জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মীনা কুমারী বলিউডে 'ট্র্যাজেডি কুইন' নামে পরিচিত ছিলেন, আবার 'ফিমেল গুরু দত্ত' নামেও পরিচিত ছিলেন। একাধারে অভিনেত্রী, গায়িকা আবার কবিও। মাত্র আটত্রিশে অকালে ঝরে গিয়েছিলেন এই নক্ষত্র। মাত্র চার বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। তার পর একে একে অভিনয় করেছেন ৯০টি ছবিতে। হিন্দি ছবির 'ট্র্যাজেডি কুইন' মীনা কুমারী। আজ, ১ অগস্ট তাঁর ৮৯তম জন্মদিন। অভিনেত্রী মীনা কুমারীকে কে না চেনেন? কিন্তু কবি মীনা কুমারীকে? অনেকেই হয়তো রোম্যান্টিক এই নায়িকার কবিসত্তার কথা সেভাবে জানেন না। মীনা কুমারী আক্ষরিক অর্থেই ছিলেন কবিতা-নিমগ্ন এক নারী। প্রেমে-অপ্রেমে উঠে আসত তাঁর কবিতা। তবে শুধু প্রেম-বিরহই নয়, তাঁর কবিতায় এসেছে মরমি মৃত্যুভাবনাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একসময় গজল, কবিতা, নজমও লিখেছেন ব্যস্ত অভিনেত্রী মীনা কুমারী। যেমন সুন্দর লিখতেন, তেমনই ছিল তাঁর গানের গলাও। গজল ও নজম গাইতেন তিনি, আবৃত্তিও করতেন। কমল আরোহীর সঙ্গে তালাকের পর লিখেছিলেন, 'তালাক তো দে রহে হো নজরে কেহর কে সাথ/ জওয়ানি ভি মেরা লৌটা দো মেহর কে সাথ'। 'জমানা' নামে একটি কবিতায় মীনা কুমারী লিখেছিলেন-- 'লমহে উড়তে হ্যায় কভি ইয়া তো তিতলিয়োঁ কি তরহা/ইয়া কভি খুশবুয়োঁ কি মনিন্দ চিখ উঠতে হ্যাঁয়/সিমটতে-ফয়েলতে সাঞ্চে মেঁ ওয়াক্ত কে ঢল কর/আজীব সকল কে বন কর জমানা রাখতে হ্যায় নাম'। বাংলায় মোটামুটি দাঁড়াচ্ছে-- মুহূর্ত প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়ায়, অথবা উপলক্ষ্য ছাড়াই সৌরভের মতো মুখর হয়ে ওঠে, কখনও বড় অদ্ভুতুড়ে চেহারায় সামনে এসে হাজির হয় সে, এরই নাম সময়!   


একবার মীনা কুমারীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সারাদিন পরিশ্রমের পর লেখালেখির সময় কখন পান? মীনা কুমারী বলেছিলেন, 'লেখার জন্য খুব বেশি সময় লাগে না, লেখার ইচ্ছা থাকলে আপনিও লিখতে পারবেন।'



আরও পড়ুন: Kajol: ‘আমার জীবন থেকে বিদায় নাও’, কার উদ্দেশ্যে বললেন কাজল?