Neena Gupta : `কেন তাঁকে মা কিংবা অন্যান্যদের মতো দেখতে নয়!` মনোকষ্টে ভুগতেন নীনা কন্যা মাসাবা
কেন তাঁকে তাঁর মা কিংবা সমসময়িকদের মতো দেখতে নয়। বয়ঃসন্ধিকালে এমন চিন্তায় কুড়ে কুড়ে খেত মাসাবা গুপ্তাকে। এমন একটা দিনও ছিল না, যেদিন তিনি পাউডার না মেখে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। নিজের ত্বক, চুল নিয়ে অসম্ভব মনোকষ্টে ভুগতেন নীনা গুপ্তা এবং ভিভ রিচার্ডসের মেয়ে মাসাবা। মেয়েকে নিয়ে এমনই নানান বিষয় সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নীনা গুপ্তা। সম্প্রতি, মার্কিন ম্য়াগাজিন `হার্পার বাজার`-এর ডিজিটাল কভারে উঠে এসেছে মা মেয়ের জুটি। সেখানেই বয়ঃসন্ধিকালে মেয়ের ত্বক ও চুলের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন নীনা গুপ্তা।
Neena Gupta, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন তাঁকে তাঁর মা কিংবা সমসময়িকদের মতো দেখতে নয়। বয়ঃসন্ধিকালে এমন চিন্তায় কুড়ে কুড়ে খেত মাসাবা গুপ্তাকে। এমন একটা দিনও ছিল না, যেদিন তিনি পাউডার না মেখে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। নিজের ত্বক, চুল নিয়ে অসম্ভব মনোকষ্টে ভুগতেন নীনা গুপ্তা এবং ভিভ রিচার্ডসের মেয়ে মাসাবা। মেয়েকে নিয়ে এমনই নানান বিষয় সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নীনা গুপ্তা। সম্প্রতি, মার্কিন ম্য়াগাজিন 'হার্পার বাজার'-এর ডিজিটাল কভারে উঠে এসেছে মা মেয়ের জুটি। সেখানেই বয়ঃসন্ধিকালে মেয়ের ত্বক ও চুলের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন নীনা গুপ্তা।
মেয়েকে নিয়ে নীনা গুপ্তা বলেন, 'ওর চুলটাই ছিল সমস্যার। চুল এতটাই কোঁচকানো ছিল যে বেঁধে রাখা যেত না। ওর ত্বকেও সমস্যা ছিল। মাসাবা অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত, ভাবত কেন আমার মতো ওরও একই রকম ত্বক নয়, কিংবা ঘন লম্বা চুল নয়। বিস্মিত হত, কেন ওকে ওঁর মা কিংবা অন্যান্যদের মতো দেখতে নয়।' নীনার আরও জানান, 'ওর ব্রণর সমস্যা এতটাই বেশি ছিল যে, মাঝে মধ্যে ও বাড়ি থেকেই বের হতে চাইত না। আমি ওকে ব্রণর সমস্যার জন্য মুম্বইয়ের বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছি। কেউ কেউ ওকে ওষুধ খেতে দিয়েছেন। তবে একটা অল্পবয়সী মেয়েকে এত ওষুধ খাওয়াতে আমার মন সায় দিত না।'
গত ৪ জুন মাসাবা নিজেই তাঁর বয়ঃসন্ধিকালের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তাঁর ত্বক ও চুলের সমস্যা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ছবির সঙ্গে মাসাবা লিখেছিলেন, 'একটা ১২ বছরের মেয়েকে কী বলবেন, যে বহু বছর আয়নায় নিজের মুখ দেখেনি। এর জন্য ব্রণকেই ধন্যবাদ জানাতে হয়, যেটা রাতারাতি মুখে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই সবকিছু নিয়েই ও বেঁচে ছিল।' মাসাবার কথায়, 'আমি অন্যান্যদের বাবা-মায়ের দিকে তাকাতাম। আমি জানি না, আমার মা কীভাবে আমায় বিশ্বাস করিয়েছিল, যে আমি আসলে রানি।'
২০১৭-তে ও মাসাবা আরও একবার তাঁর বয়ঃসন্ধিকালের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, '১৪ বছর বয়সে ভয়ানক ব্রণর সমস্যায় ভুগতাম। মুখে এবং মাথায় কালো কালো ছোপ হয়ে গিয়েছিল। দেখে মনে হত কেউ সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে দিয়েছে। পাউডার ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতাম না। ঘরের মধ্যে লাইট বন্ধ করে রাখতাম।'
প্রসঙ্গত, মাসাবা গুপ্তা হলেন, নীনা গুপ্তা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের মেয়ে। চিরকালই কেরিয়ারের থেকে ব্যক্তিগত জীবনের কারণেই বেশি চর্চায় থেকেছেন নীনা গুপ্তা। কোনওদিনই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লুকোছাপাও করেননি তিনি। ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে না করেও ভিভের সন্তানের মা হওয়া, নীনার জীবনের সবকিছুই ছিল খোলা পাতার মতো। আবার ভিভের অনুপস্থিতিতে একাই মাসাবাকে বড় করে তোলার দায়িত্ব পালন করেছেন নীনা। বর্তমানে নীনা গুপ্তার মেয়ে মাসাবা গুপ্তা একজন প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশান ডিজাইনার। আবার নেটফ্লিক্সের 'মাসাবা মাসাবা' ওয়েবসিরিজের মাধ্যমে অভিনয় দুনিয়াতেও পা রেখে ফেলেছেন তিনি।