বাংলাদেশ: ৭৭ বছর বয়সেই জীবনের 'মঞ্চে' দাঁড়ি টানলেন 'নায়ক রাজ' আব্দুর রাজ্জাক। বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হল নায়করাজের। কিংবদন্তী এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বাংলাদেশ। ভীষণ মন খারাপ ভারতেরও। 'নায়ক রাজ' আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী 'বঙ্গবন্ধু' কন্যা শেখ হাসিনা। 'নায়ক রাজ' আব্দুর রাজ্জাকের জীবনাবসানে টুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন 'মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি' তথা টলি তারকা প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায়। "তিনি সবসময়ই আমার পিতৃতুল্য ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমি অনেক ছবি করেছি। এমন একজন অভিনেতা-অভিভাবকের অকস্মাৎ মৃত্যু কেবল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি নয়, আমার ব্যক্তিগত ক্ষতিই। তাঁর মৃত্যুর খবর আমাকে শোকাহত করেছে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি", সোশ্যাল মাধ্যমে আব্দুর রাজ্জাকের  জীবনাবসানে এই শোকবার্তাই জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টপাধ্যায়। শোক বিহ্বল অভিনেতা রুবেল জানিয়েছেন, "আমরা পিতাহারা হলাম। একজন অভিভাবক চলে গেলেন। বিগত ১০০ বছরেও তাঁর মত মহান অভিনেতা বাংলাদেশে জন্মায়নি"। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, আজ তাঁর শবদেহ নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানেই  কিংবদন্তী অভিনেতার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের সিনেমা দুনিয়ার অভিনেতা-কলাকুশলীসহ আরও অনেকে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য 'নায়ক রাজে'র দেহ কিছুক্ষণ রাখাও হয়। এদিন সরকারের তরফে জানানো হয়, বঙ্গ চলচ্চিত্র ইতিহাসে চিরস্মরণীয় আব্দুর রাজ্জাকের সমস্ত কাজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে। এরপর বিএফডিসি থেকে তাঁর শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রয়াত অভিনেতার বাসভবনে। সেখানে তাঁর জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেতা সাকিব খান সহ আরও অনেকে। 


 



 



    
কর্মক্ষেত্র, বাসগৃহ এইসব জায়গাতেই রাজ্জাক সাহেবকে শেষবার নিয়ে যাওয়া হলেও 'বঞ্চিত' থাকল তাঁর জন্মভিটে। অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন 'নায়ক রাজ' রাজ্জাক। দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা অঞ্চলেই জন্ম হয় তাঁর। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় রওনা... তারপর কেবল কর্মসূত্রেই ভারতে এসেছেন তিনি। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের কর্মজীবনে আব্দুর রাজ্জাক ভারত-বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রায় তিনশতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁকে বড় পর্দায় শেষবার দেখা গিয়েছিল, ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি 'আয়না কাহিনী'তে।