রণিতা গোস্বামী:  ঘটা করে হয়েছে বাগদান অনুষ্ঠান। ৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে। হাতে আর বেশি সময় নেই। নীল ও তৃণা দুজনের বাড়িতেই চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। কেমন কী প্রস্তুতি চলছে তৃণার বাড়িতে? বিয়ে ও রিসেপশনে কী পরবেন, মেনুতেই বা কী কী থাকছে? এই সমস্ত নানা টুকিটাকি বিষয় নিয়ে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে কথা বললেন 'খড়কুটো'র গুনগুন, অর্থাৎ তৃণা সাহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিয়ের প্রস্তুতি কতদূর? 


তৃণা : প্রস্তুতি চলছে। শুটিংয়ের ফাঁকেই সময় বের করে কী পরব, কী করব এইসব ঠিক করতে হচ্ছে। বাকি বাড়ির লোকজনই সবকিছু সামলাচ্ছেন।


বিয়ে আর রিসেপশনের সাজগোজ কেমন হবে?


তৃণা : বিয়েতে থাকছে পুরোপুরি বাঙালিয়ানা। সাজগোজ, খাওয়াদাওয়া সবেতেই। বিয়েতে আমি লাল বেনারসি পরব, আর নীল পরবে ধুতি-পাঞ্জাবি। যেগুলির মধ্যে গড়িয়াহাটের একটি নামী দোকান থেকে কাস্টমাইজ করে বেনারসী বানিয়েছি। আর বাকি ওড়না, ব্লাউজ এবং অন্যান্য কিছু ডিজাইন করবেন অভিষেক রায়। 


রিসেপশন?


তৃণা : রিসেপশন হবে মুঘল স্টাইলে। আমি লেহেঙ্গা পরব, আর নীল পরবে শেরওয়ানি। আমার লেহেঙ্গা ভেলভেট কিংবা ওয়াইন রঙের হবে, নীলের ক্ষেত্রেও তাই। স্টাইলিং করবেন সন্দীপ জয়সওয়াল। আমার খুব চড়া মেকআপ পছন্দ নয়। ওই যে কালো করে চোখ করা আমার ভালো লাগে না। একবারে হালকা ব্রাইট লাগবে এমন মেকআপ করব।  



বিয়েতে খাওয়ার মেনু কী? বলা যাবে?


তৃণা : বিয়েরটা আমি বলতে পারি। সেটাতে কিন্তু একেবারেই বাঙালিয়ানা থাকবে। যেমন তোপসে ফ্রাই, চিকেন। কড়াইশুঁটির কচুরি, ছোলার ডাল, চিংড়িমাছের মালাইকারি, গোলবাড়ির কষা মাংস, পাটি সাপটা।


বাগদান তো হয়ে গিয়েছে, মেহেন্দি, সঙ্গীত কবে? 


তৃণা : ওই তো ৩ (3rd February) তারিখ মেহেন্দি ও সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হবে। তবে ছোট করেই। ওইদিন কী পরব এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। ডিজাইনাররা বিভিন্ন কিছু পাঠাচ্ছেন কিন্তু কাজের চাপে দেখেই উঠতে পারছি না। সঙ্গীতে গায়ক অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা লাইভ অনুষ্ঠান থাকছে। তবে দুপুর ৩ থেকে শুরু করে রাত ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করে দেব। কারণ পরদিনই তো বিয়ে। বিয়ের দিন ভোর থেকেই বিভিন্ন কিছু থাকে জানোই তো। (হাসি) ৪ তারিখ বিয়ে (4th February)। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি রিসেপশন। নীলের খুব ইচ্ছা ছিল ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন বিয়ে হোক, তবে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। আর ১৪ তারিখ যেহেতু রবিবার পরছে ওইদিন ইন্ডাস্ট্রির সকলে থাকতে পারবেন, সেকথা ভেবেই ওইদিন রিসেপশন করা হচ্ছে। 


ইন্ডাস্ট্রির কারা আমন্ত্রিত?


তৃণা : 'খড়কুটো' ধারাবাহিকের সবাই থাকছেন। শৈবাল দা (শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়), লীনা দি (পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়) তো থাকছেনই।  ব্লুজ প্রোডাকশন, ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের অনেকেই থাকবেন। এছাড়া সৃজিত দা (সৃজিত মুখোপাধ্যায়), ঋতুদি (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত), রুদ্রদা (রুদ্রনীল ঘোষ), পরম (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়), অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা সহ আরও অনেকেই থাকবে। 


শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক কেমন?


 তৃণা : নীলকে আমি ১১ বছর ধরে চিনি। ওর বাবা-মাকেও তাই। বাকিদেরও চিনি। নীলের বাবা-মা আমায় ভীষণ ভালোবাসেন। আর সবথেকে বড় কথা ওঁদের সঙ্গে আমার খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। 



শুটিংয়ের চাপ তো নিশ্চয় রয়েছে, বিয়ের জন্য ছুটি কীভাবে ম্যানেজ করেছ?


তৃণা : ৩ থেকে ৬। ৩ ফেব্রুয়ারি মেহেন্দি-সঙ্গীত, ৪ তারিখ বিয়ে, ৫ তারিখ বিদায় অনুষ্ঠান, আর ৬ তারিখ বৌভাত। বৌভাত ঘরোয়াভাবেই হবে। ৭ তারিখ আমি আর নীল দুজনেই আবার কাজে যোগ দেব। এরপর আবার অষ্টমঙ্গলার দিন ছুটি নেব একটা। 


মধুচন্দ্রিমা?


তৃণা : এখন আর ছুটি পাব না। ৩-৪ মাস পর গ্রীস কিংবা দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 


রিল লাইফে সদ্য় বিয়ে করেছ। আর রিয়েল লাইফেও বিয়ে করছ, এটা কি ভেবেচিন্তেই?


তৃণা : (হাসি) না, না সিরিয়ালে কী হবে, সেটা তো আমি ঠিক করি না। পুরোটাই কাকতালীয়। ঘটনাচক্রে 'খরকুটো'তে আমার ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছে। আর বাস্তবে ৪ ফেব্রুয়ারি। দুটোতেই সেই ৪।


নীল ও তৃণার নতুন জীবনের জন্য Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে রইল অনেক শুভেচ্ছা।