বিয়েতে শিখ ধর্মগ্রন্থকে অবমাননার অভিযোগ দীপিকা-রণবীরের বিরুদ্ধে
অনেক টাকা খরচ করে অস্থায়ী গুরুদুয়ারা তৈরি করে সিন্ধি রীতিতে বিয়ে হয় দীপবীরের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৪ নভেম্বর ও ১৫ নভেম্বর দু'দুটি নিয়মে বিয়ে সেরেছেন দীপিকা ও রণবীর। ইতালির লেক কোমোতে ১৪ নভেম্বের কোঙ্কনি মনে বিয়ে সেরেছেন দীপবীর। আর ১৫ নভেম্বর সিন্ধি পাঞ্জাবি মতে বিয়ে করেন রণবীর-দীপিকা। যদিও জানা যাচ্ছে। দীপিকার পরিবার শুধুমাত্র কোঙ্কনি রীতিতেই কন্যাদান করতে চেয়েছিলেন। পরে রণবীরের ইচ্ছাতেই সিন্ধি রীতিতে বিয়ের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর ইচ্ছাতেই নাকি লেক কোমোর ভিলা দেল বলবিয়ানেলোতে অনেক টাকা খরচ করে অস্থায়ী গুরুদুয়ারা তৈরি করে সিন্ধি রীতিতে বিয়ে হয় দীপবীরের। যে বিয়েকে বলে 'আনন্দ করাজ' অনুষ্ঠান।
তবে শিখ ধর্মগুরুদের দাবি, আনন্দ করাজ সেরিমনি গুরুদ্বুয়ারার বাইরে কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাই দীপবীরের বিয়ে ধর্মমতে সিদ্ধ নয়। কারণ শিখ রীতিতে গ্রন্থসাহেব গুরুদ্বুয়ারা বাইরে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই। তাই দীপিকা ও রণবীর এভাবে বিয়ে করে ধর্ম বিরুদ্ধ কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন-বিয়ের আগে ফারহান আখতারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠ ভিডিও ফাঁস!
দীপিকা-রণবীরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনেছেন খোদ ইতালির শিখ ধর্মীয় সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে সুবিচার চেয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছে শিখদের সর্বোচ্চ সংগঠন 'অকাল তখত'-এর দ্বারস্থ হয়েছেন। 'অকাল তখত'-এর প্রধান জানিয়েছিল বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখবে ৫ ধর্মগুরু। 'অকাল তখত'-এর প্রধান জানান, গুরু গ্রন্থ সাহেব গুরুদ্বুয়ারের বাইরে নিয়ে যাওয়া মানে অকল তখতের হুকুমনামার বিরুদ্ধে যাওয়া। কারণ এই আনন্দ খরাজ সেরিমনি গুরুদ্বুয়ারের মধ্যেই হয়।