রণিতা গোস্বামী : করোনা আবহে এবার পুজো নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেই কেমন যেন উৎসাহ হারিয়েছেন। তবে অভিনেত্রী মানালি দে-র কাছে এবার পুজোটা অন্যরকম। কারণটা, এতদিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। তাও বলি, মানালি দে এবার 'নতুন বউ'। পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সদ্য বিয়েটা সেরেছেন মানালি। এবার পুজোর কেনাকাটা থেকে টুকিটাকি নানান বিষয় Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে শেয়ার করলেন মানালি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মানালি : আমার অনেক আগে থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। (হাসতে হাসতে) যেহেতু আমি সবে মাত্র বিয়ে করেছি। প্রকৃত অর্থে পুজোর শপিং অবশ্য এখনও হয়নি, তবে সেটাও করা হবে খুব শীঘ্রই। কেনাকাটা তো দুই বাড়ির জন্যই হবে। (হাসি)। যতই মহামারী হোক, বাঙালিদের কাছে দুর্গাপুজো একটা অন্য অনুভূতি। পুজোয় না বের হলেও, নতুন জামা-কাপড় পরে বাড়িতেও মানুষ বসে থাকে। আমার ক্ষেত্রেও সেইরকমই হয়ত কিছু একটা হবে। আবার যদি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়, স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়, তাহলে তো খুবই ভালো।


পুজোয় কার কার জন্য কেনাকাটা করবে?


মানালি : দুই বাড়ির জন্যই কিনব। আমার নতুন বাড়িতে বাবা-মা (শশুর-শাশুরি) অভি (অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়), অভির দাদা, আর আমার বাড়ির সকলের, বাবাদাদুর, প্রত্যেকে জন্যই কিছু না কিছু কিনব। কী কিনব এখনও ঠিক করিনি। যেহেতু বিয়ের জন্য অনেকই কিছু কেনা হয়েছে, তাই এখনও ভাবিনি। যে যা পরেন, তাই কিনব, কিংবা যাঁর যেটা প্রয়োজন সেটা কিনে দেব। আর হ্যাঁ, কেনাকাটার বিষয়ে কিন্তু আমি আর অভি পৃথক। দুজনেই আলাদা আলাদা করে কিনব। (হাসি)



অনলাইনে কেনাকাটা করো?


মানালি : হ্যাঁ, আমি অনুলাইনে প্রচুর কেনাকাটা করি। দেখে কেনাকাটা অবশ্যই অন্যরকম আনন্দ। তবে সব সময় তো গিয়ে কেনা হয়না। তাই অনলাইনই ভরসা। আর আমার বন্ধুদের বুটিক আছে, সেখান থেকেও প্রচুর কিনি।


পুজো ইন্ডিয়ান নাকি ওয়েস্টার্ন কী পরতে পছন্দ?


মানালি : পুজোতে শাড়িটাই পছন্দ। তবে সবসময় তো শাড়ি পরা যায় না। সেক্ষেত্রে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন কিছু পরতে পারি। তবে পুজোতে ইন্দো বিষয়টা থাকতেই হবে। যেমন অষ্টমীতে তো শাড়িই পরব, দশমীতেও, বাকিদিন গুলো এখনও ঠিক করিনি, দেখা যাক...।


গয়না আর মেকআপ?


মানালি : শাড়ির সঙ্গে মানানসই কিছু পরব। সোনার গয়না খুব একটা পছন্দ করি না, তবে পরি। যদি কোনওকিছুর সঙ্গে সোনার গয়না ভালো লাগে সেটা পরব। আবার কোনওকিছুর সঙ্গে যদি জাঙ্ক জুয়েলারি ভালো লাগে তখন সেটা পরব। আলাদা করে কিছু ঠিক করিনি। কাজের বাইরে মেকআপ করতে আমার একেবারই ভালো লাগে না। সারাবছর এত্ত সাজতে হয়, যে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান, পুজোতে সাধারণ, মেকআপ ছাড়া থাকাটাই আমার পছন্দের। তাই সাজগোজ নিয়ে আলাদা করে কিছুই ঠিক করি না।



বিয়ের পর প্রথম পুজো, তার উপর তুমি সদ্য় বিবাহিতা, পুজোটা কীভাবে কাটাবে?


মানালি : দুই পরিবারকে সময় দিয়ে, কাছের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরেই পুজো কাটানোর ইচ্ছা। এবার যদি শো, অনুষ্ঠান কিছু তাকে তাহলে হয়ত বের হতে হবে। নাহলে পুরো সময়টাই দুই বাড়ি মিলিয়ে মিশিয়ে কাটবে। আমার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ির মধ্যে দূরত্ব বেশি নয়, ১০ মিনিট। একটা পিকনিক গার্ডেন, আর একটা ল্যান্সডাউন। পুজোতে কোথাও বের হওয়ার পরিকল্পনা নেই, ঠাকুর দেখতে আমি এমনিতেও যাই না। আর এবার তো একেবারেই নয়।


পুজোয় খাওয়া-দাওয়াটা একটা বিষয়, কোনও রেস্তোরাঁয় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? 


মানালি : একদমই নয়। আর এবার সেটা ঠিকও নয়। বাড়িতেই রান্না হবে, সেখানেই খাওয়াদাওয়া করে আড্ডা দেব।


'নতুন বউ' মানালি কি এবার সিঁদুর খেলায় অংশ নেবে? 


মানালি : (হাসি) হ্যাঁ, আমার পুরনো পাড়ায় যাব। ওখানে ও কোয়ার্টার, খুব ভালো পুজো হয়, সিঁদুর খেলা হয়। ওখানেই যাব। তবে কী পরে সিঁদুর খেলব, সেটা এখনও জানি না।