নিজস্ব প্রতিবেদন- ‘হাসিন দিলরুবা’। তাপসী পান্নু, বিক্রান্ত মাসি ও হর্ষবর্ধন রানে অভিনীত ছবি ২ জুলাই মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। ছবির ট্রেলার এবং নেটফ্লিক্সের প্রোমোশন দেখে যা আন্দাজ করা গিয়েছিল, ‘হাসিন দিলরুবা’ সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল না। অভিনয়ে বিক্রান্ত মাসি যে পর্যায়ে নিজেকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন, তাপসী পান্নু সেই তুলনায় নিজের নামের প্রতি ততটা সুনাম ধরে রাখতে পারলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কনিকা ধিলোঁর লেখা চিত্রনাট্যে বেশ কয়েকটি ভালে দিক রয়েছে। জ্বালাপুরের মত একটা ছোট জায়গায় বিবাহসূত্রে গিয়ে পড়েন রানি (তাপসী)। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিন্দিতে স্নাতকোত্তর পাস করেন তাপসীর চরিত্রটি। তাই বিদেশি গোয়েন্দা কাহিনির তুলনায় দেশীয় লেখকের গোয়েন্দা কাহিনিতেই তাঁর আগ্রহ। দেখা-শোনা করে বিয়ের প্রথম সাক্ষাতেই তা ইঞ্জিনিয়ারিং পাত্র ঋষভকে (বিক্রান্ত মাসি) জানিয়ে দেন তাপসী। লেখকের এই ভাবনাটাই জনপ্রিয় বলিউড থেকে রিয়্যালিটি সিনেমায় পৌঁছে দেয় ।  কিন্তু ছবির ছত্রে ছত্রে সেই গোয়েন্দা গল্প থেকে উদ্ধৃতি দর্শকের অনাগ্রহ তৈরি করতে বাধ্য।



বাড়ির মতে দেখশোনা করে বিয়ে হয় রানি (তাপসী) আর ঋষভের (বিক্রান্ত)। সম্বন্ধের বিয়ে যে বেশ কিছু প্রাথমিক সমস্যাগুলোর মধ্যে দিয়ে যায়, রানি-ঋষভের দাম্পত্যও তার থেকে আলাদা কিছু নয়। স্বামী-স্ত্রীর শরীর আর মনের টানাপোড়েনের মধ্যেই এসে হাজির হন গল্পের তৃতীয় কোণ ঋষভের মাসতুতো ভাই নীল। নীলকে দেখেই স্বামী ঋষভের থেকে মন উঠে যায় রানির। প্রেমে পড়ে নীলের, তৈরি হয় শারীরিক সম্পর্ক। এরপর কোথা থেকে যে গোটা কাহিনিতে রহস্য এসে পড়ল, তা দেবা ন জানন্তি। চিত্রনাট্যের বড় খুঁত এখানেই। দিশাহীন চিত্রনাট্যে সবথেকে জটিল করে আঁকা হয়েছে ঋষভের চরিত্র, বিক্রান্ত মাসি তাতে অভিনয় পারদর্শিতা দিয়ে উচ্চতায় পৌঁছেছেন বটে, কিন্তু দর্শকের চোখে আরও অবাস্তব হতে থাকে গোটা কাহিনি, এমনকী তাঁর চরিত্রটিও।


‘কিছুটা ভাল, কিছুটা খারাপ’। ছবিতে বারবার ফিরে আসা এই সংলাপই পরিচালক বিনিল ম্যাথিউয়ের তৈরি ছবির ভাগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক আশা জাগিয়েও প্রত্যাশা পূরণ হল না।


আরও পড়ুন: 'তিয়াসা ফর্সা, ওকে কালো করা নিয়ে সমস্যা নেই, আর আমি কালো বলেই নোংরা আক্রমণের শিকার'