রণিতা গোস্বামী : ২০১৭ সালে মুক্তি পায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যতি সম্পন্ন পরিচালক মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ছবি 'ডুব'। যে ছবিতে ইরফান খানের সহ অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন পার্নো মিত্র। ২৯ এপ্রিল, বুধবার সকালে ইরফান খানের চলে যাওয়ার খবরে খুবই মুষড়ে পড়েছেন পার্নো। ভীষণ মন খারাপের মধ্য়েও এদিন স্মরণ করলেন ইরফান খানের সঙ্গে কাজ করার সেই পুরনো দিনগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পার্নো বলেন, ''আমার ভীষণ মন খারাপ, কী বলবো বুঝতে পারছি না। উনি নিজেই একজন ইনস্টিটিউশন ছিলেন। সিনেমা জগতে ওনার সঙ্গে কাজের মতো অভিজ্ঞতা খুব কম আছে। উনি অসুস্থ ছিলেন জানতাম, তবে এভাবে ছেড়ে চলে যাবেন, সেটা আশা করি নি। ডুব-এর শ্যুটিংয়ের কথা খুব মনে পড়ছে। উনি একেবারেই মাটির মানুষ ছিলেন। আমাদের সঙ্গে উনিও মাটিতে বসেই খাবার খেতেন। এত নমনীয় মানুষ খুব কম দেখেছি। ওনার অভিনয় দেখে আমি অর্ধেক সময় মুগ্ধ হয়ে থাকতাম। ওনি ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করতেন। আমরা দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর ক্রিকেট খেলতাম। ওনার বাংলায় একটু সমস্যা ছিল, সেটা মাঝে মাঝে ঠিক করে দিতে হতো।''


আরও পড়ুন-''অভিনয় প্রতিভার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন'' ইরফান খানের মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর



আরও পড়ুন-'ইরফান খানের মৃত্যুর খবর যেন বিশ্বাস হচ্ছে না', শোকাহত টলিউড


প্রসঙ্গত, মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ছবিতে পার্নো মিত্র ছাড়াও ইরফান খানের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা-কে। ছবিতে ইরফান (জাভেদের ভূমিকায়) সঙ্গে রোম্যান্স করতেও দেখা গিয়েছিল পার্নোকে। ছবি মুক্তির আগে ইরফান খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে পার্নো বলেছিলেন, ''যখন আমি শুনলাম ইরফান খানের মতো অভিনেতা এখানে কাজ করছেন তখন তো আর আমার উৎসাহের অন্ত ছিল না। আমি তো শুনেই বললাম, হ্যাঁ, এই সিনেমায় আমায় যে চরিত্রই দাও না কেন, আমি করব। এই সুযোগ কেউ ছাড়ে না। অন্য কেউ হলেও ছাড়ত না, আমিও ছাড়ি নি (হাসতে হাসতে)। যাকে আমি ছোট থেকে টিভিতে দেখেছি, তাঁর সঙ্গে কাছ করাটা সৌভাগ্যের বিষয়। দারুণ একটা অভিজ্ঞতা বলতে পারো।''



প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় তৈরি ফারুকীর 'ডুব' ছবিতে ক্রিয়েটিভ প্রোডিসার ছিলেন ইরফান খান। ছবিটি অস্কারের জন্যও পাঠানো হয়েছিল সেসময়।


আরও পড়ুন-''বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন'', ইরফান খানের মৃত্যুতে শোকাহত বলিউড