শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায় ও সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত দেবের ছবি 'গোলন্দাজ'। শেষ মুহূর্তে ছবির প্রচারে ব্যস্ত পর্দার নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী। ইতিমধ্য়েই দেব জানিয়েছেন তাঁর কেরিয়ারের সেরা তিন ছবির মধ্যে অন্যতম 'গোলন্দাজ' (Golondaaj)। তবে শুধু ছবিই নয় জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ-অভিনেতা দেব (Dev) শেয়ার করলেন তাঁর রাজনৈতিক মতামত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরিয়ারের অন্যান্য ছবির তুলনায় গোলন্দাজ কতটা কঠিন ছিল? 


আমার কেরিয়ারের অন্যতম কঠিন ছবি গোলন্দাজ। কিন্তু কেন এই ছবিকে কঠিন ছবি বলছি তার জন্য এই ছবি দেখা খুব জরুরি। দর্শক এই ছবি দেখলেই বুঝতে পারবে কেন এই ছবিতে অভিনয় করা কঠিন  ছিল আমার কাছে। 


গল্পকারের সৃষ্ট কোনও চরিত্রের থেকে কি বাস্তবের কোনও চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা বেশি চ্যালেঞ্জিং? 


এটা নির্ভর করছে তুমি কোন চরিত্রে অভিনয় করছ। নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারীর চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা খুবই কঠিন ছিল কারণ তাঁর ইতিহাস এতোটা দীর্ঘ সেটা পর্দায় তুলে আনা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এখনকার কোনও চরিত্র হলে সেটা অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে আনা খুব একটা শক্ত বিষয় হবে না। 


পুজোয় টেলিভিশেনে মুক্তি পেতে চলেছে আপনার প্রযোজিত ছবি 'হবুচন্দ্র রাজা, গবুচন্দ্র মন্ত্রী'। অন্যদিকে বড়পর্দায় মুক্তি পাবে 'গোলন্দাজ'। কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ দেব?


আমার মনে হয় এই সময় এটা একটা বড় পদক্ষেপ। পৃথিবী জুড়ে অনেক বড় বড় প্রযোজনা সংস্থা তাঁদের ছবি রিলিজ করছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এমনকি বড় বড় স্টারেরাও তাঁদের ছবি রিলিজ করাচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়ায়। সেই জায়গা থেকে মনে হচ্ছে, হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রীর টেলিভিশনে মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। 



১৫ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে রুক্মিনী মৈত্রর ছবি 'সনক'। টুইটারে আপনি লিখেছেন রুক্মিনীকে নিয়ে আপনি গর্বিত। 


হ্যাঁ, এই পুজোয় আসলে আমার দুটো নয়, তিনটে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী', 'গোলন্দাজ' ও 'সনক'। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 


এই পুজোয় আবারও বক্সঅফিসে মুখোমুখি জিৎ-দেব, সঙ্গে রয়েছে কোয়েলও। একসঙ্গে সুপারস্টারদের ছবি মুক্তি আদতে ইন্ডাস্ট্রির লাভ না ক্ষতি?
 
ক্ষতি তখন হবে যদি একটা সিনেমা দেখতেও দর্শক সিনেমা হলে না আসে। আমাদের সঙ্গে যদি আরও চারটে সিনেমা রিলিজ করে তাতে কোনও সমস্যা নেই আমার। কিন্তু এখন প্রধান বিষয় হল দর্শক হলে আসে কিনা। তাঁদের মনে ভয় কমেছে কিনা। কারণ এখন দর্শক সিনেমা হলে আসাটাই বড় ব্যাপার। আমার, জিৎদার, কোয়েলের, অঙ্কুশের বা অন্য যেকোনও কারোর ছবি দেখতে আসলেই হল। কোন ছবিটা দেখতে আসছে সেটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল দর্শকের সিনেমাহলে এসে সিনেমা দেখার মানসিকতা ফিরে আসা।



আরও পড়ুন: মহালয়ায় সুখবর, বড়পর্দায় টলিপাড়ার দুই 'কাছের মানুষ' Dev-Prosenjit


সৌজন্য রাজনীতির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর দেব জি ২৪ ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকারে বলছেন রাজনীতিতে আর নীতি নেই। এ কথা বলার কারণ কী? 


