সঞ্জয় ভদ্র : কলকাতায় শো করতে এসে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র (KK) মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর গুনমুগ্ধরা। জানা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালীনই অসুস্থ বোধ করছিলেন শিল্পী। হোটেলে ফেরার পর রুমে ঢুকে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। লালবাজার সূত্রে খবর, গত ৩০ তারিখ থেকেই হাত ও কাঁধে ব্য়থা করছিল তাঁর। যেকথা আগেই নাকি স্ত্রীকে আগেই জানিয়েছিলেন কেকে (KK)।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও কেকে-র ঠিক কী হয়েছিল? এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে অনুরাগীদেরদের মনে। বুধবার সামনে আসা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কেকে-র মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে 'মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন' (Myocardial infarction)। ডাক্তারি পরিভাষায় যা 'মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন', চলতি কথায় তাকেই আমরা বলি 'হার্ট অ্যাটাক'। হার্টের পাম্পিং ফেল করে যায়। অর্থাৎ কেকে-র মৃত্যুর পিছনে কোনও 'অন্য' কারণ নেই বলেই উল্লেখ প্রাথমিক রিপোর্টে। তবে গায়ক কেকে-র মৃত্যু ঘটনায় 'অস্বাভাবিক মৃত্যু'র মামলা রুজু করেছে নিউমার্কেট থানা। শুরু করে তদন্ত। এসএসকেএম হাসপাতালে কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।


আরও পড়ুন- 'কেকে-র মৃত্যুতে কালীকার কথা মনে পড়ছে', স্মৃতিমেদুর লোপামুদ্রা


জানা যাচ্ছে, কলকাতায় নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার শো চলাকালীনই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন কেকে। ভীষণভাবে ঘামছিলেন তিনি। বার বার মুখ, কপাল, মাথা মুছে নিচ্ছিলেন তোয়ালে দিয়ে। জল খাচ্ছিলেন ঘন ঘন। যা দেখেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শো-এর মাঝপথেই অস্বস্তি হতে শুরু করে তাঁর। কিন্তু তবুও 'কমিটমেন্ট' বজায় রেখে শো শেষ করেন তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন কেকে-র গ্যাসের সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের। প্রায়শই গ্যাসের ওষুধ খেতেন। ৩০ তারিখ কলকাতায় বসে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর। তখন বলেছিলেন, "আমার কাঁধে এবং হাতে ব্যথা করছে।"