নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপাকে পাকিস্তানের গায়ক রাহত ফতে আলি খান। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁর জবাব চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারা এ নিয়ে ওই পাক গায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নানা পাঠেকরের বাড়িতে অঘটন, নামল শোকের ছায়া 


পাক-গায়ক রাহত ফতে আলি খান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে জনপ্রিয়। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অভিযোগ, এই সমস্ত অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া অর্থই তিনি বিদেশে পাচার করেছেন।


ইডি সূত্রে খবর, যে ঘটনায় ওই পাক-গায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে, সেটি ২০১১ সালের। সেই সময় দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে ও তাঁর ম্যানেজার মারুফ মারুফকে আটক করে ডিরেক্টর অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স।


আরও পড়ুন: আচমকাই অসুস্থ অনিল কাপুর, তড়িঘড়ি পাড়ি দিলেন বিদেশে 


তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১.২৪ লক্ষ ডলার মেলে, যার কোনও হিসেব ছিল না। তখনই তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। কোথা থেকে এল, তা জানতে চাওয়া হয়। ইডি সূত্রে খবর, এর কোনও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। তবে তাঁর কোনও দোষ নেই বলেই তিনি দাবি করেছিলেন। তবে জরিমানা দিয়ে সেই সময় তিনি ছাড়া পান।


এরপর ২০১৪ সালে ফেমা আইনে ওই পাক-গায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি। তদন্তে ইডি জানতে পারে, অবৈধ ভাবে ২.৪২ কোটি টাকা জোগাড় করেছে। এর অর্থ তিনি প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করেছিলেন।


আরও পড়ুন: ডাকলেন না সত্যজিত্, ফিরে তাকাননি মৃণাল - এক রাশ ক্ষোভ কিংবদন্তি সাবিত্রীর


এ নিয়ে ওই পাক গায়কের জবাব চেয়েছে ইডি। তাঁকে ৪৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, সঠিক সময় জবাব না এলে কিংবা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে ওই পাক গায়কের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ইডি সূত্রে খবর, দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে ৩০০ শতাংশ জরিমানা হতে পারে। জরিমানা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হতে পারে। ফলে তিনি ভারতে আর কোনও অনুষ্ঠান করতে পারবেন না।