কারণ আমরা প্রায়দিনই শুনছি যে কেউ না কেউ দল বদল করছে। আমি যে আদর্শ নিয়ে চলি সেই আদর্শের সঙ্গে মিলছে না। সবাই যেন পাওয়ারের পিছনে ছুটছে। এটা তো নীতি হওয়া উচিত নয়। দল তোমাকে যে টিকিট দিয়েছে, যে জায়গা থেকে তুমি জিতেছো, যে দলের লোকেরা তোমার জন্য খেটেছে তাঁদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। 


আমরা পুজোর সময় ভাবি আনন্দ করব। কিন্তু যে জায়গা থেকে আপনি দুবার জিতেছেন, সেই ঘাটালের মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত। কষ্টে আছে। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আপনি তাঁদের কী বলবেন?


সত্যিই কঠিন সময়। আমি কাল ঘাটালে ছিলাম। আর দুদিন বাকি প্যান্ডেলগুলো সব জলের নীচে। জলে ভাসছে গোটা এলাকা। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি যেহেতু সাংসদ, সরকারের প্রতিনিধি, আমাদের দল ক্ষমতায় আছে, আমার দলের প্রতিটা মানুষ ঘাটালের পাশে আছে। তবে এটাও সত্যি যে আমরা সব জায়গায় পৌঁছতে পারছি না। এমনকি যাঁরা সাহায্য করছে তাঁদেরও বাড়িতে জল। তাও যাঁদের কাছে অল্প হলেও খাওয়ার সামগ্রী আছে তাঁরা যদি পাশের লোককে সাহায্য করে তাহলে অনেকটা উপকার হবে। যাঁরা সাহায্য পাচ্ছে না তাঁদের সম্পর্কে যদি কেউ খবর দেন তাহলেও উপকার হয়। দলের কাছেও এত লোক নয়, বাঁধ ঠিক করতে মানুষের হাত ভেঙে গেছে, রাস্তা হারিয়ে গেছে, নানারকম ঘটনা ঘটছে কিন্তু তাও আমরা চেষ্টা করছি যাতে খাওয়ার জল, বাচ্চাদের খাবার, ওষুধ পৌঁছানো যায়। তবে কোনও মিথ্যা আশ্বাস আমি দিতে চাই না। কিন্তু বলতে চাই সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু এই সময়টা কেটে যাবে। এবছর না হলেও পরের বছর আপনারা বাকিদের থেকে ভালো পুজো কাটাবেন। 


মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারত। ভবানীপুরে তো জয় এল। এবার কী মনে হচ্ছে দিল্লি কত দূর?


আমি অতটাও রাজনীতি বুঝি না। দল ভালো কাজ করছে, দল এগোচ্ছে।


কিছুদিন আগেই আপনি বলেছেন যে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী না হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন পাবে না। 


হ্যাঁ কিন্তু দুটো আলাদা বিষয়। তবে এটা ঠিক যে মাস্টারপ্ল্যান তখনই সফলতা পাবে যদি কোনও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন। কারন বাঙালি না হলে সে বুঝবেই না যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজনীয়তা কতটা। কাল যখন গিয়েছিলাম কেউ আমাকে কোনও অভিযোগ করেনি। কেউ বলতে পারবে না আমি ঘাটালের জন্য কিছু করিনি। সবাই আমার পাশে আছে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু দিল্লি থেকে অনুমোদন না পেলে আমি কি করব। আমার কাছে ৩০০০ কোটি টাকা নেই, আমার নিজের টাকা দিয়ে করতে দশ জন্ম লেগে যাবে। আমার সঙ্গে দিদির সম্পর্ক ভালো ,দিদি প্রধানমন্ত্রী হলে আমি ঝগড়া করে হলেও এটা অনুমোদন করাবো। সেই আস্থা আছে আমার। 



শেষ প্রশ্ন, গোলন্দাজের পর কী দুপায়ে বল ব্যালান্স করতে পারছ?


(হেসে) না পারছি না। আই এস এল খেলতে হতে শিখে ফেলতাম। গোলন্দাজের পরই মাথায় ছিল কিশমিশের কথা। সেখানে আবার অনেকটা ওজন কমাতে হয়েছে। কারন সেখানে আবার স্কুল স্টুডেন্টের চরিত্রে দেখা যাবে তাই কিশমিশের কথা মাথায় ছিল। সেটা আমার কাছে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)