Abhishek Chatterjee Death: কীভাবে সিনে দুনিয়ায় অভিষেক ঘটেছিল অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের, লিখলেন হরনাথ চক্রবর্তী
`সংঘর্ষ নামের আমার একটা ছবিতে অভিষেক, তাপস, প্রসেনজিৎ একসঙ্গে ছিল। অঞ্জন চৌধুরীর অনেক ছবিতে হিরো হিসাবে কাজ করেছে।`
হরনাথ চক্রবর্তী: অভিষেক চট্টোপাধ্যায়(Abhishek Chatterjee) অর্থাৎ মিঠুর আগে আমার পরিচয় ওর বাবার সঙ্গে। অভিষেকের বাবা ছিলেন প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়, অভিনয় করতেন। তিনিই একদিন মিঠুকে নিয়ে আসেন আমার কাছে। তিনি আমাকে বলেন, 'দেখো না যদি আমার ছেলেটাকে নিয়ে কিছু করা যায়।' তখন নিউ থিয়েটার স্টুডিওতে আমার একটা ছবির এডিট চলছিল। স্বপন গুহ এডিট করছিলেন। সেখানেই ছেলের কথা বলেন প্রশান্তদা।
প্রশান্তদা নিজেই বললেন যে,'তনুবাবুর(তরুণ মজুমদার) ওখানে নতুন ছেলে মেয়ে নিচ্ছে, তোমাদের তো ওঁর সঙ্গে পরিচয় আছে। তোমরা যদি একটু বলে দাও। একথা শুনেই স্বপন গুহ তনুদাকে বললেন অভিষেকের কথা। সেই মিঠু এলো। ছবির নাম ছিল পথভোলা। ১৯৮৬ সালের সেই ছবিতে সিনেমায় অভিষেক ঘটে অভিষেকের। ছবিতে অনেকগুলো ছেলে ছিল, মিঠু ছাড়াও ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল, শক্তি ঠাকুর সহ আরও অনেকে। ঐ ছবিতে ওর সঙ্গেই আমি নয়নার সুপারিশ করি। এরপর আস্তে আস্তে ও কাজ করে, ওঁর সঙ্গে আমি একাধিক কাজ করি। খুবই
ভালো অভিনেতা ছিল।
'সংঘর্ষ' নামের আমার একটা ছবিতে অভিষেক, তাপস, প্রসেনজিৎ একসঙ্গে ছিল। অঞ্জন চৌধুরীর অনেক ছবিতে হিরো হিসাবে কাজ করেছে। একসময় দক্ষিনেশ্বরে থাকত, ওখান থেকেই যাতায়াত করত। খুবই হাসিখুশি প্রাণখোলা ছিল। মাঝখানে যাত্রা শুরু করেছিল। ওকে অনেকদিন সামনাসামনি দেখিনি। কিন্তু পর্দায় দেখে ওর জন্য ভয় লাগত, অনেকটাই মোটা হয়ে গিয়েছিল। বয়স তো বেশি নয়, বাড়ির লোকের জন্য খারাপ লাগছে। একটা সময় ওর বাড়িতে, প্রসেনজিতের বাড়িতে আমরা কত আড্ডা দিয়েছি। আমি, প্রসেনজিৎ, পল্লবী, অভিষেক একসঙ্গে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। আজ সেগুলো মনে পড়েই মনখারাপ লাগছে।
আরও পড়ুন: Abhishek Chatterjee Passes Away: প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, শোকের ছায়া টলিউডে