নিজস্ব প্রতিবেদন- ‘আমার একটু ঠাণ্ডা লেগেছিল। গত রবিবার দেখলাম, ঢোঁক গিলতে পারছি না। আর কোথাও কোনও ব্যথা নেই। বুকে কোনও অসুবিধা নেই। মাথা ব্যথা, জ্বর এসব কিছুই ছিল না। প্রফেসর সৌমিত্র ঘোষের পরামর্শমত বাড়ির বাইরে এসে চিকিৎসা করাতে রাজি হই। SSKM-এ ভর্তি হওয়ার পর থেকে  দিন কেটে গেছে, এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছি। আর এর পুরো কৃতিত্বটাই চিকিৎসক এবং সেবক-সেবিকাদের।‘ বিশ্ব চিকিৎসক দিবসে এভাবেই ফেসবুক লাইভে এসে ডাক্তারদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানালেন কবীর সুমন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপূর্ব একটি আবহ তৈরি করেছিলেন কবীর সুমন। রেওয়াজের পরিবেশ। বাজছে ইলেকট্রনিক তানপুরা। বিভিন্ন দেশে থাকার সুবাদে তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি , চিকিৎসকদের এবং সেবক সেবিকাদের উৎসর্গীকৃত প্রাণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের শহরকে ফিরে দেখেন সুমন। আর জানান, কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গ অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে নেই। রাজ্য সরকার কবে এর মূল্যায়ন পাবেন, সেই প্রসঙ্গে টেনে রবীন্দ্রনাথকে থকে উদ্ধৃত করে সুমন বলেন, ‘রাজা সবারে দেন মান, সে মান অপনি ফিরে পান’। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে ইঙ্গিত করেই সুমনের এই বক্তব্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা যদি সবাইকে গুরুত্ব বা সম্মান না দিতেন, তাহলে এই ফলাফল অসম্ভব ছিল’।


আরও পড়ুন: ছুটি নয়, সম্মান দিতে হলে কোভিড শহিদ ডাক্তারের পরিবারের পাশে থাকুন, আর্জি চিকিৎসকদের


বামফ্রন্ট আমলে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেন সুমন। বলেন, ‘বাম আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। এত খারাপ অবস্থা কোনওদিন পশ্চিমবঙ্গের ছিল না। ৩৪ বছর পরে মানুষ স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। লোকে এখন সরকারি হাসপাতালে আসতে চায়’। পৃথিবার উন্নত দেশগুলোর থেকেও সুমন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে যে জায়গায় এগিয়ে রাখতে চান, তা হল মানবিক স্পর্শ। সুমন জানান, বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানির থেকেও ভালো।


কবীর সুমন জানান, তিনি সেরে উঠছেন। তানপুরার সুরে গলা লাগিয়ে কখনও ভাটিয়ার, কখনও  বৈরাগী ভৈরব, কখনও নিজের তৈরি রাগ প্রতিমা গাইছেন। তবে শিল্পীর মতে, যেদিন তিনি সম্পূর্ণ সুর লাগাতে পারবেন, সেদিনই তিনি সুস্থ হবেন। কবীর সুমন জানান, তাঁকে বাংলা খেয়াল গাইতেই হবে। বাংলায় বসে বাংলা ভাষায় খেয়াল গাইতে পারা যায় কেবল এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কারণেই, বলে জানালেন সুমন।