নিজস্ব প্রতিবেদন: গত দেড় মাস ধরেই কঙ্গনার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। প্রথমে কঙ্গনা এবং সঞ্জয় রাউতের টুইটযুদ্ধ এবং এরপর বাকযুদ্ধ কার্যত তোলপাড় করেছে দেশ। আর এই সংঘাতের মধ্যেই মুম্বই পৌঁছলেন কঙ্গনা। তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বুধবার বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে শিবসেনার সমর্থকেরা। পাশাপাশি নায়িকার পক্ষ নিয়ে পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় কারনি সেনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর এই বিক্ষোভের মধ্যেই মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে নিজের গাড়িতে ওঠেন নায়িকা। এদিন কঙ্গনা পৌঁছতেই কার্যত গর্জে ওঠেন শিবসেনার মহিলা মোর্চারা। পাকিস্তানের সঙ্গে মুম্বই-এর তুলনা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের মতে, নায়িকার এই দাবি নিয়ে মুম্বইতে আসার অধিকার নেই।


উল্লেখ্য, যাই হয়ে যাক ৯ সেপ্টেম্বরই মুম্বই আসবেন বলে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন কঙ্গনা। আর সেই মতোই এদিন মুম্বইতে এলেন তিনি। কঙ্গনা রানাউতের মুম্বইতে ফেরার কথা ঘোষণার পরই শিবসেনার তরফে আক্রমণ করা হয় তাঁকে। জানানো হয়, ক্ষমা চাওয়ার পরই মুম্বই-তে ঢুকতে দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: কঙ্গনার অফিস ভাঙা নিয়ে বিতর্ক, মুম্বইকে সরাসরি 'পাকিস্তান' বলে আক্রমণ করলেন অভিনেত্রী


প্রসঙ্গত, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে সরব হন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। শিবসেনা-এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের আমলে মুম্বই কার্যত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) পরিণত হয়েছে এবং সেখানে ফিরতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেন কঙ্গনা। আর এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁর টানাপড়েন শুরু হয় মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে। কঙ্গনা যাতে নিরাপদে মুম্বইয়ে ফিরতে পারেন, তার জন্য তাঁকে Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।


সেই অবস্থাতেই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি পালি হিলে কঙ্গনার দফতরের বাইরে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কঙ্গনা অভিযোগ করেন, তাঁকে হেনস্থা করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই পদক্ষেপ করছে মহারাষ্ট্র সরকার। বুধবার সকালে মুম্বই পুলিসকে সঙ্গে নিয়েই কঙ্গনার পালি হিলের বাংলো এবং অফিসের সামনে হাজির হন বিএমসির একাধিক কর্মী।


এরপরই অভিনেত্রীর অফিসে ভাঙচুরের কাজ শুরু হয়। একের পর এক করে যার ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল সাইটে। মুম্বইতে কঙ্গনা রানাউতের বিএমসির অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হয় প্রায় গোটা দেশ জুড়ে। ভাঙচুরের ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তা রাম মন্দিরের সঙ্গেও তুলনা করেন কঙ্গনা।


আরও পড়ুন:  কঙ্গনার অফিস ভাঙা নিয়ে বিতর্ক, মুম্বইকে সরাসরি 'পাকিস্তান' বলে আক্রমণ করলেন অভিনেত্রী


কঙ্গনার ওই টুইট দেখে তাঁকে পালটা আক্রমণ করেন এনসিপির রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মজিদ মেমন। বাবর এবং তাঁর সেনা বলে মুম্বই পুলিসের কর্মীদের অপমান করেছেন কঙ্গনা। পুলিস প্রশাসনের উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা চলে যাক। এটাই কি কঙ্গনা চান বলে প্রশ্ন তোলেন মজিদ মেমন। এরপর ফের মুখ খোলেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, শিবসেনার বিরুদ্ধে তোপ দাগার ফলেই মহারাষ্ট্র সরকার সরাসরি তাঁর সঙ্গে সংঘাতে নেমে পড়েছে। আর এভাবেই টুইট পাল্টা টুইটে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে।