নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর এবার কাশ্মীরের অজানা এক গল্প নিয়ে সিনেমা বানাতে চলেছে বলিউড। কাশ্মীরের শেষ হিন্দু রানি 'কোটারানি'কে নিয়ে যৌথ উদ্যোগে সিনেমা বানানোর কথা ঘোষণা করল অনুরাগ কাশ্যপ ও মধু মান্তেনার ফ্যান্টম ফিল্মস ও রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরের শেষ হিন্দু রানি কোটারানির কথা অনেকেই হয়ত জানেন না। তাঁর গল্পই সিনেমার পর্দায় তুলে ধরার কথা মঙ্গলবার ফ্যান্টম ফিল্মসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করা হয়।



এবিষয়ে ফ্যান্টম ফিল্মসের অন্যতম কর্ণধার মধু মান্তেনা বলেন, '' এটা খুবই অবাক হওয়ার বিষয় ভারতীয়রা কোটারানি ও তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যথেষ্ঠ জানেন না। তাঁর জীবনটা সত্যিই ভীষণ নাটকীয় ছিল। এদেশে যতজন মহিলা শাসক ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম এবং অত্যন্ত যোগ্য একজন শাসক ছিলেন এই কোটারানি।''


আরও পড়ুন-নরেন্দ্র মোদীর পর এবার তৈরি হচ্ছে অটল বিহারী বাজপেয়ীর বায়োপিক



ছবি: মধু মান্তেনা, ফ্যান্টম ফিল্মসের সহ প্রযোজক


এবিষয়ে রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের সিইও শিবাশীষ সরকার বলেন, '' আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য এধরনের ছবি বানিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তাঁর (কোটারানি) চরিত্রের বিভিন্ন দিক রয়েছে, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, যে তিনি আমাদের দেশের একটি অন্যতম নারী চরিত্র। তাঁর চরিত্রকে পর্দায় তুলে ধরার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।''



ছবি: শিবাশীষ সরকার, রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টের সিইও


জানা যায়, ত্রয়োদশ শতকে ভূস্বর্গের দায়িত্ব পেয়েছিলেন এই কোটারানি। তাঁকে ভূস্বর্গের ক্লিওপেট্রা বলা হয়ে থাকে। কাশ্মীরের লোহারা বংশের রাজা রামচন্দ্রের কন্যা ছিলেন এই কোটারানি। রামচন্দ্র তাঁর রাজ্যের প্রশাসক হিসাবে রিনচন বলে লাদাকের এক বাসিন্দাকে নিয়োগ করেন। পরবর্তীকালে রামচন্দ্রকে হত্যা করা হয় এবার তাঁর পরিবারকে বন্দি করে নেওয়া হয়। আর এই রিনচনই স্থানীয় মানুষদের সমর্থন আদায়ের জন্য রামচন্দ্রের ছেলে রাওয়ানচন্দ্রাকে লাদাকের প্রশাসক নিযুক্ত করেন এবং তাঁর বোন কোটারানিকে বিয়ে করেন। রিনচন ও কোটারানির এক সন্তানও ছিল। পরবর্তীকালে রিনচন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, যদিও ৩ বছর রাজত্ব চালানোর পর তাঁর মৃত্যু হয়। রিনচনের মৃত্যুর পর দায়িত্ব সামলান কোটারানি। তিনি অবশ্য পরবর্তীকালে তিনি উদয়নাদেবাকে বিয়ে করেন। কোটারানি ও উদয়নাদেবারও এক সন্তান ছিল যাঁর নাম ভট্ট ভিক্ষণা। ১৩৩৮ সালে মৃত্যু হয় উদয়নাদেবার, তারপর রাজত্ব সামলাচ্ছিলেন কোটারানি নিজেই। পরবর্তীকালে তিনি ছেলে ভট্ট ভিক্ষণাকে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেন। পরবর্তীকালে কোটারানি ও রিনচনের ছেলে শাহ মীরই কোটা রানির দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান ভট্ট ভিক্ষণাকে খুন করে বলে জানা যায়। শোনা যায় এর পরে আত্মহত্যা করেছিলে কোটারানি। জানা যায় কোটারানি তাঁর সময়কালে নিজের বুদ্ধিবলেই বহু রক্তক্ষয় আটকেছিলেন।


আরও পড়ুন-ফিল্ম রিভিউ: মনুষ্য ধর্ম ও মানবতার গোত্রে দর্শকদের বাঁধতে সফল 'গোত্র'