Durga Puja 2022 : কোভিড-কাল পেরিয়ে পুজোয় প্রবাস পাড়ি বাংলা গানের
২০২২-এ দুর্গাপুজোর ছবি অনেকটাই বদলাতে চলেছে। করোনা ভুলে আবারও আনন্দ উৎসবে মাততে চলেছেন দেশ-বিদেশের বাঙালিরা। বাংলা থেকে প্রবাস সমস্ত বাঙালিই এবার পুজোর আনন্দ চেটেপুটে নিতে চান। পুজোয় তাই গান শোনাতে বাংলা থেকে কমবেশি বাংলার সমস্ত গায়ক-গায়িকার-ই ডাক পড়েছে। এবার বাংলার বেশিরভাগ সংগীত শিল্পীই গানের শো নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন।
Durga Puja 2022, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : ২০২০ থেকে ২০২১, কোভিড ছারখার করে দিয়েছিল বাঙালির পুজোর আনন্দ। করোনার থাবায় সমাজে বের হওয়াটাই হয়ে উঠেছিল মুশকিল। ভয়ে ভয়ে টুকটাক ঘুরতে বের হওয়া ছাড়া পুজোতে মূলত ঘরবন্দিই জীবন কেটেছে বাঙালির। পুজো উপলক্ষ্যে হওয়া নানান অনুষ্ঠান কিংবা গানের শো একপ্রকার হয়নি বললেই চলে। দু'বছর পুজোয় গান শোনাতে যেতে পারেননি প্রায় কোনও শিল্পী-ই। তবে ২০২২-এ দুর্গাপুজোর ছবি অনেকটাই বদলাতে চলেছে। করোনা ভুলে আবারও আনন্দ উৎসবে মাততে চলেছেন দেশ-বিদেশের বাঙালিরা। বাংলা থেকে প্রবাস সমস্ত বাঙালিই এবার পুজোর আনন্দ চেটেপুটে নিতে চান। পুজোয় তাই গান শোনাতে বাংলা থেকে কমবেশি সমস্ত গায়ক-গায়িকার-ই প্রবাসে ডাক পড়েছে। এবার বাংলার বেশিরভাগ সংগীত শিল্পীই গানের শো নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন।
তা এবার পুজোয় কোথায় কোথায় শো করছেন বাংলার সংগীতশিল্পীরা....
রাঘব চট্টোপাধ্যায় : প্রয় ১৮-২০ বছর ধরে আমি পুজোর সময় প্রায় বাইরেই থাকি। বেশিরভাগ সময়ই বিদেশে অর্থাৎ ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় শো থাকে। তবে এবছর আমি দেশেই আছি। এখন কলকাতাতে বিভিন্ন শো চলছে। আর পঞ্চমী, ষষ্ঠীতে থাকছি দিল্লিতে, প্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চারটি শো থাকছে পুণেতে। তারপর একটা দিন রিল্যাক্স করে আবারও কলকাতায় ফিরে আসব। শুধু আমি নয়, আমার দুই মেয়েও যেহেতু এখন পুরোদমে মিউজিক করে, ওরা নিজেরা বাজায় ও গায়, যেমন ছোট গিটার বাজায়। তাই ওরাও এখন আমার টিমের সদস্য। পুজোতে আমি যেখানেই যাই না কেন আমার পরিবার আমার সঙ্গে যায়।
রূপঙ্কর বাগচী : দু'বছর পর এবার পুজোটা পুরোটাই শো-করে কাটবে। ষষ্ঠীতে আমার বর্ধমানে শো রয়েছে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে বেঙ্গালুরুতে শো রয়েছে, এরপর দশমীতে কলকাতায় ফিরে বেহালাতে শো করব।
