Kamaal R Khan: জেলে ১০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমেছে, ফের ট্যুইট করে ট্রোলড কেআরকে
Kamaal R Khan: দুটি মামলাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল কমল আর খানকে। গ্রেফতারির কিছুদিন পরেই জামিন পেয়ে যান অভিনেতা। তাঁর দাবি ঐ ১০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমেছে তাঁর কারণ এই সময় কোনও খাবার খাননি তিনি।
Kamaal R Khan, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ২৯ অগস্ট মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় চলচ্চিত্র সমালোচক ও অভিনেতা কমল আর খান। ২০২০ সালে ট্যুইটারে বলিউডের তারকাদের অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পাশাপাশি ২০২১ সালের এক শ্লীলতহানির মামলাতেও তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। নিজেকে ফ্লিম ক্রিটিক বলেই পরিচয় দেন কমল আর খান। আপাতত দুটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি লেখেন যে, জেলে থাকাকালীন তিনি শুধু জল খেয়েই বেঁচে ছিলেন। সেই সময় ১০ কেজি ওজন কমেছে তাঁর।
আরও পড়ুন: Brahmastra : ফাঁকা হল, ব্যর্থ ব্রহ্মাস্ত্র, পরিসংখ্যান মিথ্যা! আসল সত্যিটা কী?
দুটি মামলাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল কমল আর খানকে। গ্রেফতারির কিছুদিন পরেই জামিন পেয়ে যান অভিনেতা। তাঁর দাবি ঐ ১০ দিনে ১০ কেজি ওজন কমেছে তাঁর কারণ এই সময় কোনও খাবার খাননি তিনি। মঙ্গলবার ট্যুইটে কেআরকে লেখেন, ’১০ দিন জেলে শুধুমাত্র জল খেয়ে বেঁচেছিলাম। এই কারণে আমার ১০ কেজি ওজন কমে যায়।’ এই ট্যুইটের পরেই ব্যাপক ট্রোল হতে থাকেন তিনি। এক নেটিজেন লেখেন যে, মেডিক্যালি এটা কী করে সম্ভব? সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম ও তার সঙ্গে শুধু জল খেলেও এটা অসম্ভব। ১০ দিনে ১০ কেজি কমানো সম্ভব নয়। মাসেল মাস হোক বা ফ্যাট, কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: Prosenjit-Debashree: ২৭ বছর কথা নেই! প্রথম স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে চান প্রসেনজিৎ!
অন্য এক নেটিজেন লেখেন যে, ‘আমরা কী করব? আরও বসে বসে ট্যুইট কর। আমি হলে জলও দিতাম না।’ অন্য একজন লেখেন, ’১০ দিনে ১০ কেজি কমে গেছে, তাহলে তো ২ মাস থাকলে আপনি অমর হয়ে যেতেন।’ অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন যে, ‘স্যর জেলের ভিডিয়ো দিন, ওখানে কী কী ছিল? কোন কোন মেশিন ছিল?’ জামিন পাওয়ার পর এটাই প্রথম ট্যুইট নয়, এর আগে একটি ট্যুইট করেছিলেন তিনি। যেটি ডিলিট করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অক্ষয় কুমারের লক্ষ্মী বম্ব ছবি নিয়ে অশ্লীল পোস্ট করেছিলেন কেআরকে। সেই ট্যুইটের বিরুদ্ধেই মালাড থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল যুব সেনার সদস্য রাহুল কানাল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দায়ের হয় এফআইআর। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় লুক আউট নোটিস। কিন্তু সেসময় দেশে ছিলেন না তিনি। ৩০ অগস্ট রাতে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কমল আর খানকে। পরের দিনই তাঁকে পেশ করা হয় বোরিভালি আদালতে। সেখানেই তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে এর মাঝে জামিনের আবেদন করে, জামিন পান কেআরকে।