নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৭ সালেই চুপিসারে সুইৎজারল্যান্ডের ব্যবসায়ী মাইক রিখটারকে বিয়ে করেন মোনালি। তবে বিয়ের কথা গত মাসেই প্রকাশ্যে আনেন গায়িকা মোনালি ঠাকুর। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হতে হয় মোনালিকে। অনেকেই তাঁকে 'গোল্ড ডিগার' বলে আক্রমণ করেন। এবার সেই সমালোচনারই জবাব দিলেন গায়িকা। সাফ জানালেন, তিনি তাঁরা স্বামীর থেকে বেশি উপার্জন করেন। যাঁরা তাঁকে 'গোল্ড ডিগার' বলে আক্রমণ করছেন, তাঁরা আসলে নিজেরাই ব্যর্থ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্ব পোস্টে মাইক রিখটারের সঙ্গে আংটি বদলের ভিডিয়ো শেয়ার করে মোনালি লেখেন, ''গত তিন বছর আগে আমি আর মাইক বিয়ে করেছি। আর বিয়েতে আলাদা করে কোনও রীতি মানা হয়নি। এতে শুধুই ভালোবাসা আর নাটক রয়েছে। বিয়ের জন্য আলাদা কোনও আয়োজনও করা হয়নি। শুধুই একদম প্রকৃত ভালোবাসা মেনে বিয়েটা হয়েছে। বিয়ের দিন আমরা দুজনেই প্রমাণ সাইজের পোশাক পরেছিলাম। যেটা শেষ মুহূর্তে বান্দ্রা থেকে কেনা হয়েছিল। যেন মনে হচ্ছে স্কুলের বাচ্চা নাটকে অংশ নিতে যাচ্ছে। আমি সালোয়ার আর স্নিকার্স পরে ছিলাম, সঠিক জুতো কেনার মতো সময়ও ছিল না। মোনালি আরও লিখেছেন, যেহেতু আমরা বিয়ের জন্য আলাদা করে তিন বছরে কোনও সেলিব্রেশন করিনি, তাই ওই দিনই আমরা বিয়ের দিন হিসাবে পালন করি। ওই দিনটি ছিল আমাদের জন্য শুধু ভালোবাসা আর খুশির। এতে কোনও নাটক ছিল না।''


আরও পড়ুন-কলকাতায় অমিতাভ মন্দিরে, বিগ বি-র আরোগ্য কামনায় চলছে সারাদিন ব্যাপী যজ্ঞ


বিয়ের দিনের বর্ণনা দেওয়ার পরই মোনালি তাঁকে নিয়ে চলা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের জবাব দিয়েছেন। লিখেছেন, ''কিছু আজব প্রাণী সোশ্যাল মিডিয়ায় আমায় গোল্ড ডিগার লিখছেন। আর যাঁরা এমনটা লিখছেন, তাঁরা আদপে ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থ। জানিয়ে রাখি, আমি আমার স্বামীর থেকেও বেশি রোজগার করি। তবে এই মানুষটিকে আমি বিয়ে করেছি, কারণ, উনি আমার সাফল্য উদযাপন করেন, উনি আমার শক্তি ও স্বাধীনতা। আপনাদের হতাশ করার জন্য দুঃখিত, তবে আমাদের বিয়েতে কোনও নাটক নেই। ''



আরও পড়ুন-করোনা আক্রান্ত ঐশ্বর্য ও আরাধ্যা, দ্বিতীয়বার COVID-19 টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ


প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে মাইক রিখটারের সঙ্গে মোনালির বিয়ে হয়েছিল কিছুটা অদ্ভুত ভাবেই। বিয়েরদিন এক ভয়ঙ্কর সমস্য হয়েছিল বলে জানান মোনালি। গায়িকা জানান, বিয়ের দিন রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে মাইকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও মাইক সেখানে হাজির না হওয়ায়, তাঁকে ফোন করতে শুরু করেন মোনালি। পরে জানতে পারেন, ভিসা ছাড়া ভারতে আসতে গিয়ে, বিমানবন্দর কতৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। কিন্তু মাইক কেন ভিসা ছাড়া ভারতে আসতে যান? এই প্রশ্নে উত্তরে মোনালি জানান, কেউ মাইককে জানায়, জার্মান পাসপোর্ট থাকলে, ভারতে আসার জন্য তাঁর আর ভিসার প্রয়োজন হবে না। সেই কথা শুনেই মাইক ভিসা ছাড়া ভারতে আসার তোড়জোড় করেন।


তবে ওই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাহায্যে করা হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ভিসা না থাকা সত্ত্বেও সেদিন ভারতে হাজির হয়ে মোনালির সঙ্গে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন মাইক রিখটার। তবে সেদিন সরকার সহায় না হলে, মাইক কিছুতেই ভারতে প্রবেশ করতে পারতেন না। উলটে, বিয়ের দিনই ভারত থেকে বের করে দেওয়া হত তাঁকে।