নিজস্ব প্রতিবেদন: এই মুহূর্তে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা স্টিফেন স্পিলবার্গের 'হ্যালো' সিরিজে কাজ করছেন। সেকারণেই বুদাপেস্টে ছিলেন তিনি। তবে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেতেই আর দেরি করেননি। সোজা পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। শুক্রবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানালেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা আজমি। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না অভিনেত্রী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শাবানা আজমির কথায়, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব কতটা বদলে গেছে, তা দেখার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণই খুশি। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবকে এভাবে এমন সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, এবং সিনেমা জগতের পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কৃতিত্ব দিলেন শাবানা। তাঁর কথায়, মমতা দিদি সমাজের কাছে সিনেমা জগতের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন। অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের কথা টেনে তিনি বলেন, '' মাধবী দি যেমনটা বললেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে যেভাবে একটা পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সেটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ছবি এমন রয়েছে যেগুলি সেই অর্থে প্রথাগত বানিজ্যিক ছবি নয়, তাই সেই ছবিকে এবং ছবির নির্মাতাদের উৎসাহিত করা ভীষণই প্রয়োজন। সেই ছবিগুলির পাশে থাকার জন্য এই পুরস্কার অনুষ্ঠানটিও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আর এর জন্যই আমি আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাইব।'' তাঁর প্রশংসায় আপ্লুত হয়ে যান মঞ্চে বসে থাকা মুখ্যমন্ত্রী নিজেও।


আরও পড়ুন-'কলকাতা আমার দ্বিতীয় বাড়ি', KIFF-এ আসতে না পেরে বাংলাতেই মন খারাপের বার্তা অমিতাভের



আরও পড়ুন- ঘরে বাইরে আজ: মেদিনীপুর থেকে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসা, তারপর অভিনয়, গায়ের রং নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছিল, খোলামেলা তুহিনা


নজরুল মঞ্চে চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন শাবানা আজমি। তাঁর কথায়, ''ভারতীয় সংবিধান আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। এটা আমাদের কাছে গর্বের ভারত তার এই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছে।'' চলচ্চিত্র দুনিয়ার অগ্রগতির কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ''বুদাপেস্টে স্পিলবার্গের ছবিতে কাজ করতে গিয়েই দেখতে পাচ্ছি সেখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজ করছে। আর এটাই আমায় বুঝিয়ে দিচ্ছে সিনেমা কীভাবে বিভিন্ন মানুষকে একসঙ্গে বেঁধে ফেলতে পারে। সিনেমাই পারে অন্যের সংস্কৃতি জানার জন্য তার জানালা খুলে দিতে। আর সেকারণেই সিনেমা সহ অন্য সমস্ত শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং এর পাশে থাকার প্রয়োজন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা করছেন তাই তাঁকে আরও একবার ধন্যবাদ।''


শাবানা আজমি আরও বলেন, ''আমি এমন একটা পরিবারে বড় হয়েছি, যে পরিবার আমায় শিখিয়েছে শিল্প সমাজ পরিবর্তনে একটা বড় ভূমিকা নেয়। আর সেকারণেই শিল্পীকে নিজের মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া উচিত। শিল্পের উদ্দেশ্য শুধুই সৃষ্টি নয়, এটা সমাজের সঙ্গে কথা বলতে, মানুষের কাছে কোনও বিষয় তুলে ধরতে সাহায্য করে। আর এভাবেই এটা সমাজের গোঁড়ামি গুলো দূর করতে সাহায্য করে। সিনেমা সমাজের দর্পন। তাই শিল্পীকে কথা বলতে দিন'' এপ্রসঙ্গে বাবা কাইফি আজমির একটি কবিতাও পাঠ করেন শাবানা আজমি।



এদিন বাবা কাইফি আজমির উপর একটি তথ্যচিত্রের প্রদর্শনেও হাজির ছিলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি।