Arijit Singh: মানবিক উদ্যোগ অরিজিতের, মাত্র ৩০ টাকায় পেট ভরাচ্ছে গায়কের রেস্তোরাঁ `হেঁসেল`!
শিল্পীর বাড়ি থেকে রেস্তোরাঁ দেখার ভিড় দিন দিন বাড়ছে। একাধিক ইউটিউবার অরিজিৎ-কে এক ঝলক দেখার জন্য জিয়াগঞ্জে ঢুঁ মারছেন। তাঁদের ভিডিয়োর মাধ্যমেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে ‘হেঁসেল’-এর খ্যাতি। যেখানে খুব অল্প টাকা খরচ করে স্থানীয় ও ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষ পেট ভরে খেয়ে যান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। নামটাই যথেষ্ট। না আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। জিয়াগঞ্জের (Jiaganj) ভূমিপুত্রের বিশ্বজোড়া খ্যাতি। কনসার্ট বা গান নিয়ে অন্যান্য ব্যস্ততা না থাকলে বছরের বেশির ভাগ সময়টা নিজের শহরেই কাটাতে ভালবাসেন বলিউডের (Bollywood) এই মুহূর্তে শীর্ষে থাকা গায়ক। তবে সেই চাকচিক্যের জীবনকে সরিয়ে তাঁকে প্রায় নিজের শহরের রাস্তাঘাটে স্কুটি চালিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
গায়কের পাশাপাশি মানুষ হিসবেও অরিজিৎ-ও সকলের খুব পছন্দের। সেলিব্রেটির জোব্বা ছেড়ে তাঁর সাদামাটা জীবন-যাপন মুগ্ধ করেছেন সকলকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই ভাইরাল হয় অরিজিৎ সিং-এর বিভিন্ন ধরনের ভিডিয়ো। এবার ভাইরাল হল অরিজিতের রেস্তোরাঁ ছবি। আসলে জিয়াগঞ্জে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে গায়কের। রেস্তোরাঁটির দেখভাল করেন গায়কের বাবা মসুরেন্দ্র সিং ওরফে কাক্কা সিং এবং হোটেলের ম্যানেজার রাজু। শিল্পীর খোঁজে জিয়াগঞ্জে আসছেন যারা, তাঁদের কাছে ঘোরার অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে এই রেস্তরাঁ। যার নাম – 'হেঁসেল' (Henshel)।
এহেন শিল্পীর বাড়ি থেকে রেস্তোরাঁ দেখার ভিড় দিন দিন বাড়ছে। একাধিক ইউটিউবার অরিজিৎ-কে এক ঝলক দেখার জন্য জিয়াগঞ্জে ঢুঁ মারছেন। তাঁদের ভিডিয়োর মাধ্যমেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে ‘হেঁসেল’-এর খ্যাতি। যেখানে খুব অল্প টাকা খরচ করে স্থানীয় ও ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষ পেট ভরে খেয়ে যান। জিয়াগঞ্জের অন্দরে বরাবরই হেঁশেল' রেস্তোরাঁ জনপ্রিয়। কারণটা অবশ্য এখানকার খাবারের দাম। সাধ্য মতো দামে ভালো খাবার খেতে অনেকেই ভিড় জমান এখানে।
আরও পড়ুন: Nobel Arrest: প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার, ফের বিতর্কে বাংলাদেশের গায়ক নোবেল
আরও পড়ুন: Nora Fatehi: অদেখা বেলি ডান্সের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে! নোরা-নৃত্যের ফুলকিতে চমকিত নেটপাড়া...
আর পাঁচজন সেলিব্রিটির সঙ্গে যেমন অরিজিৎকে গুলিয়ে ফেলা যায় না, তেমনই তাঁর এই পারিবারিক রেস্তোরাঁর সঙ্গে অন্যান্য সেলেব রেস্তোরাঁকে মেলানো যায় না। সাধারণ মানুষদের পকেটের কথা মাথায় রেখে ‘হেঁশেল’ চালাচ্ছে গায়কের পরিবার। যাতে কম খরচেও পেট ভরে মানুষের। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১০.৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে ‘হেঁশেল’। এখানে রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ছাড়। সোম থেকে শনিবার পড়ুয়াদের পরিবেশন করা হয় ৪০ টাকার ভেজ থালি। পড়ুয়াদের মধ্যে পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ডাল-ভাত, সবজি, মাছ-মাংস থেকে শুরু করে নান কিংবা বিরিয়ানির মতো খাবারও মেনুতে রয়েছে। পদ অনুযায়ী দাম ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মতো। খাবারের গুণমানও ভালো। সময় পেলে মাঝে মধ্যে ‘হেঁসেল’-এ ছুটে আসেন গায়ক নিজেও। তাই শিল্পীকে চাক্ষুষ দেখার আশা নিয়ে অনেকেই এক-আধবার ঢুঁ মারেন 'হেঁশেল'-এ।
তবে শুধুমাত্র ব্যবসার জন্যই রেস্তোরাঁটি খোলা হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়!এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। গায়কের বাবা সুরেন্দ্র সিং বলেন, "হেঁশেল চালানো শুধু মাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য নয়। ২৯ জনকে কর্মসংস্থান দেওয়ার পাশাপাশি সস্তায় খাবার পরিবেশনই আমাদের মূল লক্ষ্য।"
জিয়াগঞ্জে হাসপাতাল নির্মাণ থেকে খেলার মাঠ তৈরি, ইংরেজি শিক্ষার ক্লাস চালু করার মতো নানাবিধ সামাজিক কাজে নিজেকে জড়িয়েছেন অরিজিৎ সিং। এবার তাঁর রেস্তোরাঁর প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ সকলে। সুযোগ পেলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন অরিজিতের 'হেঁশেল'-এ।