নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) বাড়িতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। সূত্রের খবর, মন্নতে (Mannat) তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাদক মামলায় বুধবার মুম্বই সেশন কোর্টে আরিয়ান খানের (Aryan Khan) জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর ওইদিনই বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর আইনজীবী। নতুন করে হাইকোর্টে আরিয়ানের (Aryan Khan) জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী অমিত দেশাই। বৃহস্পতিবার মাদক মামলায় সেই জামিনের আবেদনের শুনানির কথা ছিল। তবে আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে জামিন আবেদনের শুনানি। বৃহস্পতিবার নয়, আগামী মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের (Aryan Khan) জামিনের শুনানি। এদিন সকাল সকাল আর্থার রোড জেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)।    


গত ৩ অক্টোবর আরিয়ানের গ্রেফতারির পর বৃহস্পতিবারই প্রথম ছেলের সঙ্গে দেখা করেন শাহরুখ (Shah Rukh Khan)। গ্রেফতারির পর পরই আরিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন কিংখান। কিন্তু সামনাসামনি দেখা করতে যাননি শাহরুখ  (Shah Rukh Khan)। বৃহস্পতিবারই প্রথম আর্থার রোড জেলে হাজির হন তিনি। যদিও আরিয়ানের গ্রেফতারি বা মাদক মামলায় তাঁক কতটা যোগ রয়েছে সে নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি আসেনি মন্নতের তরফে এবং আজও প্রকাশ্যে কোনওরকম বক্তব্য রাখেননি শাহরুখ (Shah Rukh Khan)। জেল সূত্রের খবর,ছেলের সঙ্গে দেখা করে তাঁর মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করলেন শাহরুখ।   



মাদককাণ্ডেই আরও এক বলিউড অভিনেত্রী তথা অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা পাণ্ডের (Ananya Panday) বাড়িতেও বৃহস্পতিবার হানা দিয়েছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) আধিকারিকরা। সেখানেও তল্লাশি চলছে বলেই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান হয়েছে বলেই জাগা গিয়েছে। সম্ভবত তাঁর সঙ্গেই আরিয়ান খান (Aryan Khan) মাদক নিয়ে চ্যাট করেছিলেন। যে চ্যাট হাতে এসেছে এনসিবি কর্তাদের।  



গত ৩ অক্টোবর মাদক মামলায় আরিয়ান খান সহ আরও সাতজনকে গ্রেফতার করেছিল NCB। ইতিমধ্যেই ১৮ দিন টানা আর্থার রোডের জেলে কাটিয়েছেন আরিয়ান। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য সেবন ও কেনা বেচার অভিযোগ এনেছে NCB। ২ অক্টোবর এক প্রমোদতরীতে আয়োজিত মাদক পার্টি থেকে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়েছিল আরিয়ান সহ মোট আটজনকে। যদিও আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। যদিও মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। এরপর NCB হেফাজতেই রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীকালে আরিয়ানকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও সেশন কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পরই বুধবার বম্বে হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আরিয়ানের আইনজীবী।