`পদ্মাবতী`র পর এবার গেরুয়া রোষে বাংলা সিনেমা ``রং বেরঙের কড়ি``
`পদ্মাবতী`র পর এবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির রোষের মুখে ``রং বেরঙের কড়ি``। সিনেমার `রাম ও সীতা` এই দুই চরিত্রের নাম না বদল করলে সিনেমাটি মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না। এই দাবি তুলে শুক্রবার কলকাতায় সিবিএফসি দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল `হিন্দু জাগরণ মঞ্চ`এর সদস্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'পদ্মাবতী'র পর এবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রোষের মুখে বাংলা সিনেমা ''রং বেরঙের কড়ি''। সিনেমায় 'রাম ও সীতা' এই দুই চরিত্রের নাম না-বদল করলে সিনেমাটি মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না। এই দাবি তুলে শুক্রবার কলকাতায় সিবিএফসি দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল 'হিন্দু জাগরণ মঞ্চ'-এর সদস্যরা।
''রং বেরঙের কড়ি'' সিনেমাটিতে দুই আদিবাসী চরিত্রের নাম 'রাম' ও 'সীতা'। যাদের প্রণয় সুখের হয়নি। সিনেমায় বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে চরিত্রগুলির। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের অভিযোগ, তাঁরা 'রাম' ও 'সীতা'-কে হিন্দুদের আরাধ্য। তাঁদের দাম্পত্য হিন্দুদের কাছে উদাহরণ স্বরূপ। ছবিতে চরিত্রদু'টি বিবাহবিচ্ছেদ দেখিয়ে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন পরিচালক।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বিবেক সিং-এর হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে সিনেমাটির দুই চরিত্রের নাম বদল করতে হবে, নচেৎ সিনেমাটি মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না। সেন্সর বোর্ডের তরফে ''রং বেরঙের কড়ি''কে সার্টিফিকেট দেওয়া হলেও তাঁরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানান বিবেক সিং।
এদিকে সিনেমার পরিচালক রঞ্জন ঘোষের বক্তব্য অবশ্য, রামায়নের সঙ্গে সিনেমাটির কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করাও তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের ঘরে ঘরে রাম, লক্ষণ, সীতা, দুর্গা, কার্তিক এধরনের নাম রাখা হয়, সেভাবেই এখানে দু'টো চরিত্রের নামকরণ হয়েছে। পরিচালকের কথা তিনিও হিন্দু, তাই এই ধর্মীয় আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা তাঁরও রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এখানে হিন্দু ধর্মের উদারতাকে আঘাত করছেন, শিল্পকে আঘাত করছেন।
''রং বেরঙের কড়ি'' সিনেমাতে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, অরুণিমা সেন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।