নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, নাগরিকপঞ্জি ও এনপিআর নিয়ে চলতি বিতর্কে আরও একবার শিরোনামে নাসিরুদ্দিন শাহ। বিজেপি ঘেঁষা অভিনেতা অনুপম খেরকে ভাঁড় বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। এর পাশাপাশি এগিয়ে আসার জন্য দীপিকা পাডুকোনের সাহসের প্রশংসাও করেন নাসিরুদ্দিন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একটি সংবাদমাধ্যমে এনআরসি-সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে অনুপমের প্রসঙ্গ টেনে আনেন নাসিরুদ্দিন। অনুপম খেরের স্ত্রী কিরণ খের বিজেপি সাংসদ। নিজেকে নরেন্দ্র মোদীর গুণগ্রাহী বলেও দাবি করেন তিনি। সেই অনুপমের উপরেই গিয়ে পড়েছে নাসিরুদ্দিনের রোষ। নাসিরুদ্দিন বলেন,''আমি টুইটারে নেই। যাঁরা এসব করে আমি আশা করব, তাঁরা নিজেদের মত খোলামেলাভাবে প্রকাশ করবেন। অনুপমের অনেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু ওকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি না। ও একটা ভাঁড়। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা ও এফটিআইয়ে ওর মানসিকবিকারগ্রস্ততার কথা জানে। ওর কিছু করার নেই। এটা ওর রক্তের দোষ।''


নাসিরুদ্দিন আরও বলেন,''বলিউডেও অনেক কমবয়সি পরিচালক ও অভিনেতারা আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন।'' তবে বড় বড় অভিনেতাদের নীরবতায় বিস্মিত নন নাসিরুদ্দিন। তাঁর কথায়, মুখ খুললে ওনারা অনেক কিছু হারাতে পারেন। দীপিকা হারানোর সম্ভাবনা নিয়েও প্রকাশ্যে পাশে দাঁড়িয়েছে।      


লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণার রাজনীতির অভিযোগ করেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। বলেছিলেন, ''দেশজুড়ে ধর্মের নামে ঘৃণার দেওয়াল তুলে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে''।  তার আগে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের হিংসায় নাসিরুদ্দিন আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, তাঁরা সন্তানদের কোনও ধর্ম নেই। ভিড় ঘিরে ধরলে কী উত্তর দেবেন তাঁরা? ওই ভিডিয়োটির পর তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। পরে অবশ্য নাসিরুদ্দিন বলেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে কখনও ধর্মীয় কারণে তাঁকে বা তাঁর পরিবারকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়নি।  


আরও পড়ুন- নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব, বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ পড়ল মোদীর ভারত