব্যবসা দিয়েছে ১২৯ কোটি টাকার। রুস্তম দিয়েছে ১২৭ কোটির। তবু দুটো ছবি মিলিয়েও সলমনের থেকে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে আছেন। গত বছরে মোটেই সুখের মুখ দেখতে পাননি রণবীর কাপুর। এ বছর করণ জোহরের ছবি অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল কিন্তু বহু বিতর্ক পেরিয়েও ব্যবসা দিয়েছে ১১২.১৪ কোটি টাকার। বিতর্ক পেরিয়ে উড়তা পঞ্জাব ও এবার হিট। ৪৫ কোটি টাকা বাজেটের ছবি ব্যবসা দিয়েছে ৬০ কোটি টাকার। এ বছর রণবীর সিং যদিও ফ্যান-ফলোয়িং এ এগিয়ে, তেমন ব্যবসা দিল না যশরাজ ফিল্মসের বেফিকরে। কমে়ডি ছবি বরাবরই দর্শক টানে আনিস বাজমির হাউসফুল three তো প্রথম বছর থেকেই হাউসফুল। এ ছবি ব্যবসা দিয়েছে প্রায় ১০৮ কোটি টাকার।



হিট লিস্টে অবশ্যই জায়গা করে নিল কিছু অফবিট ছবি। এয়ারহোস্টেস নীরজা ভানোটের জীবনী নিয়ে ২১ কোটি বাজেটের ছবি নীরজা ব্যবসা দিল প্রায় ৭৫.৬১ কোটি টাকার। সোনম কাপুর আবার লাইমলাইটে। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে বাঙালি পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ছবি পিঙ্ক কিন্তু সুপারহিট। ২৬ কোটি বাজেটের ছবি পিঙ্ক ব্যবসা দিয়েছে ৬৮ কোটি টাকার। হিটলিস্টে প্রথম দিকেই থাকবেন আলিয়া ভাট। কাপুর অ্যান্ড সনস ৩৮ কোটি টাকার ছবি ব্যবসা দিয়েছে ৭৪ কোটি টাকার। ৫৫ কোটি বাজেটের ছবি ডিয়ার জিন্দেগিও ব্যবসা দিয়েছে ৬৪ কোটি টাকার। হিটের তালিকায় আরও থাকছে। হ্যাপি ভাগ যায়েগি, মস্তিজাদে, পুলকিত-ইয়ামি জুটির সনম রে। আর হ্যাঁ, এ বছর করিনা কাপুরের দুটি রিলিজই হিট। উড়তা পঞ্জাব ও কি অ্যান্ড কা।
 


বলিউডের ২০১৬: স্টার কোশেন্ট (হিরো)


বলিউড আকাশে এ বছরেও তারার জন্ম হল, তারা-খসাও কম হল না। সারা বছরে শ্রেষ্ঠত্বের সিংহাসনটা যদিও সলমন খানেরই দখলে রইল। আমির-সলমন দ্বৈরথটা দর্শক দেখতেই পেলেন না, কারণ আমিরই বুদ্ধি করে পিছিয়ে এনেছিলেন তাঁদের ছবি মুক্তির দিন। বড়দিনের রিলিজ দঙ্গল-এর ব্যবসা বুঝতে পারা যাবে আগামী বছরে। কিন্তু, এটাকে এককথায় বলা চলে আমিরি চাল। প্রত্যেক শীতেই তাঁর ছবি আসে আর ভেঙে দেয় সব রকম বক্স অফিস কনসেপ্ট। ডিয়ার জিন্দেগি না এলে শাহরুখের ফ্যান বেস শিফ্ট করতে পারত অন্য কোনও খান পদবীতে। শাহরুখের ফ্যান মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। অমিতাভ বচ্চনের তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে এ বছর। বিধু বিনোদ চোপড়ার ওয়াজির ফ্লপ, ফ্লপ করেছে ঋভু দাশগুুপ্তর ছবি TE3N. কিন্তু শেষবেলায় পিঙ্ক ছবিতে আবার স্বমহিমায় তিনি। বিগ বি এঁকেই বলে!



