রণিতা গোস্বামী: ছবির পটভূমিতে থাকছে রাজনীতির গন্ধ। তবে তথাকথিত রাজনৈতিক ছবি বলতে বাংলা ছবির দর্শক যেধরনের সিনেমার সঙ্গে পরিচিত, ঠিক তেমনটাও আবার নয়। ছবির গল্পে রাজনীতির সঙ্গে মিশে রয়েছে গ্রাম বাংলার একটা মেঠো সুর। এমনই একটি গল্প নিয়ে 'বাকি ইতিহাস' ছবিটি বানিয়ে ফেলেছেন পরিচালক তুষার বল্লভ। এটাই তাঁর প্রথম ছবি। আর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছেন পরিচালক। ২৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্যানোরমা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে তাঁর এই ছবি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''ছবিটি একটি রাজনৈতিক ছবি। তবে রাজনৈতিক ছবি বলতেই বাংলা ছবির দর্শকের হয়ত প্রথমেই মাথায় আসবে মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক ঘরনার ছবির কথা। তবে আমার ছবি 'বাকি ইতিহাস' এক্কেবারেই তেমনটা নয়। আবার এটি বলিউডের স্টাইলের কোনও রাজনৈতিক ছবিও নয়। কবি জসীমউদ্দীনের কবিতায় যে রাজনীতিটা পাওয়া যেত, যেখানে একটা মেঠো সুর রয়েছে, 'বাকি ইতিহাস'-এর রাজনৈতিক পটভূমিকা খানিকটা সেইরকম বলা যেতে পারে। ছবিতে কোনও তত্ত্বের বা তথ্যের ভার নেই। তত্ত্ব রয়েছে, তবে তা চরিত্রগুলির মধ্যেই। আবার কোনও গুরু গম্ভীর আলোচনাও নেই। ছবির গল্পের সঙ্গে দর্শক খুব সহজেই নিজেকে একাত্ম করতে পারবেন। ছবিতে সেই চরিত্রগুলি তুলে ধরা হয়েছে যাঁরা আমাদের চারপাশেই থাকেন, অথচ তাঁদের আমরা দেখেও দেখি না। আমি চেষ্টা করেছি সেই চরিত্রগুলিকে তুলে ধরতে। এই ছবিতে বাণিজ্যিক অন্যান্য ছবির মতো কোনও চকচকে গল্প নেই। এক্কেবারে প্রান্তিক মানুষগুলোই এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।''


আরও পড়ুন-'পরিণীতা' পর এবার 'ধর্মযুদ্ধ', মুন্নির লুকে চমক শুভশ্রীর


পরিচালক তুষার বল্লভ আরও জানান, ''মেদিনীপুরের একেবারে গ্রামের দুই ছেলেমেয়ে। যাঁদের এখন বয়ঃসন্ধিকাল। তাঁদের স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্ন ভঙ্গের গল্পই বলবে বাকি ইতিহাস। তাঁদের স্বপ্নের রঙিন ক্যানভাস কীভাবে ধীরে ধীরে বর্ণহীন হয়ে যায়, সেটাই তুলে ধরা হবে।''




আরও পড়ুন-'কিল করদা'র পর আড্ডায় নিজের 'পাগলপন' নিয়ে হাজির মালবিকা


পরিচালক আরও জনান, তিনি তাঁর বাকি ইতিহাসের শ্যুটিং করেছে বাঁকুড়ার একটি গ্রামে। তবে এই ছবিতে যাঁরা অভিনয় করেছেন তাঁরা এক্কেবারেই কোনও পেশাদারী অভিনেতা-অভিনেত্রী নন। সাধারণ কিছু যুবক যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করানো হয়েছে। 


'বাকি ইতিহাস' ছবিটিতে সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি আর্ট ডিরেকশন ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ, যাঁর দায়িত্ব ছিলেন সমীর আইচ। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অনির্বাণ রায়। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সব্যসাচী পাল। পরিচালকের কথায়, এই ছবিতে মৈথিলী ভাষায় চর্যাপদের আঙ্গিকে তৈরি গান যেটি পরিচালকের নিজেরই লেখা।। বাংলায় যে ঐতিহ্যবাহী পাঁচালী গান, সেই গানও রয়েছে এই ছবিতে।