Naseeruddin Shah, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় সিনেমার অন্যতম লিভিং লেজেন্ড অভিনেতা নাসিরুদ্দীন শাহ(Naseeruddin Shah )। কয়েক দশক ধরে উন্নতমানের অভিনয় ও ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শককে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্ষীয়ান এই অভিনেতার কাছে অ্যাওয়ার্ডের কোনও গুরুত্ব বেশি। কোনওদিনই অ্যাওয়ার্ডকে তিনি গুরুত্ব দেননি। এমনকী অভিনেতা জানান, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড(Filmfare Award) তিনি ব্যবহার করেছেন তাঁর ফার্ম হাউজের বাথরুমের দরজার হ্যান্ডেল হিসাবে। নাসিরুদ্দীন শাহর এই মন্তব্য যে কত বড় আক্রমণ বলিউডের(Bollywood) উপর তা বলাই বাহুল্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Leonardo DiCaprio: ডিনারে একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি, ভারতীয় মডেলের প্রেমে পড়েছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও!


তিনটি জাতীয় পুরস্কার(National Award) পেয়েছেন অভিনেতা। ‘পার’, ‘স্পর্শ’, ‘ইকবাল’ এই তিন ছবিতে অভিনয়ের কারণে তিনি জাতীয় পুরস্কার পান। পাশাপাশি ‘আক্রোশ’, ‘চক্র’, ‘মাসুম’ এই তিন ছবির জন্য তিনি পান ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দীন শাহ জানান যে, তিনি কখনই অ্যাওয়ার্ডকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। তাঁর মতে এই সব অ্যাওয়ার্ড আসলে লবির ফসল। এমনকী শোনা যায় যে তিনি নাকি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দিয়ে বাথরুমের দরজার হ্যান্ডেল বানিয়েছেন, সেই শোনা কথা যে সত্যি, তাও স্বীকার করেন অভিনেতা।


নাসিরুদ্দীন শাহ বলেন, ‘ যে কোনও অভিনেতাই নিজের জীবন ও পরিশ্রম দিয়ে কোনও চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন, তিনিই ভাল অভিনেতা। আপনি যদি লটারি থেকে একজনকে বেছে নিয়ে বলেন, 'এই বছরের সেরা অভিনেতা', তাহলে কেমন হয়? আমি এই পুরস্কার নিয়ে গর্বিত নই। শেষ দু'টি পুরস্কার নিতেA যাইনি। তাই, যখন আমি একটি ফার্ম হাউজ তৈরি করি তখন আমি এই পুরস্কারগুলি সেখানে রাখার সিদ্ধান্ত নিই। আমি ঠিক করি ওগুলো দিয়ে বাথরুমের দরজার হ্যান্ডেল বানাব। যিনিই ওয়াশরুমে যাবেন, তিনি দু'টি করে পুরস্কার পাবেন, কারণ হ্যান্ডেলগুলি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের তৈরি।


আরও পড়ুন- Actor Death: ফের শোকের ছায়া বিনোদন জগতে, মাত্র ৩৯ বছরেই প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা নিতিন...


পুরস্কার লবিংয়ের ফল ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও দাবি করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘এই সব ট্রফির মধ্যে আমি কোনও মূল্য খুঁজে পাই না। কেরিয়ারের শুরুতে আমি যখন এগুলো পেয়েছিলাম, তখন আমি খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তারপরই আমার চারদিকে ট্রফির ছড়াছড়ি শুরু হয়ে যায়। আজ হোক কাল হোক বুঝতে পারলাম, এসব পুরস্কার লবিংয়ের ফল। একটি হচ্ছে এই পুরস্কারগুলো যে তাদের যোগ্যতার কারণে পাওয়া যায়, তা নয়। তাই অ্যাওয়ার্ড ছেড়ে দিতে শুরু করলাম। এর পর যখন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ পেলাম, তখন মনে পড়ল আমার মৃত বাবার কথা, যিনি আমার চাকরি নিয়ে সব সময় চিন্তিত থাকতেন এবং 'এইসব কাজ করলে তুমি বোকা হয়েই থাকবে' ইত্যাদি কথা বলতেন। তাই রাষ্ট্রপতি ভবনে যখন পুরস্কার নিতে গিয়েছিলাম, তখন চোখ আকাশের দিকে তুলে বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি এ সব দেখছেন কি না...তিনি ছিলেন... এবং আমি নিশ্চিত, তিনি খুশি ছিলেন...আমি খুশি হয়েছিলাম ওই সব পুরস্কার পেয়ে। কিন্তু এই প্রতিযোগিতামূলক পুরস্কারগুলো আমি সহ্য করতে পারি না।’


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)