নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘বাবিল, আমাকে ছেড়ে যেও না। বাবার এই চিৎকার এখনও কানে ভাসে।’ অভিনেতা ইরফান খানের (Irrfan Khan) প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সেদিনের ঘটনার বিবরণী দিলেন বাবিল, অভিনেতার বড় ছেলে। বাবিল বলছিলেন, ‘হাসপাতালের বেডে বাবা। ক্যাথিটার পরানো হবে বাবাকে। আমাকে কেবিন থেকে বেরিয়ে যেতে বলছিলেন হাসপাতালের স্টাফরা। আমার মন মানছিল না। স্টাফরা আমাকে জোর করে বাইরে পাঠানোর সময়ে বাবা চিৎকার করে ওঠেন, বাবিল, আমাকে ছেড়ে যেও না।’


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 



আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত Ditipriya, রয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, Vaccine নিয়েও আক্রান্ত বাবা-মা


একবছর হয়ে গেল অভিনেতা প্রয়াত হয়েছেন। দুদিন আগেই অস্কারের মঞ্চে স্মরণ করা হল তাঁকে, তাঁর কাজকে। ভারতীয় অভিনেতা হিসাবে ধারাবাহিকভাবে বিশ্ব আঙিনায় তাঁর অভিনয় তামাম বিশ্বের দর্শককে মুগ্ধ করেছে। অথচ, দেশের মাটিতে অভিনেতা হিসাবে পরিচিতি এবং সাফল্যের পরও কোথাও এক অনিশ্চয়তা গ্রাস করত তাঁকে। বাবিলের মতে, ‘বাবাকে ঘিরে আমাদের যাবতীয় কথাবার্তা আবর্তিত হলেও, মা আসলে পরিবারের মূল শক্তি। মা ছাড়া আপনারা অভিনেতা ইরফান খানকে পেতেন না। অভিনেতাদের জীবন এমনিতেই অনিশ্চিত, ওঠাপড়া অনেক বেশি থাকে। সেখানে মা, সুতপা শিকদার, ছিলেন বাবার শিরদাঁড়া। আর এখন আমাদের জীবনীশক্তি।’ 


আরও পড়ুন: ‘সোনু ভাইয়া, বিপদে আছি, এবারও পাশে থাকবেন তো!’ বলছে গোটা দেশ



ইরফানের মৃত্যুর পর বাবিলের (Babil Khan) বড় স্বীকারোক্তি, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমি ডিপ্রেশনে চলে যাই। ডিপ্রেশন এমনভাবে আমাকে আক্রান্ত করে যে, মাঝেমাঝেই আমার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিত। মা বুঝতে পেরেই শক্ত হয়ে পাশে দাঁড়াতেন। তিনিই আমাকে জীবনের অভিমুখে ফিরিয়ে এনেছেন।’ ইরফান পুত্র বাবিলের বড়পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে। বাবা কখনও তাঁর অভিনয় দেখেছেন? প্রশ্নের উত্তরে হাসিমুখে একটা গল্প বললেন তিনি। তখন ‘করীব করীব সিঙ্গল’ ছবির শুটিং চলছে। বাবিল ওই ছবিতে পরিচালক তনুজা চন্দ্রাকে অ্যাসিস্ট করছিলেন। হঠাৎই ছবির প্রয়োজনে কয়েক সেকেন্ডের একটা শটে দেখা যাবে এক কাপল ছুটে পালাচ্ছেন। সেই কাপলের চরিত্রে বাবিল আর তাঁর সেইসময়ের গার্লফ্রেন্ড অভিনয় করবেন বলে স্থির হয়। খবর পাওয়া মাত্র উত্তেজিত হয়ে পড়েন ইরফান। বাবিলের জবানিতে, ‘বাবার উৎসাহ আর ধরে না। ওই কয়েক সেকেন্ডের শটের জন্য বাবা গোটা শুটিং ইউনিটটাকেই মাথায় করে তুলেছিলেন। এমনকি, তনুজা ম্যামকেও অ্যাকশন বা কাট বলতে দেন নি। নিজেই অ্যাকশন বলেছিলেন।’ অভিনয়ে সলতে পাকানোর দিনে বাবার এই উত্তেজনা তাঁকে বরাবরই উদ্বুদ্ধ করবে। আরও পাঁচজনের মতই অভিনেতা ইরফান খানের প্রশংসার জন্য আকূল বাবিল।