নিজস্ব প্রতিবেদন : ''অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে ধমক দিচ্ছে বিজেপি। ক্ষমতা থাকলে গায়ে হাত দিয়ে দেখান। বাংলায় ধমকানো যাবে না, মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেব।'' সায়নী মিম বিতর্কে পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার পুরুলিয়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, ''সংস্কৃতিকে, টালিগঞ্জকে এবং বাংলাকে আক্রমণ করা যাবে না। বাক স্বাধীনতা আছে, মানুষ কথা বলতেই পারেন''। পুরুলিয়ার সভা থেকে এদিন স্পষ্টতই অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। 



প্রসঙ্গত, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, সোমবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও সায়নী ঘোষকে বিজেপির আক্রমণের কড়া নিন্দা করেন। টুইটে কাকলি লেখেন, ''জঘন্য !! লজ্জাজনক, বিজেপি যুব মোর্চার নির্দেশে কোনও নির্দিষ্ট বিভাগের সদস্যরা একজন বাঙালি অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি। আমরা সায়নী ঘোষের সঙ্গে রয়েছি।''



ঘটনার সূত্রপাত আপনার রায় শো-এ মন্তব্যের পর থেকেই। Zee 24 ঘণ্টার আপনার রায় অনুষ্ঠানে সায়নীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে সায়নী বলেছিলেন, যে ভাবে জয় শ্রীরাম স্লোগানটিকে রণধ্বনিতে পরিণত করা হয়েছে, তা ভুল। ঈশ্বরের নাম ভালবেসে বলা উচিত। এর পরেই এক ইউজার টুইট করে আক্রমণ করেন সায়নীকে। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এবং  বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এরপরে ২০১৫ সালে সায়নীর একটি পুরনো টুইটের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হন তথাগত রায়। সায়নীর বিরুদ্ধে, ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষমূলকভাবে  ধর্মীর ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ এনেছেন তথাগত। এখানেই শেষ নয় সায়নী ঘোষকে লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করা হচ্ছে, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।