পান্তার সঙ্গে ইলিশ, আর নানান ভর্তা, বাংলাদেশের ১লা বৈশাখ নিয়ে বললেন Jaya
এবার ওপার বাংলায় নববর্ষ উদযাপন নিয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে কী বললেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান?
জয়া আহসান: ১৪২৭ শেষে, আমরা বাঙালিরা এবার ১৪২৮-এর পথে। তবুও করোনার চোঙরাঙানিতে এবারও ১লা বৈশাখ উদযাপন যেন ম্রিয়মাণ। বাংলাদেশেও এবার উৎসব উদযাপনের কোনও আড়ম্বর নেই। অথচ, বাংলা নববর্ষ পালন বাংলাদেশের অন্যতম বড় উৎসব হিসাবে পালিত হয়।
সত্যি বলতে বাংলাদেশে ১লা বৈশাখ যেভাবে পালিত হয়, এবার তার ছিটেফোঁটাও নেই। কোনও আমেজই নেই এবার। আমাদের এখানে লকডাউন। কোভিডের যা পরিস্থিতি, এছাড়া তো উপায়ও নেই। নববর্ষে আমাদের এখনে মূল যে বিষয় হল মঙ্গল শোভাযাত্রা, যেটা চারুকলা কেন্দ্র থেকে বের হয়। রাস্তায় মানুষের ঢল নামে, সকলে রমনার বটমূল পর্যন্ত যান।
প্রত্যেক ১লা বৈশাখে স্নান সেরে, নতুন শাড়ি পরা হয়। চোখে কাজল, কপালে টিপ পরা, চুলটা খোঁপা করে তাতে বেলফুলের মালা দেওয়া। আর তারপর সকলে মিলে ছবি তোলা হয়। এবারও অবশ্য প্রচুর শাড়ি, মিষ্টি উপহার হিসাবে পেয়েছি। তবে সেসব ঘরেই রেখে দিয়েছি। এবার কোনওকিছু করার মানসিকতা, আগ্রহ কোনোওটাই নেই।'' পয়লা বৈশাখের খাওয়াদাওয়া প্রসঙ্গে জয়া বলেন, ''অন্যবার খাবারের মেনুতে পান্তাভাতের সঙ্গে ইলিশ থাকবেই, তা যতই দাম হোক। দইপান্তা, ঝালপান্তার সঙ্গে নানান পিঠে, শুঁটকি ভর্তা থেকে শুরু করে নানান রকম ভর্তা সহ বিভিন্ন কিছু থাকে। দুদিন আগে থেকেই ১লা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়দের বাড়িতে দাওয়াত (নিমন্ত্রণ) দিয়ে খাওয়ানো, সবাই একসঙ্গে মজা করা, এগুলো তো হয়ই।
আসলে ইদ, দুর্গাপুজোর বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের সবথেকে বড় যে উৎসব সেটা হল বাংলা নববর্ষ পালন। কিন্তু সেটা গতবারও ঠিকভাবে হয়, এবারও হল না। আশারাখি পরের বার নিশ্চয় আমরা এই সবথেকে বের হয়, সুন্দরভাবে নববর্ষ পালন করতে পারব।
আরও পড়ুন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নববর্ষের স্মৃতি ভীষণ উজ্জ্বল: রাফিয়াত রশিদ মিথিলা