জয়ীতা বসু : ​পুজো আসতে আর কয়েকটা মাত্র দিন বাকি রয়েছে। ফলে করোনা আবহে পুজোর আড়ম্বরে কিছুটা ভাটা পড়লেও, বাঙালিকে কিন্তু দমিয়ে রাখতে পারেনি কোভিড আতঙ্ক। ফলে মুখে মাস্ক এঁটে, হাতে গ্লাভস পরেই পুজোর শপিং শুরু করে দিয়েছে আপামর বাঙালি। কেউ কেউ আবার করোনা আতঙ্কের জেরে অনলাইনে শপিং শুরু করেছেন। আর পাঁচজন সাধারণে মতো আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই পুজোর শপিং শুরু করেছেন সেলেবরাও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজো শপিং নিয়ে এবার আমরা কথা বলেছিলাম টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, জি বাংলার 'যুমনা ঢাকি'-র যমুনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল জি ২৪ ঘণ্টার তরফে। পুজোর শপিং নিয়ে বলতে গিয়ে শ্বেতা জানান, তিনি পুজোর প্রায় সব কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন। গাউন থেকে শুরু করে পালাজো কিংবা কুর্তি, অনলাইনেই সব কিনে ফেলেছেন তিনি। অষ্টমী, দশমীর জন্য বেছে রেখেছেন মনের মতো শাড়িও।


অন্যবার পুজোর কটাদিন পরিবার ও কাছের মানুষদের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে মজা করেন শ্বেতা কিন্তু এবার তাতে বাধ সেধেছে কোভিড আতঙ্ক। শ্বেতা জানান, এবার নাকি তাঁর মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মেয়েকে তিনি কোথাও বের হতে দেবেন না। সারা রাত জেগে পুজোর দিনগুলিতে যেভাবে প্যান্ডেল হপিং করতেন শ্বেতা, এবার আর তা হবে না। অগত্যা পাড়ার পুজোতেই সময় কাটাতে হবে এবার অভিনেত্রীকে। কোভিডের জেরে শ্বেতা তাই এবার পাড়ার পুজোতেই সময় কাটাবেন বলে জানান। অন্যবারের মতো সারা রাত জেগে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত এবার ঠাকুর দেখা হবে না বলে জানান শ্বেতা।


এসবের পাশাপাশি পোশাকের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ডিজাইনার মাস্ক তাঁকে কিনতে হবে বলে জানান শ্বেতা। পুজোর কেনাকাটার শেষদিকে মাস্ক বেছে নেবেন। করোনা যেভাবে তার এলাকা বৃদ্ধি করছে, তাতে পুরো সুরক্ষা নিয়ে তবেই পুজের মজা করতে হবে। মায়ের নির্দেশ মতো তাই এবার পাড়ার পুজোর মণ্ডপে আড্ডা দিয়েই উতসব কাটানোর পরিকল্পনা করছেন পর্দার যমুনা।