ওয়েব ডেস্ক: মাত্র ১১ বছর বয়সে বিশাল ভরদ্বাজের মকড়ি ছবিতে অভিনয় করে সেরা শিশুশিল্পীর জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। অসাধারণ অভিনয়ের জন্য এখনও দর্শকদের মনে রয়েছেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই শ্বেতাই গ্রেফতার হলেন একটি দেহব্যবসার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য। গত সপ্তাহের শেষে হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেক তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বানজারা হিলস পুলিস স্টেশনের পুলিস স্টেশনের ইন্সপেক্টর জানান, রবিবার শ্বেতাকে গ্রেফতার করে সরকারি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা হবে। একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া বিবৃতিতে ২৩ বছরের শ্বেতা বলেন, আমি কেরিয়ারে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনেক। আমার কাছে পয়সা নেই। আমাকে পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব নিতে হত, অন্যান্য দায়িত্বও ছিল। যখন সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন কেউ কেউ আমাকে বলেন এই পেশায় আসতে। কোনও উপায় না দেখে আমি এর মধ্যে জড়িয়ে পড়ি। তবে আমি একা নই, এরকম আরও অনেক অভিনেত্রী আছেন যারা আমার মতো অবস্থায় পড়েছেন।


কুটুম্ব, কাহানি ঘর ঘর কি, করিশমা কা করিশমা ও দ্য ম্যজিক মেকআপ বক্স সিরিয়ালে অভিনয়ের পর ২০০২ সালে বিশাল ভরদ্বাজের মকড়ি ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ শ্বেতার। এরপর ২০০৫ সালে নাগেশ কুকনুরের ইকবাল, ওয়াহ! লাইফ হো তো অ্যায়সি ও ২০০৬ সালে রাম গোপাল ভার্মার ডরনা জরুরি হ্যায় ছবিতে অভিনয় করেন শ্বেতা। এরপর গত ৮ বছর বলিউডে কাজ পাননি শ্বেতা। ২০০৮ সালে তেলুগু ছবি কোথা বাঙ্গারু লোকামে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নও পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলা ছবি একটি নদীর গল্পোতেও অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। কিন্তু বলিউড কেরিয়ার থেমে গিয়েছিল। এর আগেও একটি তেলুগু চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে দেহব্যবসার সঙ্গে শ্বেতার যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।


কহানি ঘর ঘর কি ধারাবাহিকে শ্বেতা বাবার চরিত্রে অভিনয় করা কিরণ কর্মকার বলেন, "শ্বেতা আমার মেয়ের মতো। প্রার্থনা করি ও যেন তাড়াতাড়ি এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠে।"