কয়েক বছরের চেষ্টার পর এ বছর টাইগার শ্রফ কিন্তু জায়গা করে নিলেন স্টার লিস্টে। বাগী ছবিতে তাঁর লুক, স্টান্ট আর অ্যাকশন মুগ্ধ করেছে দর্শককে। ফ্লাইং জাট তেমন সাড়া না ফেললেও টাইগারের ভবিষ্যত্‍ যে উজ্জ্বল, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। ভাগ্য ফিরেছে সুশান্ত সিং রাজপুতেরও। ধোনি- দ্য আনটোল্ড স্টোরি ছবিতে তাঁর লাইফ-লাইক অ্যাক্টিং প্রশংসা পেয়েছে সব মহলেই।



তুলনায় এ বছরটা ততটা ভাল কাটল না বরুণ ধাওয়ানের। মাল্টিস্টারার ঢিসুম যতটা মাইলেজ দেবে ভাবা হয়েছিল, ততটা দিল না এবার। সিদ্ধার্থ মালহোত্রাও কাপুর অ্যান্ড সনস ওবং বার বার দেখো ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারলেন না। সবচেয়ে বড় কথা, অজয় দেবগণের ছবি শিভায়-ও দেখাতে পারল না আশার আলো। জন অ্যাব্রাহমের প্রোডাকশনের ছবি রকি হ্যান্ডসাম-এর বিষয়ও ছিল চাইল্ড ট্রাফিকিং ও অর্গ্যান ট্রাফিকিং। বিষয়ের নতুনত্ব থাকলেও এই বছরে বক্স অফিসে কোনও সাড়াই ফেলতে পারলেন না জন ও অজয়।
 


বলিউডের ২০১৬: স্টার কোশেন্ট (হিরোইন)



গত বছরেই বলিউডের মেরুদণ্ড কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন কঙ্গনা রানওয়াত। সটান প্রশ্ন করেছিলেন, কেনই বা হিরোইনদের পারিশ্রমিক হিরোদের মতোই হবে না। তিনটি জাতীয় পুরস্কারজয়ী নায়িকা কিন্তু আদতে দেখালেন যে, তিনিও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক শুধু দাবি নয়, আদায় করেও ছাড়েন। এ বছরের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমমিক উপার্জনের তালিকায় শীর্ষে কঙ্গনা। ১১ কোটি টাকা। অন্ত্বঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও এ বছর দুটি হিট ছবি উপহার দিয়েছেন যে করিনা, তাঁর পারিশ্রমিক ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা। ২০১৫ তে শীর্ষে থাকা দীপিকা পাড়ুকোন ও হলিউড-বিজয়ী নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া একই অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়ে এ বছর তিন নম্বরে। অঙ্কটা ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা। চটুর্থ স্থানে বিদ্যা বালন ও ক্যাটরিনা কাইফ। প্রথমজন কহানি টু ছবির সোলো হিরোইন। ক্যাটরিনার ফিতুর ফ্লপ। তবে জগ্গা জাসুস ছবিতে অভিনয়ের খাতিরে তাঁর এ বছর পারিশ্রমিকের অঙ্ক ছিল ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। এ বছর সরবজিত্‍ ছবিতে রণদীপ হুদার চেয়েও প্রমোশনে বেশি এগিয়ে ছিলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স তেমন দাগ কাটল না।



এ বছর দীপিকাকে সরিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন অনুষ্কা শর্মা। পারিশ্রমিকের অঙ্কে কিন্তু তিনি পিছিয়ে। মাত্র পাঁচ-ছ কোটি টাকা। অনুষ্কার ছবি সুলতান অলটাইম ব্লকবাস্টার। অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিলও সুপারহিট। হয়ত পরের বছর তিনিও বাড়িয়ে দেবেন অঙ্কটা। অথচ একই অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করেছেন সোনাক্ষী সিনহা। আকিরা ও ফোর্স টু, দুটো ছবিতেই তাঁর পারফরম্যান্স তথৈবচ। হতাশ করেছেন শ্রদ্ধা কাপুরও। এত ঢাকঢোল পিটিয়েও বছরের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজলক ছবি রক অন টু। তেমন ছাপ রাখতে পারেননি শ্রদ্ধা। তুলনায় পিঙ্ক ছবির নায়িকা তাপসী পান্নু একটু এগিয়ে রইলেন। কেউ আশা করেনি এত ভাল পারফর্ম্যান্স তাঁর কাছ থেকেও পাওয়া যাবে।



