মনের ঘরে বসত করে কয়জনা? বলিউড ছবিতে দ্বৈতসত্তা। ভয়ঙ্কর আর সুন্দরের বসবাস একই মস্তিষ্কে! লক্ষ্যভেদ অব্যর্থ হলেই অভিনেতা-অভিনেত্রীর কেরিয়ার সিকিয়োর্ড।লিখছেন শর্মিলা মাইতি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিছুদিনের মধ্যেই সারা দেশের সিনেমাহল হাউসফুল করতে আসছে ''হাউসফুল থ্রি''। যাঁরা ফুল-অন কমেডি দেখার প্রত্যাশায় বসে আছেন, তাঁদের জানা দরকার, ফারহাদ-সাজিদ পরিচালক জুটির এই ছবিতে প্রথমবার অক্ষয়কুমার অভিনয় করছেন এক মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির ভূমিকায়। যে রোগের মেডিক্যাল টার্ম ডিসোসিয়েটিভ পারসোনালিটি ডিজর্ডার। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অক্ষয়কুমারের মাথা থেকে বেরিয়েছে দুটো শিং। তাঁর চরিত্র স্যান্ডি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলার স্বপ্ন দেখে, কিন্তু কোচ যখনই ইন্ডিয়ান বলে গালাগালি দেয়, তখনই মস্তিষ্ক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে এই মিস্টার হাইড। প্রবল প্রতিশোধস্পৃহা নিয়ে।



বিদ্যা বালানের সেই ভুলভুলাইয়া-র চরিত্র। এক কাল্পনিক চরিত্রকে যে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে শুধু নয়, নিজের সত্তা থেকেই তেড়েফুঁড়ে ওঠে সেই কল্পনার চরিত্র। মনোবিদদের মতে, এই দ্বৈতসত্তার উদাহরণ বাস্তবে অনেক আছে।

 


মনে পড়বেই উর্মিলা মাতন্ডকরকে। রামগোপাল ভার্মার ''কওন'' ছবিতে যাকে একলা পাণ্ডববর্জিত বাড়িতে দেখা যায় ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতে, পরে জানা যায় সে-ই আসলে খুন করে একের পর এক আগন্তুককে।


কিংবা ''ডর'' ছবির শাহরুখ খানকে কে ভুলতে পারে? সে কথা বলে চলে মায়ের সঙ্গে, যিনি মারা গেছেন আঠেরো বছর আগেই! অলটাইম ফেভারিট সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লিস্টে থাকবেই থাকবে তাঁর চরিত্র।

দিওয়াঙ্গি ছবিতে অজয় দেবগণকে দেখা গিয়েছিল এক স্প্লিট পার্সোনালিটির চরিত্রে। জেল থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্যেই তিনি ব্যবহার করেছিলেন এই দ্বৈতসত্তাকে, শুধুই নিজের প্রেমিকাকে কাছে পাওয়ার জন্য।


আর ''কার্তিক কলিং কার্তিক'' ছবিটা যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা ফারহানকে কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। বিপন্ন শৈশবই তাঁর অন্তরে জন্ম দিয়েছিল আরেক সত্তাকে, যার সঙ্গে অনবরত ফোনে কথা বলে চলতেন তিনি।

মোটের উপর, দ্বৈতসত্তারা সবসময়েই রুপোলি পর্দায় রোমহর্ষক। আর অবশ্যই, অভিনেতা বা অভিনেত্রীর কেরিয়ারগ্রাফের এমন চমক, যার অস্তিত্ব চিরস্থায়ী। একবার লক্ষ্যভেদ করতে পারলে, সেরার সিংহাসনটা সিকিয়োরড!