নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘মি টু’ নিয়ে যখন ঝড় উঠছে বলিউডে, সেই সময় হেনস্থার উত্তাপ থেকে বাদ যাচ্ছে না বি টাউনের একাধিক সেলিব্রিটির নাম। নানা পাঠেকর, অলোকনাথ, রজত কাপুর, বিকাশ বহেলের পর এবার উঠে এল সুভাষ ঘাই এবং সাজিদ খানের নাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন : মত্ত অবস্থায় বিমানের মধ্যে মূত্রত্যাগ অলোকনাথের, তারপরের ঘটনা লজ্জাজনক


সম্প্রতি এক মহিলা তাঁর একাউন্ট থেকে অভিযোগ করেন, পরিচালক সুভাষ ঘাই নাকি তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। মত্ত অবস্থায় হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে জোর করে চুমুও খেয়েছেন সুভাষ। শুধু তাই নয়, ওই রাতে হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে সুভাষ ঘাই ওই মহিলাকে হেনস্থাও করেন বলে অভিযোগ। তবে ওই মহিলা নিজের নাম প্রকাশ্যে আনেননি। মহিমা কুকরেজা নামে এক মহিলা নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সুভাষ ঘি-এর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে শেয়ার করেন।


আরও পড়ুন : বৈষ্ণদেবী দর্শনে সইফ-কন্যা সারা আলি খান, দেখুন ভিডিও


দেখুন কী অভিযোগ করা হয়েছে সুভাষ ঘাই-এর বিরুদ্ধে...


 




সুভাষ ঘাই-এর পাশাপাশি পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধেও উঠেছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। সালোনি চোপড়া নামে এক মহিলার সঙ্গে ২০১১ সালে সাজিদ খান খারাপ ব্যবহার করেন। এবং অদ্ভূত প্রশ্ন করতে শুরু করেন তাঁকে। সাজিদ খান সালোনি চোপড়াকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কি হস্তমৈথুন করো? সপ্তাহে কতবার হস্তমৈথুন করো?’ শুধু তাই নয়, ‘তুমি কি কখনও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছ?’ বলেও সালোনিকে প্রশ্ন করেন ফারহা খানের ভাই সাজিদ খান। পাশাপাশি সালোনি কি কখনও শরীরের বিশেষ করে বক্ষে ছুরি কাঁচি চালিয়েছেন কি না বলেও প্রশ্ন করেন সাজিদ খান। সবিকিছু মিলিয়ে একটি সিনেমায় সাজিদ খানের সঙ্গে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এভাবেই বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় সালোনি চোপড়াকে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর তোলপাড় শুরু হয়েছে বি টাউনে।


 



আরও পড়ুন : মত্ত অবস্থায় অলোকনাথ যেন অন্য মানুষ, মুখ খুললেন রেণুকা


এদিকে সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ‘সংস্কারি’ অভিনেতা অলোকনাথের বিরুদ্ধে সরব হন দীপিকা আমিন। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রির প্রত্যেকেই প্রায় জানেন যে, অলোকনাথ একজন বিরক্তিকর মানুষ। মত্ত অবস্থায় থাকলে তিনি যে কোনও মেয়েকে যৌন হেনস্থা করতে কখনও দু’বার ভাবেন না। কয়েক বছর আগে একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ের সময় অলোকনাথ জোর করে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। মত্ত অবস্থায় মহিলাদের সঙ্গে কুত্সিত ব্যবহার করেন তিনি। কিন্তু, অলোকনাথের ওই অবস্থা দেখে ইউনিটের লোকজন সেদিন তাঁকে রক্ষা করেন। এবং সুনিশ্চিত করেন তাঁর নিরাপত্তা।