অনসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: ১৯৫৬ সাল,ছবির নাম ‘অসমাপ্ত’। এই ছবিতে আরও তিন জন সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে গান তৈরিকরেছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষ (Nachiketa Ghosh)। তিনটি গান ভাগে পড়েছিল সঙ্গীত পরিচালকের। দুটি গান দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকরকে। অপরটি গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়। লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে ‘রিমিকি ঝিমিকি ছন্দে কে যায়’ এবং অপর গানটি হল ‘পূর্ণিমা নয় এ যেন রাহুর গ্রাস’ রেকর্ড করা হয়। যদিও গানদুটি সেইভাবে জনপ্রিয়তা পায় নি। অপর গানটি গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বিখ্যাত গান ‘কান্দো কেনে মন রে, সূর্যি আছে চন্দ্র আছে’ সুপারহিট হয় এই গান। বলাই বাহুল্য হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ২০ টি সেরা গানের একটি এটি। এর আগে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেও এই প্রথম ছবির জন্য বাংলা আধুনিক গান গাইলেন। আর প্রথম দুটি গান গেয়ে পারিশ্রমিক নেননি লতা মঙ্গেশকর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar: প্রথম উপার্জন ২৫ টাকা, কয়েকশো কোটির সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর


নচিকেতা ঘোষ নিজে তাঁকে সেই সময় ৫০০ টাকা রূপোর একটি বীণা কিনে দিয়েছিলেন, শিল্পীকে এই উপহার দেন সঙ্গীত পরিচালক, তবে লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) জানান তাঁর আরও একটি জিনিস চাই। নচিকেতা ঘোষ অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন কী? শিল্পী বলেন আমায় দিয়ে যে দুটি গান গাইয়েছেন সে দুটি ছাড়াও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘কান্দো কেনে মন রে, সূর্যি আছে চন্দ্র আছে’ গানটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে, এটি আমায় একটু দেবেন?  সেই মুহূর্তে এই গানের সুর লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে দেন সঙ্গীত পরিচালক। সেইসময় একটি মারাঠি ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করছিলেন লতা, তিনি এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সেই মরাঠি ছবির জন্য এই গান রেকর্ড করেছিলেন। 


আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Passes Away: কানাডায় লতার ছবি তুলে দিয়ে সেদিন সুরের রানিকে কী বলেছিলেন মুকেশ?


বহু বছর পর...১৯৭৪ সাল, মৌচাক ছবির রেকর্ডিং চলছিল, বাবা নচিকেতা ঘোষের সঙ্গে মুম্বই গিয়েছিলেন সুপর্ণকান্তি ঘোষ, সেইসময় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গীতাঞ্জলিতে ছিলেন। সেদিন মৌচাক ছবির ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি করবই তো’ গানের রেকর্ডিং চলছিল। একই সঙ্গে কাজ চলছিল ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ ছবিরও। তৈরি হচ্ছিল ‘আলো আর আলো দিয়ে’ গানটি। সেই দিন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে লতার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নচিকেতা ঘোষের ছেলে সুপর্ণকান্তি ঘোষ। বাড়ি গিয়ে দেখেন অভিনেতা মেহমুদ বসে আছেন, ডাইনিং দারুণ সাজানো, বিশাল একটি শোকেস, আর তার মাঝেই জ্বলজ্বল করছে নচিকেতা ঘোষের দেওয়া সেই উপহার, রূপোর বীণা। লতা মঙ্গেশকর চলে যাওয়ার পর সুপর্ণকান্তি ঘোষের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এই গল্পই মেলে ধরলেন জি ২৪ ঘণ্টার কাছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)