নিজস্ব প্রতিবেদন : 'মহাভারত'কে একপ্রকার খুন করেছিলেন একতা কাপুর। সম্প্রতি, প্রযোজক তথা বালাজি টেলিফিল্মস-এর কর্ণধার একতার বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন 'শক্তিমান' বলে পরিচিত মুকেশ খান্না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে একতা কাপুর ও তাঁর ধারাবাহিক, 'কাহানি হামারি মহাভারত কি'র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুকেশ খান্না। ১৯৮৮ সালের বি আর চোপড়ার 'মহাভারত'-এর পর ২০০৮ সালে  'কাহানি হামারি মহাভারত কি' বানিয়েছিলেন একতা। সেখানে দ্রৌপদীর কাঁধে যেভাবে ট্যাটু আঁকা হয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুকেশ খান্না।


আরও পড়ুন-প্রিয় ঘোড়ার সঙ্গে নিজেও ঘাস-পাতা খেতে শুরু করলেন সলমন, দেখুন কাণ্ড...


প্রসঙ্গত, লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে ফের টিভির পর্দায় ফিরেছে বি আর চোপড়ার জনপ্রিয় 'মহাভারত' ধারাবাহিকটি। তার সঙ্গে ফিরেছেন মুকেশ খান্নার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'শক্তিমান'। তবে 'শক্তিমান'-এর নতুন সংস্করণ বানাতে চলেছেন বলেও নিজেই জানিয়েছেন মুকেশ খান্না। সম্প্রতি সেবিষয়েই 'মুম্বই মিরর'-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন শক্তিমান খ্যাত মুকেশ খান্না। সেখানে তিনি বলেন, ''আমার নতুন শক্তিমান কখনও একতা কাপুরের ২০০৮ এর মহাভারতের মতো হবে না। যেখানে দ্রৌপদীর কাঁধেও ট্যাটু করানো হয়েছিল। উনি (একতা) বলেছেন আধুনিক মানুষের জন্য মহাভারত বানিয়েছেন। তবে সংস্কৃতি কখনও আধুনিক হয়ে যায় না। সংস্কৃতিকেও যদি আধুনিক বানিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখা ধংস হয়ে যায়। ''


এখানেই শেষ নয়, মুকেশ খান্না আরও বলেন, ''যদি ধারাবাহিকের নাম কিউকি গ্রিক ভি কভি হিন্দুস্থানি থি এই নামে ধারাবাহিকটি হত, তাহলে একতার মহাভারতকে মেনে নিতাম। আমি বুঝতে পারি না মহাভারত-এর মতো মহাকাব্যকে খুন করার অধিকার ওদের কে দিল? ওখানে ভীষ্ম প্রতিজ্ঞার মূল বিষয়টিই বদলে দেওয়া হয়েছে। সত্যবতীকে এমনভাবে বানানো হয়েছে যেন খলনায়িকা। ব্যাসদেবের থেকেও স্মার্ট হতে চেয়েছেন উনি। আর এখানেই আমার আপত্তি। রামায়ণ, মহাভারত কোনও পৌরানিক গল্প নয়, এটা ইতিহাস। ''


আরও পড়ুন-১৫০ একর জমির উপর রয়েছে সলমনের বাগান বাড়ি, কী না নেই সেখানে! জঙ্গলের মধ্যে সলমনের বাগান বাড়িটি ঘুরে দেখা যাক...