ওয়েব ডেস্ক: দেশপ্রিয় নাকি কলেজ স্কোয়ার কোন মন্ডপ শেষপর্যন্ত সবথেকে বেশি লোক টানল,সে হিসেব যেমন বাঙালি কষবে।সেরকমই দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাওয়া  ছ'টা বাংলা ছবির মধ্যে কোনটা হিট আর কে ডাহা ফ্লপ তারও চর্চা করবেই। তাই প্রথম দুই সপ্তাহের শেষে কোন ছবি কেমন চলছে তা সম্পর্কে ধারণা করার চেষ্টা করলাম আমরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ বছরও ফর্মুলা রিপিট করেছে টালিগঞ্জ। পুজোয় একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে ছটা ছবি। মুখার্জি বাবু পুজোয় উপহার দিয়েছেন জুলফিকর। জুলফিকরই এ বছর পুজোয় সবচেয়ে বড় ওপেনিং। অধিকাংশ শো হাউজফুল। ছবি কেমন তা নিয়ে অবশ্য দু-রকম মত রয়েছে। যেটাকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বলে থাকি আমরা। অনেকের কাছে ছবি পরিচিত হচ্ছে শুধু দেবের ছবি হিসাবে। আর দেবের কোর অডিয়েন্সের সংখ্যা বিরাট। যা সৃজিতের ছবির দর্শক সংখ্যা বাড়িয়েছে। ষষ্ঠীর দিন থেকেই সিঙ্গল স্ক্রিন এবং মাল্টিপ্লেক্সে ভীড় দর্শকের। প্রসঙ্গত ভেঙ্কটেশের বিগ বাজেটের ছবি জুলফিকর কালেকশনের দিক থেকেও একনম্বরে। বক্সঅফিসের ব্যবসায় হার মানাবে মিশর রহস্যের মতো সিনেমাকে। অর্থাত্‍ দুই নিরিখেই এখন বাংলা মেইনস্ট্রিম ছবি জুলফিকর। 


তবে জোর টক্করে অঞ্জন দত্ত'র ব্যোমকেশ বক্সী। সত্যজিৎ‍-উত্তমকুমারকে না খুঁজে অঞ্জন-শরদিন্দুর জুটিকে পাওয়া গেল। সত্যজিত্‍ রায়, চিড়িয়াখানা এবং উত্তমকুমারের রেফারেন্স অঞ্জন দত্তর ছবিতে শেষের একটা ডায়লগ মাত্র। এছবিকে স্বতন্ত্র রাখতে পেরেছেন পরিচালক। যিশু আবারও প্রমাণ করেছেন তাঁর যোগ্যতা। তাই ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা পুজো রিলিজের মাস্ট ওয়াচের মধ্যেই পড়েছে। শুধুমাত্র ওয়ার্ড অফ মাউথেই হল ভর্তি। ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানার শো মাল্টিপ্লেক্সে অনেকটাই বেশি সিঙ্গলস্ক্রিনের তুলনায়।ব্যোমকেশ বিগ বাজেটের ছবি নয়।তবুও দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে কালেকশনে কোনরকম ড্রপ নেই। ট্রেন্ড বলছে এই ছবি হিট।


 



 


ভেঙ্কটেশের দ্বিতীয় বিগ রিলিজ বিরসা দাশগুপ্তের গ্যাংস্টার। এবছর গ্যাংস্টারে পরিচয় করিয়েছেন যশ দাশগুপ্তকে। সঙ্গে অবশ্য মিমি। তবে জীবনের প্রথম বড় পর্দায় হিরোর রোল পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেন না যশ।তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন মিমি। বিরসা দাশগুপ্তর পরিচালনা কমার্শিয়াল ছবিকে অন্য মাত্রা দিলেও চিত্রনাট্যের বাধুঁনি আরও শক্ত হলে ছবি বেশী দর্শকের কাছে পৌছত।তবে লক্ষ্যে পৌঁছন কঠিন বলেই ঠাওর হচ্ছে বক্স অফিসের রির্পোটে। 


এবছর রাজ হাত মিলিয়েছেন জিতের সঙ্গে। নায়ক জিত্‍ কে নিয়ে এবছরের বিগ বাজেট বাংলা বাণিজ্যিক ছবি। ত্রিকোন প্রেমের এই ছবি অভিমান স্লো স্টার্টার। ছবিটা যে দর্শকের পছন্দ হয়েছে তা ছবির কালেকশন গ্রোথই বলছে। মিড নাইট শো রয়েছে একমাত্র এই ছবিরই। 



এবছর পরিচালক সুদীপ্ত সরকারের প্রেম কি বুঝিনি-তে পুজো মাতালেন ওম-শুভশ্রী জুটি। দেশের বাইরে ছবির শুটিং, নতুন জুটি, ছবির গান কিছুই ব্যবসা দিতে পারলনা এই ছবিকে। তবে ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার এই ছবি বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এদেশে লাভের মুখ দেখবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আবার পুজোয় চকলেট উপহার দিয়েছেন সুজন মুখার্জি।অনেক আগেই মুক্তি হওয়ার কথা ছিল তবে পাখির চোখ রেখেছিলেন দূর্গাপুজোতেই। তবে শেষ রক্ষা হল না। এতদিন টলিটাউনে থেকেও এ ভুল সুজন মুখার্জি কেন করলেন এ প্রশ্ন উঠছে। এত হেভিওয়েট ছবিদের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারেনি চকোলেট। মুক্তির সময় সঠিক নির্ধারন করলে হয়ত এই কমেডি ছবি দীর্ঘদিন দর্শকের মনে থেকে যেত। হিট কিংবা ফ্লপের বিচার তো পরে এই ছবি ইকোনমির ধাক্কা সামলে উঠুক আগে।তবে একসঙ্গে এত ছবির মুক্তি আখেরে ক্ষতি করছে ইন্ডাস্ট্রির।