নিজস্ব প্রতিবেদন: একটুও রাগ হয়নি। বরং ‘নিন্দুক’দের ধন্যবাদ জানিয়ে ‘রানি রাসমণি’ জানালেন, “এভাবে ট্রোলিং চলতে থাকলে তিনি একদিন সারা ভারতে বিখ্যাত হয়ে যাবেন।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত রবিবার। ষষ্ঠ পানিহাটি উত্সব ও বইমেলা উপলক্ষে ২৩ ডিসেম্বর রাতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলা টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী  দ্বিতিপ্রিয়া রায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁকে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত হয়েছিল শ্রোতা দর্শকরা। তাদের উদ্দেশ্যে পাল্টা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে দ্বিতিপ্রিয়াও। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রানি রাসমণি’-কে আপ্রাণ ভালবাসার জন্য দর্শকমণ্ডলীকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করে এই টেলি তারকা। এরপর পানিহাটি উত্সবে আগত শ্রোতা দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য দুটি গানও গেয়ে শোনান দ্বিতিপ্রিয়া। রাধারমণ দত্ত রচিত ‘কলিঙ্কিনী রাধা’ ও বহুল প্রচলিত লোকসঙ্গীত ‘পিন্দারে পলাশের বন’ গেয়ে শোনান টেলিভিশন তারকা। সেই ভিডিয়ো নিয়েই শুরু হয় ট্রোলিং। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে দ্বিতিপ্রিয়ার গাওয়া সেই গান ২টি-কে নিয়ে শুরু হয় মশকরাও। ভিডিয়োগুলো এতটাই শেয়ার হয় যে ফেসবুক খুললেই টাইমলাইনে ভেসে আসছে সেগুলো।


আরও পড়ুন- রকস্টার রাসমণি! দ্বিতিপ্রিয়ার 'কলঙ্কিনি রাধা' ভাইরাল হল ফেসবুকে 


এই ঘটনায় এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন স্বয়ং অভিনেত্রী। গান গাওয়া অপরাধ নয়। দর্শকদের অনুরোধেই গান গাইতে হয়েছে।   আর সেটা নিয়ে ট্রোলিং হওয়ায় একটুও রাগ হয়নি ‘রানি মা-র’। উল্টে দ্বিতিপ্রিয়া জি ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছে, “এটা তো প্রথমবার নয়। এর আগেও আমার ডায়লগ (তুমি এয়েচো) নিয়ে একাধিকবার আমাকে ট্রোল করা হয়েছে। অনেকদিন সেটা বন্ধ ছিল। আমাকে যারা পছন্দ করেন না, তারা একটা ছুতো খুঁজছিলেন। এবার সেটা হাতে পেতেই আবার ট্রোলিং শুরু হয়েছ।” দ্বিতিপ্রিয়া রসিকতা করেই বললেন, “এভাবে ট্রোলিং চলতে থাকলে তিনি একদিন সারা ভারতে বিখ্যাত হয়ে যাবে।”



( ষষ্ঠ পানিহাটি উত্সব ও বইমেলায় দ্বিতিপ্রিয়া রায়)


প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ নিয়েছে দ্বিতিপ্রিয়ার ফ্যান ক্লাবগুলো। মূলত  দ্বিতিপ্রিয়ার অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়োগুলো নিয়ে রিপোর্ট করতেই তা ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। পানিহাটি উত্সব আয়োজকরাও নিজেদের YouTube চ্যানেল থেকে সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ডিলিট করে দিয়েছে। ফেসবুক পেজেও যারা ট্রোল করছে, তাদের পোস্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করছে  দ্বিতিপ্রিয়ার ফ্যান ক্লাবগুলো।