Jacqueline Fernandez: সাময়িক স্বস্তি, ২০০ কোটির প্রতারণায় অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ল জ্যাকলিনের
জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে অনেক দামি গয়না, বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য অনেককিছু উপহার পেয়েছিলেন। জেলে থাকাকালীন সুকেশের সঙ্গে কথা বলারও অভিযোগ রয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও জ্যাকলিনের দাবি, তাঁর সমস্ত সম্পত্তিই কষ্টার্জিত। তাঁর সমস্ত FD নিজের রোজগারের টাকায় বলে জানিয়েছেন জ্যাকলিন। এমনকি সেগুলি যখন তিনি করেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে সুকেশের বিন্দুমাত্র যোগাযোগও ছিল না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
Jacqueline Fernandez, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : আর্থিক প্রতারণার মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন জ্যাকলিন। ২০০ কোটির আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়াল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালত। এই মামলায় জ্যাকলিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনের শুনানি হবে আগামী ১০ নভেম্বর। এই মামলার চার্জশিট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তথ্য ED-কে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত। যদিও ইডির তরফে এখনও কোনও নথি তাঁরা পাননি বলে জানিয়েছেন জ্যাকলিনের আইনজীবী।
শনিবার আইনজীবী প্রশান্ত পাতিলের সঙ্গে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালতে পৌঁছেছিলেন অভিযুক্ত জ্যকলিন ফার্নান্ডেজ। এদিন সাদা শার্ট, কালো ট্রাউজারে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। তাঁর জামিয়ের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে আদালত জ্যাকলিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। এই মামলায় গত ১৭ অগস্ট সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছিল ইডি। যাতে অভিযুক্ত হিসাবে জ্যাকলিনের নাম রয়েছে।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
এদিকে এই মামলায় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জ্যাকলিনকে। দিল্লি পুলিসের ইকনমিক উইং-এর জেরার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলায় জ্যাকলিনের পাশাপাশি নোরা ফতেহির নামও উঠে এসেছে। নোরাকেও একাধিকবার পুলিসের ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন-'টাবু মায়ের ভীষণ কাছের, আমার বাড়িতে এসে ও থেকেছে, খেয়েছে...'
এদিকে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে অনেক দামি গয়না, বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য অনেককিছু উপহার পেয়েছিলেন। জেলে থাকাকালীন সুকেশের সঙ্গে কথা বলারও অভিযোগ রয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও জ্যাকলিনের দাবি, তাঁর সমস্ত সম্পত্তিই কষ্টার্জিত। তাঁর সমস্ত FD নিজের রোজগারের টাকায় বলে জানিয়েছেন জ্যাকলিন। এমনকি সেগুলি যখন তিনি করেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে সুকেশের বিন্দুমাত্র যোগাযোগও ছিল না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
জ্যাকলিনের ম্যানেজার বলেছিলেন, 'ইডি যতবার তাঁকে ডেকেছে ততবারই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এমনকী তাঁর কাছে যা যা কাগজপত্র ছিল, তা সবই জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এরপরও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলায় ফেঁসেছেন অভিনেত্রী। সুকেশের এই তোলাবাজির মামলার শিকার তিনি। যদি এই অভিযোগ মেনেও নেওয়া হয় তাহলেও এই অভিযোগের ভিত্তিতে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দাঁড়ায় না।' অতীতেও জ্যাকলিনকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে তাঁর দাবি ছিল, তিনি এই মামলার একজন সাক্ষী। অভিনেত্রীর ম্যানেজার বলেছিলেন যে, ২০১৭ সালে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের যোগাযোগ হয় এবং তখন তিনি জ্যাকলিনকে বলেছিলেন যে তিনি তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।