Rahool Mukherjee Row:: রাহুলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ টেকনিশিয়ান গিল্ডের! আলোচনায় বসতে রাজি ফেডারেশন...
Federation-Director`s Guild Conflict: টেকনিশিয়ানদের আচমকা কর্মবিরতিতে থমকে গেছে টালিগঞ্জ। সকাল সকাল সেটে পৌঁছেও শ্যুট করতে পারলেন না প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। টেকনিশিয়ানদের দাবি, রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালনা করলে তাঁরা কাজ করবেন না। যেখানে ডিরেক্টরস গিল্ড রাহুলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, সেখানে কীসের আপত্তি টেকনিশিয়ানদের এবং ফেডারেশনের। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের আপত্তির কথা জানালেন ফেডারেশনের সভাপতি।
বিক্রম দাস: ডিরেক্টরস গিল্ডের তরফ থেকে যখন পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে, তাহলে কী কারণে রাহুলের ছবির প্রথমদিনের শ্যুটিংয়ে, শনিবার সকালে কর্মবিরতিতে চলে গেলেন টেকনিশিয়ানরা? সেই প্রশ্নেই সরগরম টেকনিশিয়ান স্টুডিয়ো। সকাল থেকে এই উত্তর খুঁজে চলেছেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়, দেব, অনির্বাণ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে রাজ চক্রবর্তী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সহ ডিরেক্টরস গিল্ডের বিশিষ্ট পরিচালকরা। অবশেষে উত্তর মিলল শনিবার বিকেলে।
২৬টি গিল্ড নিয়ে তৈরি ফেডারেশেন। শনিবার বিকেলে বেশিরভাগ গিল্ডের প্রধানরাই হাজির হন সাংবাদিক বৈঠকে। তাঁদের অভিযোগ,'গুপী' শ্যুট অর্থাত্ ফেডারেশনকে লুকিয়ে, নিয়ম না মেনে শ্যুটিং করেছেন রাহুল মুখোপাধ্যায়। সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে নারাজ টেকনিশিয়ানরা। তাঁরা জানিয়ে দেন যে রাহুলের জায়গায় সৌমিক হালদার হলে, তাঁরা শ্যুটিং করতে রাজি। তবে রাহুলের সঙ্গে কাজ করবেন না তাঁরা।
কেন রাহুলের উপর রেগে গেলেন টেকনিশিয়ানরা? টেকনিশিয়ান গিল্ডের দাবি, 'চরকির জন্য তিনদিন রাহুল শ্যুট করেছেন। সেখানে যথাক্রমে ১৯, ২০, ২১ ঘণ্টা শ্যুট হয়েছে। ছবির শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা না থাকলেও ওয়েব সিরিজ ১৪ ঘণ্টার বেশি শ্যুট করা হয় না। এই কারণে সাম্প্রতিক কালে রাজ চক্রবর্তীর আবার প্রলয়ের শ্যুট বন্ধ করে দিয়েছিলেন টেকনিশিয়ানরা। যেখানে টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ও বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ১৪ ঘণ্টার বেশি শ্যুট করেননি, সেখানে রাহুল মুখোপাধ্যায় কোন সাহসে এত অতিরিক্ত সময় শ্যুট করেছেন? তাহলে এটা ওয়েব সিরিজ নাকি সিনেমা? ইম্পার নিয়ম অনুযায়ী বিদেশে শ্যুট করতে গেলে কমপক্ষে ১৯ জন টেকনিশিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়। সেই নিয়মও মানেননি রাহুল।'
এরপরেই ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ওঠে যে, তাহলে এসভিএফের ছবির ভবিষ্যত কী? সেখানে কয়েকটি ইমেলের প্রিন্ট আউট দেখিয়ে ফেডারেশন সভাপতি বলেন, 'প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের কাছে থেকে যে ইমেল এসেছে, সেখানে লেখা ছবির পরিচালক সৌমিক হালদার। সেই ইমেলের উত্তরে ফেডারেশন বলেছে যে ২৭ জুলাই থেকে শ্যুটিং শুরু করতে পারেন তাঁরা'। ডিরেক্টরস গিল্ড ছাড়পত্র দেওয়ার পরেও কেন পরিচালক হিসাবে রাহুলকে মানছে না ফেডারেশন? স্বরূপ বিশ্বাসের দাবি যে 'একটি সিদ্ধান্ত এজিএমে নেওয়া হয়েছে। সেখানে সবার সম্মতিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ছবি পরিচালনা করবেন সৌমিক হালদার ও ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার থাকবেন রাহুল। সেই সিদ্ধান্তের পরে যদি হঠাত্ ওঁরা সিদ্ধান্ত বদলায়, তাহলে আবার একটি এজিএম ডেকে সেই প্রস্তাব দিতে হবে। এটা তো একটা সংগঠন নাকি, রাস্তা তো নয়? সংগঠনের কোনও নীতি পরিবর্তন করতে হলে সেটা যেখান থেকে নির্ধারিত হয়েছে, সেখান থেকেই পরিবর্তন করতে হবে'। আজ শ্যুটিং বন্ধ হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ফেডারেশন সভাপতি বলেন, শ্যুটিং বন্ধের কোনও খবর আমাদের কাছে নেই।
তাহলে কি পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে ফেডারেশন? সভাপতি বলেন, 'ফেডারেশন মনে করে যে আলোচনা মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব। আজকে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে সৌমিক হালদারই পরিচালক, আগামীতে কী হবে না হবে জানি না।' শনিবার সকালে রাজ চক্রবর্তী দাবি করেন যে রাহুলকে না মেনে নিলে সোমবার থেকে পরিচালকরা কর্মবিরতিতে যাবেন। সেই প্রসঙ্গে স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, 'এই বিষয়ে এখনও অফিসিয়াল কোনও চিঠি পাইনি। তাই এই ব্য়াপারে মন্তব্য করতে পারব না। তবে আলোচনায় বসতে ফেডারেশন রাজি'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)