পশ্চিমি পোশাকেই বেশি স্বচ্ছন্দ `রানি মা`, অনলাইনেই জিন্স, ডাংরি কিনেছেন দিতিপ্রিয়া
দিতিপ্রিয়া জানালেন, এবারের পুজোর শপিং কীভাবে `ম্যানেজ` করতে হচ্ছে তাঁকে।
জয়ীতা বসু : হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরই শুরু হবে বাঙালির প্রাণের পুজো। সারা বছরের ক্লান্তি কাটিয়ে পুজোর ৫টা দিন যেন কাছের মানুষদের সঙ্গে প্রাণখোলা হাসি, আনন্দে মেতে ওঠার দিন। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও তাই আশ্বিনের শারদপ্রাতে শুনে বাঙালির পুজোর দিন গোনার পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে অন্য বছরগুলোর মতো নয় এবারের পুজো। করোনা যেন 'ভিলেন' হয়ে অনেকটা উঁচু দেওয়াল তুলে দিয়েছে বাঙালির সঙ্গে তাঁর প্রাণের উতসবের। তা সত্ত্বেও পুজো বলে কথা। অন্যবারের মতো ছুটে ছুটে কেনাকাটা, বাইরে দেদার খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা বেশ কিছুটা বাদ দিতে হয়েছে আপামর বাঙালিকে। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো তারকারাও বেশ খানিকটা ইতস্ততবোধই করছেন বাইরে বেরিয়ে কেটাকাটা করতে। তেমনই একজন হলেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়।
জি ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিতিপ্রিয়া জানালেন, এবারের পুজোর শপিং কীভাবে 'ম্যানেজ' করতে হচ্ছে তাঁকে। প্রত্যেকবার শ্যুটিংয়ের ফাঁকে বাইরে বেরিয়ে যেভাবে কেনাকাটা করতেন, এবার তা হচ্ছে না। করোনার জেরে যেমন নিয়মকানুন মেনে শ্যুটিং করতে হচ্ছে, তেমনি পুজোর কেটাকাটাতেও দিতি বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন নিজেই। অর্থাত দিতিপ্রিয়া জানান, এবার অনলাইনের মাধ্যমেই পুজোর শপিং প্রায় সেরে ফেলেছেন তিনি। জামা কাপড় থেকে শুরু করে জুতো, প্রায় সবটাই অনলাইনে চোখ রেখে কিনে ফেলেছেন।
অন্যবারের মতো পুজোর পাঁচটা দিনে হই হুল্লোড় সেভাবে না করতে পারলেও, নিজের পাড়ার পুজোতেই সব সময় থাকবেন দিতিপ্রিয়া। সেখানেই খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে আড্ডা সব চলবে। পুজোর পাঁচটা দিনের জন্য পোশাকও কিনে ফেলেছেন পছন্দ করে। যার মধ্যে ডাংরি, পালাজো, জিন্স রয়েছে। পশ্চিমি পোশাকেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন দিতি। তাই তো পুজোর সময়ও তাঁকে পশ্চিমি পোশাকেই বেশি দেখা যাবে বলে জানান পর্দার রানিমা। তবে অষ্টমী বা দশমীতে শাড়ি পরার ইচ্ছে হলে, মায়ের শাড়িতেই সাজবেন। মায়ের যেসব শাড়ি রয়েছে, তা থেকেই পছন্দ করে পরবেন বলে জানান দিতি। তবে পুজোর সময় পরার জন্য ডিজাইনার মাস্ক এখনও কেনা হয়নি বলে জানান অভিনেত্রী।
দিতিপ্রিয়া বলেন, খুব একটা ফ্যাশন সচেতন তিনি কোনওকালেই নন। তাই যে পোশাক পরে তিনি স্বচ্ছেন্দবধ করেন, সেটাই পরেন। তাই পুজোর ৫দিন প্রত্যেকটি পোশাকের জন্য আলাদা আলাদা করে মাস্ক কেনার কথা ভাবেননি তিনি। এসবের পাশাপাশি দিতিপ্রিয়া আরও জানান, 'রানী রাসমণীর 'টিম মেম্বারদের' জন্যও তিনি শপিং করেছেন। তবে সেটা অনলাইনের মাধ্যমে নয়। তাই সহকর্মীদের জন্য যা যা কিনেছেন, তা বাইরে বেরিয়ে দোকান, শপিং মল ঘুরেই বাজার করেছেন। তবে তারজন্য বেশি সময় ব্যায় করেননি তিনি। একদিন বেরিয়েই 'টিম মেম্বারদের' জন্য সমস্ত বাজার করে ফেলেছেন বলেও জানান দিতিপ্রিয়া।
পুজোর সময় যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, নিয়ম মেনে সবাই আনন্দ করেন এবং সুস্থ থাকেন, সেই আবেদনই দর্শকদের কাছে জানান দিতিপ্রিয়া রায়।