মৌমিতা চক্রবর্তী: মধ্যরাতে সারা শহর যখন নিদ্রায় আচ্ছন্ন, তখন সারা শহর পোস্টারে ছেয়ে দিচ্ছে একদল যুবক-যুবতী। কীসের পোস্টার, যা দেওয়ালে সাঁটাতে মধ্যরাতে শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাঁরা। কী লেখা রয়েছে সেই পোস্টারে? পোস্টারগুলো লেখা হয়েছে রক্ত দিয়ে।  লেখা রয়েছে নরেনজি জিন্দা হ্যায় (নরেনজি বেঁচে আছে)। অন্য পোস্টারে লেখা,মাওইস্ট উইল কাম টু কলকাতা (মাওবাদীরা কলকাতায় আসবে)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোথায় কোথায় পোস্টার পড়ল? পোস্টার পড়েছে নন্দনের মেন গেটে ও অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের গেটে,ধর্মতলার গ্রিনলাইন বাসস্টপের টয়লেটের গেটে, টালিগঞ্জে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে, আনোয়ার শা বাসস্টপের ভিতর, যাদবপুর ইনভার্সিটি গেটে, পাটুলিতে নচিকেতা চায়ের দোকানের ডানদিকে, বিধাননগর অরণ্য ভবনের উল্টো দিকে, নিউটাউনে এক হোটেলের সামনে। আতঙ্কের কিছু নেই। একটি ভিডিও বার্তায় রহস্যের সমাধান। আসলে এই সবটাই একটি ছবির প্রচারে। ছবির নাম ইস্কাবন। রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছে সিনেমার পোস্টার। সিনেমার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও পোস্টার লেখা হয়েছে রক্ত দিয়ে, এমনটাই দাবি। 


তবে এখানেই শেষ নয়। ছবির প্রচারে অনেক অভিনবত্ব এনেছে ছবির প্রচার টিম। এই প্রথম কোনও পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবির প্রচারে তৈরি করা হয়েছে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি। সেই শর্ট ফিল্মের নাম 'কলকাতায় মাওবাদী?'। এই শর্ট ফিল্মে সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা যাবে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকেও। এই অভিনব প্রচার পাবলিসিস্ট দেবপ্রিয়া ঘোষ গোস্বামীর মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি ও তাঁর টিম রুদ্রাক্ষ রয়েছে এই ছবির প্রচারের দায়িত্বে। সেখানেই নানা অভিনব প্রচারের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। 


ছবিতে নরেন জির ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। এছাড়াও রয়েছেন সৌরভ দাস, অনামিকা ও সঞ্জু। পরিচালক মন্দীপ সাহা জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান,'একটা সময়ে জঙ্গলমহলে যে যে ঘটনা ঘটেছে সেগুলো থেকে অধ্যায় তুলে তাকে কেন্দ্র করে একটু কাল্পনিক গল্পের সহায়তায় এক চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। এছাড়াও দ্য লাস্ট মাওইস্ট গল্পের সাহায্যও নেওয়া হয়েছে।  ছবির নাম ইস্কাবন।' এই শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।