নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিকে আলোর রোশনাই,  অপরদিকে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে অবহেলার ছাপ। সানাই তো দূর, বাড়িতে জ্বলছে না কোনও আলো। অবহেলার ছাপ যেন বড় বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পৈত্রিক ভিটেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবারই যোধপুরের উমেদ ভবনে হিন্দু রীতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন দেশি গার্ল। প্রিয়াঙ্কা-নিকের বিয়ে উপলক্ষে জাঁকজমক কিছু কম হচ্ছে না। বিয়ে যোধপুরে হলেও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে প্রিয়াঙ্কার মুম্বইয়ের বাড়িটিও। তবে যোধপুর ও মুম্বইতে যতই ধুমধাম হোক না কেন, অবহেলায় পড়ে রয়েছে প্রিয়াঙ্কা পৈত্রিক বাড়িটি। উত্তরপ্রদেশের বরেলি শহরে রয়েছে এই বাড়ি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন শুক্রবার পর্যন্ত এই বাড়িতে আলো পর্যন্ত জ্বলেনি। শুক্রবার সন্ধের পর বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, তাঁকে বলে বাড়িটিতে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রাই। 


আরও পড়ুন-নিক-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গীত: বলিউডের গানে নাচলেন নিক, উচ্ছ্বসিত প্রিয়াঙ্কা



আরও পডুন-দীপিকা-রণবীরের বলিউড রিসেপশন: আমন্ত্রণ জানানো হল না এই দুই তারকাকে



আরও পড়ুন-নিক-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গীত: বলিউডের গানে নাচলেন নিক, উচ্ছ্বসিত প্রিয়াঙ্কা


প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পৈত্রিক এই বাড়ির কেয়ার টেকার পরমেশ্বর রাই পান্ডে বলেন, '' চোপড়া বাড়ির সকলেই বিয়ে নিয়ে বড্ড ব্যস্ত। তাই হয়ত তাঁরা এই বাড়িটির প্রতি নজর দিতে ভুলে গিয়েছেন। তবে স্থানীয় কিছু মানুষ ও জেলা প্রশাসন, তাঁদের মেয়ের (প্রিয়াঙ্কা চোপড়া) প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে বাড়িটিতে আলো লাগিয়েছেন। রাধেশ্যাম স্মৃতি সমারোহ আয়োজন সমিতি নামে একটি সংগঠনই মূলত এই উদ্যোগ নেন। 



আরও পড়ুন-সৎ মেয়ে সারার সঙ্গে ছবি তোলায় আপত্তি করিনার? দেখুন কী ঘটেছে...


পরমেশ্বর রাই পান্ডে আরোও বলেন, ''তিনি একাই এই বাড়ি দেখাশোনা করেন, তাই তাঁর পক্ষে বাড়ি সাজানো সম্ভব নয়। তবে স্থানীয়রা শুধু প্রিয়াঙ্কার বাড়িটিই নয়, তাঁদের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে নিজেদের বাড়িও সাজিয়েছেন। যদিও এই বিয়েতে তাঁদের নিমন্ত্রণ মেলেনি। কয়েকজনকে শুধু ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কোনও কার্ড পাঠানো হয়নি। ''


এবিষয়ে প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া PTI-কে জানান, '' পরমেশ্বর রাই পান্ডের থেকে আমরা জেনেছি বরেলির বাসিন্দারা প্রিয়াঙ্কাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে ব্যস্ততার জন্য আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে পারিনি। সময় হলেই জানাব। তবে বরেলি মানুষদের জন্য বরেলির বাসিন্দা হিসাবে আমি গর্বিত। ''


বরেলির এক স্থানীয় দোকানদার বলেন, '' প্রিয়াঙ্কার বিয়ে উপলক্ষ্যে স্থানীয় গরিব ছেলেমেয়েদের জন্য আমরা সবাই মিলে একটা ছোট্ট সেলিব্রেশনের আয়োজন করেছি। বরেলির মেয়র উমেশ গৌতম একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ''



প্রসঙ্গত প্রিয়াঙ্কা বাবা ও মা অশোক চোপড়া ও মধু চোপড়া কর্মসূত্রে বরেলি শহরেই থাকতেন। বরেলির কস্তুরবা হাসপাতালে চাকরি করতেন প্রিয়াঙ্কার বাবা-মা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও ছেলেবেলায় বরেলির আর্মি স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন। 


আরও পড়ুন-রাজ কাপুর ও উত্তম কুমারের দুঃস্থ ক্যামেরাম্যানের পাশে দাঁড়ালেন দেব