রণিতা গোস্বামী : পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুদিন প্রেম করার পর সদ্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি রয়েছেন তিনি হলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। কে এই মিথিলা? উনি কী করেন? তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কেমন কাটছে? সব মিলিয়েই লোকজনের কৌতুহলের শেষ নেই। যদিও মিথিলার পরিচয় এক্কেবারেই শুধু সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী হিসাবে নয়। মিথিলা বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী। পাশাপাশি, NGO BRAC ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ড ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রধান হিসাবে কাজ করছেন। খুব শীঘ্রই রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনীত ওয়েবসিরিজ 'একাত্তর' SVF-এর ওয়েব ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ মুক্তি পাচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'একাত্তর' মুক্তি পাওয়ার আগে কাজ ও ব্যক্তিগত নানান বিষয় নিয়ে Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বললেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। অভিনেত্রীর সঙ্গে যেদিন কথা হল সেদিন গোটা দেশ দোল/ হলি সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছে। তবে মিথিলা তখন রয়েছেন তাঁর ঢাকার বাড়িতে।


আজ, (সোমবার) তো এখানে দোল। সকলে তাই রং খেলতে ব্যস্ত। তোমার জন্যও দোলের শুভেচ্ছা রইল... 


মিথিলা-  হ্যাঁ, তাই তো! ওখানে তো দোল, শুভেচ্ছা রইল। তবে আমরা অবশ্য আগেই দোল খেলে ফেলেছি। কলকাতার রিসেপশনের একদিন আগে। (হাসি)



ছবি সৌজন্য- সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ইনস্টাগ্রাম


'একাত্তর' কি তোমার প্রথম ওয়েব সিরিজ? 


মিথিলা- প্রথম ওয়েব সিরিজ নয়। এই নিয়ে আমি ৩ নম্বর ওয়েব সিরিজে কাজ করলাম। তবে ভারতীয় প্লাটফর্মে প্রথমবার কিছু মুক্তি পাচ্ছে।


'একাত্তর' ওয়েবসিরিজে তুমি নাকি একজন পাকিস্তানি সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করছো? 


মিথিলা-  আমার চরিত্রটা পাকিস্তানি সাংবাদিক 'রুহি'র। এটা Negative চরিত্র ঠিক নয়। রুহি একজন সাংবাদিক, ও মানবতাবাদী। দুই দেশের যুদ্ধ হচ্ছে ঠিকই। তবে ও প্রকৃত সত্য ঘটনাকেই পাকিস্তানের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চায়। আবার, ওর স্বামী পাকিস্তানের মেজর জেনারেল ওয়াশিম। তাই ওর মধ্যে একটা মানসিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।



ছবি সৌজন্য: মিথিলার ফেসবুক


'একাত্তর' তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) -এর মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজার লেখা বই 'A Stranger in my own country' থেকে নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। 


মিথিলা- না, পুরোটা নয়। ওই বইটা অনুসরণ করে চিত্রনাট্য লেখা। এটা Fiction। তাই গল্পের সবটা সত্যি ভাবলে অবশ্য ভুল হবে। বাস্তবের সঙ্গে কিছু কাল্পনিকের মিশেলে 'একাত্তর'-এর চিত্রনাট্য লেখা। তবে এর মূল প্রেক্ষাপট ৭১-এর অপারেশন ব্লিজ। পরিচালনা করেছেন তানিম নূর। এটা আরও একটা ভালো বিষয় হল ২৬ মার্চ আমার দেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনই মুক্তি পাচ্ছে।


বিষয়বস্তু একাত্তর, এটা তোমার দেশের মানুষের কাছে একটা Sensitive বিষয়। আর তোমার চরিত্রটা একজন পাক সাংবাদিকের। দর্শকদের মনে তোমার প্রতি যে ভালোবাসা রয়েছে। তাতে কোনও প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে হয়?


মিথিলা- একটা ওয়েবসিরিজে সবরকম চরিত্র তো থাকবেই। আর কাউকে না কাউকে সেটা করতেও হবে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই চরিত্রটা তুলে ধরতে হয়। আর আমার চরিত্রটা ঠিক Negative নয়। তাই সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। 


তুমি তো বাংলাদেশের বহু টেলিফিল্মে অভিনয় করেছো, করছোও। এদেশের কোনও ছবিতে কাজ করতে চাইবে?


মিথিলা- এদেশ, ওদেশ বলে বিষয় নয়। এই রকমকিছুতে অভিনয়ের প্রস্তাব এলে, আর আমার পক্ষে সেটা করা সম্ভব হলে করবো। তবে আমি যে প্রচুর কাজ করি তেমনটা নয়। যেহেতু আমি একটা চাকরি করি, তাই কাজের ফাঁকে যতটা সম্ভব ততটাই।


সৃজিত মুখোপাধ্যায় একজন নাম করা পরিচালক, ওনার ছবিতে কাজ করতে চাইবে না?


মিথিলা- এখনই কিছু বলতে পারছি না,  ভবিষ্যতে দেখা যাক...। (হাসি)


তুমি তো এই মুহূর্তে BRAC ইন্টারন্য়াশনালের হয়ে কাজ করছো। তোমায় কি তবে কাজের জন্য ঢাকা-তে থাকতেই হবে?


মিথিলা- হ্যাঁ, ওই কাজটা আমি চালিয়ে যেতে চাই। ব্রাক-এর অফিস ঢাকাতে হলেও এটা একটা ইন্টারন্যাশনাল NGO। ব্রাক এই মুহূর্তে পৃথিবীর ১১টি দেশে কাজ করছে। তানজানিয়া, সুদান সহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্রাক কাজ করে, আবার বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কাজ করে। আমি আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামের প্রধান হিসাবে কাজ করি। কাজের জন্য দেশের বাইরেও যেতে হয়। তবে আমি বাংলাদেশে থাকি কি কলকাতায়, সেটা নিয়ে সমস্যা হবে না।  


'একাত্তর' এ তোমায় দেখার জন্য ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের দর্শকই অপেক্ষা রয়েছে। শুভেচ্ছা রইল। 


সাক্ষাৎকারের পরবর্তী পর্ব আগামিকাল...


আরও পড়ুন-সৃজিতের সঙ্গে থাকতে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেবেন? মিথিলা বললেন...