তবে পারিশ্রমিকের অঙ্কটা যা-ই হোক, বলিউড আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা এখন আলিয়া ভাট। কাপুর অ্যান্ড সনস থেকে উড়তা পঞ্জাব থেকে ডিয়ার জিন্দগি, যা ছুঁয়েছেন তাতেই সোনা ফলেছে। পারিশ্রমিকের rat race এ আলিয়া যদিও একটু পিছিয়ে, ভবিষ্যতে বহু নায়িকার রাতের ঘুম কেড়ে নেবেন, এটা নিশ্চিত। সবশেষে, সানি লিওনে কিন্তু এখনও সেনসেশন। মস্তিজাদে তাঁর কল্যাণেই হিট। আগামী বছরে নাকি তাঁর জীবন নিয়েই ছবি হচ্ছে? দেখা যাক!
 


বলিউডের ২০১৬: বছরের ফ্লপ ছবি



অবিশ্বাস্য ফ্লপ হৃতিক-আশুতোষ-এ আর রহমান ট্রায়োর ছবি মহেঞ্জো দারো। অনেকেই ভাবছিলেন হৃতিক রোশনের মহেঞ্জো দারো-ই ফ্লপ তালিকায় প্রথমে থাকবেন। কিন্তু তখনও তো ফারহান আখতারের রক অন টু রিলিজ করেনি। ৯ বছর বাদে তৈরি এই সিকোয়েল মুখ থুবড়ে পড়েছে। ৫৫ কোটি বাজেটের ছবি ব্যবসা দিয়েছে মাত্র ১১ কোটির! ফ্লপের তালিকায় দ্বিতীয় শাহরুখ খানের ছবি ফ্যান। প্রথম উইকেন্ডের পর থেকে দ্রুত কমতে থাকে ফ্যান-এর জনপ্রিয়তা। ১০৫ কোটি বাজেটের ছবি শেষ পর্যন্ত ব্যবসা করেছে ৮৪ কোটির। রুস্তম অক্ষয়ের কাছে নতিস্বীকার করেছে মহেঞ্জো দাড়ো। অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল-এর সঙ্গে সম্মুখসমরে হার স্বীকার করেছে অজয় দেবগণের শিভায়। প্রায় ২১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এ ছবির।



এ বছর নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকির দুটো ছবিই তেমন দাগ কাটল না। অনুরাগ কাশ্যপের ছবি রমন রাঘপ ২.০ কান ফেস্টিভ্যালে প্রশংসা কুড়োলেও ভাল লাগেনি ভারতীয় দর্শকের। তেমনই ফ্রিকি আলি ছবিতে সলমন খান প্রোডাকশনের ব্যাকিং সত্ত্বেও কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। ফ্লপ করেছে ইরফান খানের ছবি মাদারিও। বিষয়ভাবনার অভিনবত্ব সত্ত্বেও। তেমনই টানটান উত্তেজনা সত্ত্বেও ডিমনিটাইজেশনের জন্যেই মার খেয়েছে কাহানি টু-এর ব্যবসা। ৪০ কোটি বাজেটের ছবির কালেকশন মাত্র ২৬ কোটি। দাগ কাটেনি বার বার দেখো, রাজ রিবুট এবং দো লফজো কি কহানি।



নেহাতই ভাগ্য খারাপ রণদীপ হুদা-র । সরবজিত্‍ ছবির জন্য তিনি জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন। দারুণ অভিনয় করেছেন লাল রং ছবিতেও। কিন্তু তেমন নজরকাড়া বাণিজ্যিক সাফল্য জুটল না তাঁর। দেখা যাক আগামী বছর কোনও পরিবর্তন হয় কি না।
 


 


