Jeet: টানা ২৫ সপ্তাহ সিনেমাহলে চলেছিল `সাথী`,২০ বছরের পূর্তিতে অজানা গল্প শেয়ার হরনাথের, নস্টালজিক জিৎ
পরিচালক জানান,`এই ছবির অফার প্রথম যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ও বলে যে, `এটা আমার জঁরের ছবি নয়, আমি করব না, নতুন কাউকে দিয়ে করা।` বুম্বাদা না করায় আমাদের প্রজেক্টটা টালমাটাল হয়ে যায়। নতুন ছেলে খুঁজতে থাকি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেখতে দেখতে কুড়ি বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে দিলেন সুপারস্টার জিৎ। হরনাথ চক্রবর্তীর সাথী ছবিতে টলিউডে ডেবিউ করেছিলেন জিৎ। প্রথম ছবিতেই নজর কাড়েন সুপারস্টার। মঙ্গলবার সাথীর ২০ বছর পূর্তিতে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী ও অভিনেতা জিৎ। এদিন জিতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করলেন দুজনে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফ থেকে হরনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আজকের দিনে ছবিটা রিলিজ করেছিল। আমরা এই দিন লক করেই শুটিং করেছিলাম। ছবির একটা ব্যানারে ছিল ১৪ জুন অনুষ্ঠান, যেখানে প্রিয়াঙ্কাকে জিৎ দেখল। তাই ১৪ জুন রিলিজ করব এটা স্থির ছিল। তার দুদিন পরই জামাইষষ্ঠী ছিল। ছবিটায় যে গল্প ছিল সেটা আউটডোর করা মুশকিল। এনটিওয়ানের মাঠে সেট করা হয়েছিল। সেই সময়ে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। সে সময় লেখালিখি হয়েছিল যে তরুণ মজুমদার ও সত্যজিৎ রায়ের পর এত বড় সেট দেখা গেল। আমাদের সেট দেখতে লাইন দিয়ে লোক আসত। আমরা খুব ন্যাচারাল শুট করেছিলাম। গান তৈরি করেছিলেন সাউথের মিউজিশিয়ান ভেঙ্কটেশ। প্রতিবাদ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড করেছিলেন তিনি। তখনই এই ছবির গানের কথা বলেছিলাম। উনি বাংলা জানতেন না, আমাদের ডিওপি-ও ছিলেন দক্ষিণের, উনিই ভেঙ্কটেশকে বুঝিয়ে দিতেন আমার কথা। কথা লিখেছিল গৌতম সুস্মিত। মানু নামে একটি ছেলে গেয়েছিল সবকটা গান। সেই গান তো ইতিহাস হয়ে গেছে। সেও দক্ষিণের।
পরিচালক জানান,'এই ছবির অফার প্রথম যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ও বলে যে, 'এটা আমার জঁরের ছবি নয়, আমি করব না, নতুন কাউকে দিয়ে করা।' বুম্বাদা না করায় আমাদের প্রজেক্টটা টালমাটাল হয়ে যায়। নতুন ছেলে খুঁজতে থাকি। অনেকেই ছবি দেয়, সেখানে থেকে জিতের ছবি পাই, ডেকে পাঠালাম। তারপর লুক টেস্ট হল। ফাইনাল করলাম ওকে। প্রিয়াঙ্কা একটা ছবি করছিল ওকে পেলাম। তারপর আমাদের যাত্রা শুরু। অনেক ঝড় জলের মধ্যে পড়তে হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক অবাঙালি দর্শকও দেখতে আসে। প্রায় রোজই হাউজফুল চলে। ২৮টা হলে তিনটে করে শো ছিল। টানা ২৫ সপ্তাহ চলেছিল 'সাথী'। প্রতিবছরই এই দিনে জিৎ ফোন করে। আজও কথা হয়েছে। আমি ফোন করেছিলাম, পুরনো দিনের অনেক কথা হল। এতদিনের সুসম্পর্ক আমাদের, সেই নিয়েই নানা কথা হল।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় জিৎ লেখেন,'যদি তোমার বিশ্বাস থাকে তাহলে ম্যাজিক হবেই। আমি জীবনে বহুবার এটা অনুভব করেছি। সেরকমই ম্যাজিক হয়েছিল ২০০২ সালের ১৪ জুন। সারা জীবন যা আমার কাছে স্পেসাল হয়ে থাকবে, তা হল সাথী। সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা, যারা যারা এই আইকনিক ছবির অংশ ছিলেন। পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ। সর্বোপরি ধন্যবাদ দর্শককে। 'এ বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও', সত্যিই আপনারা শুনেছিলেন। তখন থেকে সবসময়ই আপনাদের পাসে পেয়েছি। এভাবেই ধীরে ধীরে আমার পরিবার দীর্ঘায়িত হয়েছে। আরো অনেক গল্প দিয়ে আপনাদের মনোরঞ্জন করার দায়িত্ব বেড়েছে আমার। এখনও সেটাই চলছে। আমাকে আজীবন ভালোবাসা ও সাপোর্ট আমাকে আরও উৎসাহিত করে।'
আরও পড়ুন: 20 Years of Saathi: বাংলা ছবিতে দেখা নেই জিতের 'সাথী'র নায়িকার, ২০ বছর পর কী করছেন প্রিয়াঙ্কা?