লোপামুদ্রা মিত্র : আমার পুজোর শো শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা এবং কলকাতার বাইরে যেমন শ্রীরামপুর সহ অন্যান্য বেশকিছু জায়গায় অনুষ্ঠান রয়েছে। আজ শনিবার বিশ্ববাংলা কনভেনশনে আমার অনুষ্ঠান আছে। মহালয়ার দিন (রবিবার) শ্রীরামপুর রাজবাড়িতে অনুষ্ঠান রয়েছে। তারপর দু'দিন ছুটি। এরপর ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতার বাইরে একটা, আরেকটা মধ্যমগ্রামে অনুষ্ঠান রয়েছে। তারপর ষষ্ঠীর দিন চলে যাচ্ছি বেঙ্গালুরুতে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত সেখানেই। পুজোর কটাদিন সন্ধেবেলা শো, আর সকালবেলা হোটেলে বিশ্রাম নেওয়া, এভাবেই মূলত কাটবে। এছাড়া সময় পেলে টিমের সঙ্গেই টুকটাক খাওয়াদাওয়া, আড্ডা হতে পারে, আর কিছু পরিকল্পনা নেই।
জোজো : আমি এবার পুজোয় মূলত বেঙ্গালুরুতে থাকছি। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী বেঙ্গালুরুতে শো আছে, শুধু নবমীর দিন পুণেতে থাকছি। ওখান থেকে একেবারে দশমীতে ফিরব। বাকি পুজোর আগে-পড়ে কলকাতা ও সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় শো রয়েছে।
অনুপম রায় : এবার পুজোটা কলকাতার বাইরেই কাটবে। এবার আমার হায়দরাবাদে এবং বাংলাদেশের ঢাকায় শো রয়েছে। পুজোর পর কলকাতায় ফিরব।
দুর্নিবার সাহা : দু'বছর পর এবার পুজোতে সৌভাগ্যক্রমে আমার কলকাতা এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় শো রয়েছে। এবছর কলকাতা, মুম্বই, হায়দরাবাদ, দিল্লির পুজো দেখব এবং শো করব। তবে সব শো দেশেই, বিদেশে এবার যাচ্ছি না। যদিও অন্যবার সেটা একটা আলাদা-ই অভিজ্ঞতা হয়।
শোভন গঙ্গোপাধ্যায় : গত ৫-৭ বছর পুজোর সময়টা দেশে থাকি না। বিদেশে শো থাকে। গত দু'বছর যদিও পুজোটা করোনার কারণে সেভাবে কাটে নি। তবে এবার মহালয়ার পরদিনই (২৬ সেপ্টেম্বর) আমেরিকা উড়ে যাব। ওখানে গানের শো আছে। ফিরব সেই ১০ কিংবা ১২ অক্টোবর।
উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়: পুজোর অর্থই আমার কাছে অনুষ্ঠান করব, গান গাইতে যাব। যদিও গত দু'বছর কলকাতাতে কেটেছে, আর এবার কলকাতার বাইরে থাকব। গোটা পুজো জুড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠান রয়েছে। ফিরব একেবারে দশমীর পর।
মেখলা দাশগুপ্ত : এবার চতুর্থীতে দুর্গাপুরে যাচ্ছি, ওখানে শো আছে। এরপর মুম্বই যাচ্ছি, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, চারদিন ওখানে শো রয়েছে। তারপর আবারও কলকাতায় ফিরে আসব।
সোহিনী মুখোপাধ্যায় : পুজোতে একদম টাইট সিডিউল। আমার এবার মূলত গুজরাটে শো রয়েছে। ষষ্ঠীতেই বেরিয়ে যাচ্ছি, সপ্তমীতে দমন-এ শো রয়েছে। এরপর অষ্টমীতে গুজরাটের বারুচ, নবমীতে ভাদোদরা, তারপর দশমীতে যাচ্ছি মধ্যপ্রদেশ। ওখানে জব্বলপুরে শো রয়েছে। এরপর কলকাতা ফিরে আসছি। তারপর আবারও দীপাবলিতে হায়দরাবাদে চলে যাব।