বলিউডের ২০১৬: ব্রেক-আপের বছর



প্যাচ-আপ নয়, ব্রেক-আপ। একেবারে শেষ করে দেওয়া সম্পর্কটাকে। বলিউডের দীর্ঘ কিছু সম্পর্ক ভেঙে টুকরো-টুকরো হয়ে গেল। সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বোধহয় রণবীর কাপুর ও ক্যাটরিনার সম্পর্ক। এনগেজমেন্টের পরেই কোনও এক অজানা কারণে দুটো জীবন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন ছিন্ন করলেন ফারহান ও অধুনা আখতার। মনোমালিন্য হলেও বাইরের জগতকে বহুদিন সেটা বুঝতে দেননি আরবাজ-মালাইকা। এমনকি দুজনে একসঙ্গে পাওয়ার কাপল নামে শো হোস্ট করতেন। সলমন খানও খুবই চেষ্টা করেছিলেন যাতে এই সম্পর্ক না ভাঙে। তবু, ভাঙন ছিল অনির্বার্য। এ বছর নাকি সলমনও বিয়ে করবেন লুলিয়া ভান্তুরকে, এমনটাই আশা করেছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু সে গুড়ে বালি। সলমন নাকি জানিয়েই দিয়েছেন উলিয়ার সঙ্গে আর তাঁর মতের মিল হচ্ছে না। একইরকম অবিশ্বাস্য পুলকিত সম্রাট ও সলমনের রাখি বোন শ্বেতা রোহিরার বিবাহবিচ্ছেদ। ইয়ামি গৌতমের সঙ্গে পুলকিতের মাখোমাখো সম্পর্কই এর জন্যে নাকি দায়ী। তবে হ্যাঁ, বিয়ে ভেঙেছে আরও এক সলমন ঘনিষ্ঠের। হিমেশ রেশমিয়া ও কোমলের ২২ বছরের সম্পর্ক মিশে গেল ধুলোয়। তার নেপথ্যেও নাকি এক্সট্রাম্যারিটাল লভ স্টোরি।


সুশান্ত সিং রাজপুতের কেরিয়ারগ্রাফ উঠতে থাকলেও, লভ লাইফ হঠাত্ই থমকে দাঁড়াল। লিভ-ইন গার্লফ্রেণ্ড অঙ্কিতার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটল তাঁর। এত ভাঙনের জন্যেই বোধহয় অবশ্যম্ভাবী ছিল এই ব্রেক-আপ সেলিব্রেশন সং। তাই না!
 


বলিউডের ২০১৬: বছরের সেরা অফ-স্ক্রিন সিনেমা



সত্যি, সিনেমার স্ক্রিপ্টও মুখ লুকোবে তাঁদের কান্ডকারখানা দেখলে। নিজেদের সম্মান সম্ভ্রম আর স্টেটাস ভুলে এ কী করলেন হৃতিক রোশন আর কঙ্গনা রানওয়াত। হৃতিককে নাকি ১৮৯৫ টা ইমেল করেছিলেন কঙ্গনা। সেসবের ভাষা ছিল কখনও শাসানির, কখনও ঘ্যানঘেনে, কখনও বা হুমকিরও। বলিউডে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত দুই তারকার এমন সাইবার-যুদ্ধ যে আইনি পথে হাঁটবে আর তার জেরেই গোটা দেশে মুখরোচক সব মশলাদার খবর, এমনটা কে-ই বা ভেবেছিলেন? কৃষ থ্রি-র সময়ে কঙ্গনা প্রেমে পড়েছিলেন হৃতিকের, কিন্তু তা কখনও পূর্ণতা পায়নি। কিন্তু তার জেরে তিন বছর ধরে এমন ব্যবহার? এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে আবার ঢুকে পড়লেন তাঁর প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড অধ্যয়ন সুমনও। কঙ্গনা নাকি ব্ল্যাক ম্যাজিক জানেন, এমন কত কথাই বললেন তিনি। শেষমেশ দু পক্ষেরই জ্ঞান ফেরে। বোধহয় এতটা কাদাছোড়াছুড়ির চোটে হৃতিক আর কঙ্গনা দুজনেই সতর্ক হয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলা বন্ধ করেন। একরকম ধোঁয়াশায় এই সম্পর্কের ইতি পড়ে। যা-ই হোক, কয়েকটা দিন দর্শক সিনেমা দেখা ভুলে হাঁ করে এঁদের কাণ্ডই দেখছিলেন।