রণিতা গোস্বামী : করোনা কালে এবার পুজোর আবহ একেবারেই নেই বললেই চলে। তবে অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের কাছে পুজোটা কিন্তু অন্যরকম। কারণটা, তাঁর বাড়ির সামনেই ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো। তাই পুজোটা তাঁর কাছে বরাবরই আলাদা রকম মজা। এবার পুজোর কেনাকাটা থেকে টুকিটাকি নানান বিষয় Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজোর কেনাকাটা কতদূর?


দেবলীনা : এবারে পুজোর শপিং এখনও শুরুই হয়নি। তবে কিনতে তো যাবই। আসলে পুজোর আগে এত কাজ থাকে, যে সবসময় নিজে বেরনো হয় না। সেক্ষেত্রে মাও গিয়ে কিনে আনতে পারে। সেটা এখনও ঠিক নেই। তবে অনলাইন নয়, নিজে দোকানে গিয়ে কেনাটাই আমার পছন্দের।


পুজোর কার কার জন্য কেনাকাটা করবে?


দেবলীনা : বাড়িতে আমি সবার ছোট, তাই আমাকে কারোর জন্য কিনতে হয় না, সবাই আমাকেই দেয়। বাবা-মাকে দিতে গেলেও ওনারা নেননা। উল্টে আমাকেই কিনে দেন। আমার দেওয়া বলতে, গৌরবের (অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়) জন্য পাঞ্জাবি কিনব। সেক্ষেত্রে একটা নয়, অনেকগুলো সেটই কিনব।



পুজো ইন্ডিয়ান নাকি ওয়েস্টার্ন কী পরতে পছন্দ?


দেবলীনা : ইন্ডিয়ান পুরোপুরি (হাসি)। পুজোতে শাড়ি ছাড়া আর কিছুই ভালো লাগে না। পুজোর সবকটা দিনই আমি শাড়িই পরি। এবার যদি অনেক রাতের কথা বলো, সেক্ষেত্রে হয়ত কুর্তি পরতে পারি, নাহলে বাকি সময় শাড়ি।


গয়না আর মেকআপ?


দেবলীনা : আমি পুজোতে সোনার গয়নাই পরি। পাড়ার মণ্ডপে বসে থাকলে ভারী গয়না, বাইরে বের হল হালকা। সারাবছর শ্যুটিং থাকলে মেকআপ করতে হয়, তাছাড়া বাকি সময় মেকআপ আমার পছন্দ নয়। পুজোতেও নয়। একেবারে ছিমছাপ সাজই পছন্দ।



মাস্ক পরবে?


দেবলীনা : ওটা তো পরতেই হবে। সেক্ষেত্রে এখন ব্লাউজের সঙ্গে ম্যাচিং করে মাস্ক বানিয়ে নেব। সেটা ব্লাউজের কাপড় থেকেই বানিয়ে নিতে পারি। ওটাই স্টাইল। (হাসি)


পুজোতে কোথাও বেরনোর পরিকল্পনা?


দেবলীনা : না, পুজোতে কোথাও না। ত্রিধারার পুজোটা তো আমার বাবারই পুজো (প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমারের মেয়ে দেবলীনা)। তাই বাড়ি থেকে বের হয়ে আড্ডা মারা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। আমার ছোট পরিবার। পাড়ার লোকজনই আমার আত্মীয়-স্বজন। ওদের সঙ্গেই পুজোটা কাটে। আর হয়ত বাইরে খেতে যেতে পারি, আর কোথাও না।