নিজস্ব প্রতিবেদন: অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে বুদ্ধিজীবীদের চিঠির পাল্টা মত প্রকাশ করলেন প্রসূন যোশী, মধুর ভান্ডরকররা। গত ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা বুদ্ধিজীবীদের চিঠির পাল্টা চিঠি দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত, মধু ভান্ডরকর, বিবেক অগ্নোহোত্রী সহ ৬১ জন ব্যক্তিত্ব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসহিষ্ণুতা ইস্যু নিয়ে বুদ্ধিজীবারা যে দাবি তুলেছিলেন সেক্ষেত্রে কঙ্গনা রানাওয়াতদের মত এক্কেবারেই ভিন্ন। তাঁদের দাবি, ''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশাসনের সুপ্রচেষ্টাতে আঘাত আনতেই বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে। ''  তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, ''অসহিষ্ণুতা নিয়ে যাঁরা চিঠিতে সই করেছেন, তাঁরা দেশের উপজাতি, পিছিয়ে পড়া মানুষের উপর হামলা, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়া, মাওবাদী হামলার মত ঘটনার সময় কেন চুপ ছিলেন?''




প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন বুদ্ধিজীবীরা। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি নিয়ে অনেকেই বাড়াবাড়ি করছেন। জয় শ্রী রাম ধ্বনি ক্রমাগত যুদ্ধ নিনাদে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এই ধ্বনিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে গণপিটুনি-সহ বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত ঘটনার যে অভিযোগ উঠছে, চিঠিতেও তার কড়া সমালোচনা করা হয়।


এই চিঠিতে সই করেন মনিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, আদুর গোপাল কৃষ্ণণ, বিনায়ক সেন সহ আরও অনেকের। পশ্চিমবঙ্গ থেকে চিঠির পক্ষে সই করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায় সহ আরও অনেকে। 


এবার এই ইস্যুতেই বুদ্ধিজীবীদের মতের পাল্টা চিঠি দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত, মধুর ভান্ডরকর, প্রসূন যোশীরা। আর এই 'চিঠি আর পাল্টা চিঠি'র হাত ধরেই অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে রাজনৈতিক রং লাগল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই দাবি,  অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেনদের মতো বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্ন সময় মমতা সরকারের বিভিন্ন কাজেরও সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কঙ্গনা, মধুর ভান্ডরকর, প্রসূন যোশীরা প্রায় সকলেই কমবেশি মোদী ঘনিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে বিতর্ক দানা বাঁধতেই পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।