ওয়েব ডেস্ক: সিডি,ডিভিডি, পেন ড্রাইভ, ইউ টিউব, সিনেমা স্পেশালিস্ট চ্যানেলের যুগে এখন মনের পছন্দের সিনেমা এখন যখন তখন দেখা যায়। টিভিতে তো একই সিনেমা বারবার দেখিয়ে কিছুটা পচন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু কিছু কিছু সিনেমা থাকে যেগুলো বারবার দেখতে ভাললাগে। এমনই পাঁচটা বাংলা কমেডি সিনেমার কথা--


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) যমালয়ে জীবন্ত মানুষ--চিরকালীন। চিরস্মরণীয়। বললেও হয়তো কম বলা হবে। এমনিতে কমেডি সিনেমা। কিন্তু একই সঙ্গে দারুণ রোমান্টিক, আর সমাজের নিষ্ঠুর সত্যি তুলে ধরা এক গল্প। যমদূতেরা ভুল করে এক জীবিত বাঙালিকে যমালয়ে নিয়ে আসে। সে আসলে এমন এক প্রেমিক যে স্বর্গে এসে তাঁর তাঁর প্রেমিকাকে ফিরিয়ে আনতে চায়। সেখানে গিয়ে সে নানা যুক্তিতে পৌঁছে যায় তাঁর মৃতা প্রেমিকার কাছে। না, এভাবে ঠিক বলা হচ্ছে না। প্রফুল্ল চক্রবর্তী পরিচালিত এই সিনেমায় ভানু ব্যানার্জির অভিনয়, অসাধারণ চিত্রনাট্যের জন্য বারবার দেখতে ইচ্ছা করে এই সিনেমা।

 


২) ৮০তে আসিও না--৮০ বছরের এক বৃদ্ধর শেষ জীবনে এসে যৌবন হওয়ার গল্প। শুধু কমেডি সিনেমা বললে কম বলা হবে। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসাধারণ অভিনয় সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা সব বয়সের, সব প্রজন্মের দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয়।

৩) গল্প হলেও সত্যি (১৯৬৬)--বাড়ির এক কাজের লোক কীভাবে বদলে ফেলে গোটা পরিবারের ছবিটা সেটা নিয়ে এই সিনেমা। রবি ঘোষের দুর্দান্ত অভিনয়, তপন সিনহার অসাধারণ পরিচালনা আর দারুণ গল্পের জন্য বারবার দেখতে ইচ্ছা করে এই সিনেমা।

৪) পরশ পাথর- ঠেকালেই সোনা। রাজশেখর বসুর (পরশুরাম) ছোট গল্প "পরশ পাথর" অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমায় তুলসি চক্রবর্তীর অভিনয় এমন এক জায়গায় গিয়েছে যে সবাই একেবারে চুম্বকের মত আটকে থাকে। সত্যজিত্‍ রায়ের অন্যতম সেরা সিনেমা। ছবি দেখার পর ছোটদের ইচ্ছা হয়, ইস, যদি ওরকম একটা পাথর পাওয়া যেত।

৫) গুপি গায়েন বাঘা বায়েন--১৯৬৯ সালের সিনেমা। মানে আজ থেকে ৪৭ বছর আগের এক সিনেমা। কিন্তু গুপি,বাঘা তো আজও আমাদের পাশেই থাকে।  বাঙালির মনে এত জীবন্ত চরিত্র হার মানায় সবাইকে। গুপি, বাঘা কখন যেন বাঙালির দুই হৃদয় হয়ে উঠেছে। বারবার দেখলেও মনের স্বাদ মেটে না।