Chaiti Ghoshal & Tabu : 'টাবু মায়ের ভীষণ কাছের, আমার বাড়িতে এসে ও থেকেছে, খেয়েছে...'
টাবুর সঙ্গে আমার প্রায় ২৪ বছরের পুরনো বন্ধুত্ব যেটা শুরু হয়েছিল আবার অরণ্যে ছবিতে কাজ করার সময় ধরে। তবে শুধু বন্ধুত্বই নয়, আমরা একে অপরের পরিবারের সঙ্গে জুড়েও রয়েছি। আবার টাবুর কাছের বন্ধু হল অজয় দেবগণ। আমার মার মায়ের সঙ্গে টাবুর বেশ সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিল। মা যতদিন রান্না করেছেন, টাবু এলে আমার মায়ের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করতেন, বিকেলে আমার বাড়িতে।
Chaiti Ghoshal, Tabu, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : সম্প্রতি টাবু সঙ্গের বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন চৈতি ঘোষাল। ছবিগুলিতে একে অপরকে জড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে চৈতি ও টাবুকে। বন্ধুত্বের কথা জানিয়ে চৈতি লিখেছেন, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের বন্ধুত্ব। সঙ্গে বলেছেন তাঁর মা টাবুকে দেখলে খুশি হতেন। ছবিগুলি ঘিরে কমেন্ট নানান মন্তব্য করেছেন অনেকে। তবে চৈতির সঙ্গে টাবুর বন্ধুত্বের শুরু কীভাবে, এই ছবিগুলিই বা কোথায় তোলা? তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে বৈকি। সেকথা জানতেই Zee 24 ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে চৈতি ঘোষালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
চৈতি ঘোষাল জানান, 'আসলে আমি আমার একটা কাজে গিয়েছিলাম গোয়াতে, ওখানে টাবু আমায় দৃশ্যম ২-র ট্রেলার লঞ্চে আমন্ত্রণ জানায়। আমি কাজের শেষে গিয়েছিলাম ট্রেলার লঞ্চে, তারপর টাবু আর আমি একদিনের জন্য একসঙ্গে ছুটি কাটিয়েছি। হোটেলের কটেজেই ছবিগুলি তোলা। আসলে টাবুর সঙ্গে আমার প্রায় ২৪ বছরের পুরনো বন্ধুত্ব যেটা শুরু হয়েছিল আবার অরণ্যে ছবিতে কাজ করার সময় ধরে। তবে শুধু বন্ধুত্বই নয়, আমরা একে অপরের পরিবারের সঙ্গে জুড়েও রয়েছি। আবার টাবুর কাছের বন্ধু হল অজয় দেবগণ। এদিকে আবার 'ময়দান' বলে যে ছবিটা হচ্ছে বনি কাপুরের প্রযোজনায়, অজয় দেবগণ সেখানে আমার ছেলে অমর্ত্যর (অমর্ত্য রায়) সহ অভিনেতা। ছবিতে চুনী গোস্বামী চরিত্রটি বাবি, মানে আমার ছেলে করছে। ওই বিষয়টি নিয়েও অজয় দেবগণের সঙ্গে কথা হচ্ছিল আমার। অজয়ের সঙ্গে আমার ছেলেরও ময়দান ছবির সূত্র ধরেই একটা যোগাযোগ তৈরি হয়েছে।'
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
আরও পড়ুন-'জয় শ্রীরাম' বলে জুতো খুলে মঞ্চে অক্ষয়, 'বয়কটের ভয় পাচ্ছেন?' প্রশ্ন নেটপাড়ার...
চৈতি জানান, 'ছবির ক্যাপশানে মায়ের কথা লিখেছি, কারণ মাকে আমি বছর দেড়েক হল হারিয়েছি। আর আমার মায়ের সঙ্গে টাবুর বেশ সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিল। মা দুর্গাপুজো, চণ্ডীপাঠ করতেন। মায়ের বাড়ির পুজোতেও টাবু এসেছে। ও আমাদের লেক মার্কেটে পুরনো শ্বশুরবাড়িতেও এসে থেকেছেন, বাবার বাড়িতেও যেতেন। মা যতদিন রান্না করেছেন, টাবু এলে আমার মায়ের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করতেন, বিকেলে আমার বাড়িতে। আর মা-কে হারানোর পর এটাই আমার টাবুর সঙ্গে প্রথম দেখা। আর টাবুর মায়ের সঙ্গেও আমার কাছের সম্পর্ক। সেখান থেকেই ক্যাপশানে মায়ের কথা লিখেছি।'