নিজস্ব প্রতিবেদন : ​কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে শিবসেনার বিতর্ক যখন তুঙ্গে, সেই সময় অভিনেত্রীকে 'হারামখোর মহিলা' বলে আক্রমণ করেন সঞ্জয় রাউত। শিবসেনার মুখপাত্রের ওই মন্তব্যের পর বিভিন্ন মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায়। সঞ্জয় রাউতের সেই 'হারামখোর মহিলা' বলে আক্রমণের পর পালটা আক্রমণ করলেন কঙ্গনা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতাকারে অভিনেত্রী বলেন, 'হারামখোর' শব্দের অর্থ হল 'মুফতখোর'। অর্থাত বিনা অর্থব্যয়ে যাঁর খাওয়াদাওয়া চলে কিন্তু তিনি ওই কাজটি করেন না। অর্থাত বিনামূল্যে তিনি কিছু খান না। প্রত্যেক বছর ১৫-২০ কোটি করে কর দেন তিনি। বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি কর দেন। শুধু তাই নয়, তাঁর যে কর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থাও তিনিই করেন। তাই তাঁকে 'হারামখোর' মহিলা বলে কেন সঞ্জয় রাউত আক্রমণ করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কঙ্গনা।


আরও পড়ুন : করণের বাড়িতে রমরমিয়ে মাদক পার্টি? অভিযোগ দায়ের একঝাঁক তারকার বিরুদ্ধে


প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের একাংশকে 'মুভি মাফিয়া' বলে আক্রমণ করেন কঙ্গনা। বলিউডের সঙ্গে মাদক চক্র অতপ্রোতভাবে জড়িত বলেও আক্রমণ করেন অভিনেত্রী। এসবের পাশাপাশি সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর জেরে যখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের নাম উঠে আসতে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্য়মে, তখনও কড়া আক্রমণ করেন কঙ্গনা।


এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, শিবসেনা এবং বালাসাহেব ঠাকরের পরিবারকে কালিমালিপ্ত করতেই বিরোধীদের তরফে ওই ধরনের কুতসা করা হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি কঙ্গনা রানাউতকেও কড়া আক্রমণ করেন শিবসেনা। যার জেরে সম্প্রতি কঙ্গনার মুম্বইয়ের অফিস ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, ওই ঘটনার সঙ্গে শিবসেনার কোনও যোগ নেই। অভিনেত্রীর পালি হিলের অফিসের বেশ কিছুটা অংশ বেআইনি বলেই তা বিএমসির তরফে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।